চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে ঋণ দেবে এডিবি
অবশেষে ১২৮ কিলোমিটারের
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা (৬২ কোটি
৫০ লাখ ডলার) ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দক্ষিণ
এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক) রেলপথ সংযোগ স্থাপন কর্মসূচির
আওতায় এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে এডিবি। সম্প্রতি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে
পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। রেলপথ নির্মাণ হলে পর্যটন
জেলা হিসেবে খ্যাত গোটা কক্সবাজারের অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে। বছরে
সাড়ে ১০ লাখ পর্যটক রেলপথে কক্সবাজার সফর করতে পারবেন। ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিদেশি
অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় দীর্ঘ তিন বছর প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, সাসেক রেল সংযোগ কর্মসূচির আওতায় এ প্রকল্পে এডিবি ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। তিন বছরের ব্যবধানে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। তাই নতুন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আলোকে ডিপিপি সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের পর দ্রুত প্রকল্পটির কাজ শুরু করা হবে। ট্রান্স এশিয়ান ও সাসেক রেলরুটভুক্ত হওয়ায় আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ চালু করতে এ রেলপথ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পটির আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু পর্যন্ত ৮৯ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত ঘুনধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ রেলপথে ১০টি স্টেশন হবে_ সাতকানিয়া, কেউচিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু, উখিয়া, ঘুনধুম ও কক্সবাজার। রেলপথটি নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। মূল রেলপথ, স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
সাধারণ ঋণের আওতায় ৬০ কোটি ডলার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে আড়াই কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি। জমি অধিগ্রহণ বাবদ প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। এদিকে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করা হবে। শিগগিরই তা একনেকে পাঠানো হবে। প্রাথমিক ডিপিপি অনুযায়ী ২০১১ সালে শুরু হয়ে ২০১৩ সালে রেলপথটি নির্মাণ শেষ করার কথা ছিল। এখন তা আগামী বছর শুরু হয়ে ২০১৭ সালে শেষ হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, সাসেক রেল সংযোগ কর্মসূচির আওতায় এ প্রকল্পে এডিবি ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। তিন বছরের ব্যবধানে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। তাই নতুন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আলোকে ডিপিপি সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের পর দ্রুত প্রকল্পটির কাজ শুরু করা হবে। ট্রান্স এশিয়ান ও সাসেক রেলরুটভুক্ত হওয়ায় আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ চালু করতে এ রেলপথ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পটির আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু পর্যন্ত ৮৯ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত ঘুনধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ রেলপথে ১০টি স্টেশন হবে_ সাতকানিয়া, কেউচিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু, উখিয়া, ঘুনধুম ও কক্সবাজার। রেলপথটি নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। মূল রেলপথ, স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
সাধারণ ঋণের আওতায় ৬০ কোটি ডলার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে আড়াই কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি। জমি অধিগ্রহণ বাবদ প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। এদিকে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করা হবে। শিগগিরই তা একনেকে পাঠানো হবে। প্রাথমিক ডিপিপি অনুযায়ী ২০১১ সালে শুরু হয়ে ২০১৩ সালে রেলপথটি নির্মাণ শেষ করার কথা ছিল। এখন তা আগামী বছর শুরু হয়ে ২০১৭ সালে শেষ হবে।
No comments