সোনালী ব্যাংকের মুনাফায় বড় পতন
দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় মালিকানার
সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় ধস নেমেছে। ২০১৩ সালে ব্যাংকটির পরিচালন
মুনাফা হয়েছে মাত্র ৩১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের বছর ২০১২ সালের নানা
প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছিল।
হলমার্কসহ একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারির প্রভাব ব্যাংকটির মুনাফায় পড়েছে।
সোনালী ব্যাংকের এমডি প্রদীপ কুমার দত্ত সমকালকে বলেন, আগের মতো ব্যবসা না
হওয়ায় পরিচালন মুনাফা কমেছে। বিশেষ করে এবারে ঋণ বিতরণ হয়েছে খুব কম।
অন্যদিকে মন্দা ঋণ আদায় হয়েছে ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো। এতে সুদ ব্যয়
বাড়লেও আয় আসেনি। হলমার্কের ঘটনায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার শাস্তি হওয়ায় মাঠ
পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ভীতি থাকায় এমন হতে পারে। তাদের অনেকে হয়ত মনে
করেছেন, ঋণ দিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে হয় কিনা। তবে এবারে বছরের শুরু থেকেই
পরিস্থিতির কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলমার্কসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ আটকে আছে। এ ছাড়া কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হওয়ার পর তারা অনেক গ্রাহকের আস্থা হারিয়েছেন। এতে ঋণ প্রবাহ, আমদানি, রফতানি, রেমিট্যান্সসহ সব ধরনের ব্যবসা কমেছে। প্রথমবারের মতো ২০১৩ সালে ঋণ গ্রহণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে গত বছর তাদের ঋণ বিতরণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে। যদিও সরকারের ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালনা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ের কারণে আমানতে ১৪ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের সারাদেশে বর্তমানে ১ হাজার ২০৪টি শাখা রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটির আমানত রয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকার ওপরে। তবে ঋণ নেমে এসেছে মাত্র ৩৪ হাজার কোটি টাকায়। তাদের ঋণ আমানত অনুপাত দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। হলমার্ক গ্রুপের ঋণে অনিয়মের বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে ২০১০ সালে। তবে অনিয়মের তথ্য ফাঁস হয় ২০১২ সালের এপ্রিলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিশেষ পরিদর্শনে বেরিয়ে আসে হলমার্কসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক এ ঘটনার ব্যর্থতার কারণে গত বছরের ২৭ আগস্ট পর্ষদ পুনর্গঠনের সুপারিশ করে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেয়। তা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খানিকটা দূরত্ব তৈরি হয়। হলমার্কের ঘটনা সোনালী ব্যাংকের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে অর্থমন্ত্রী একাধিকবার দাবি করেন।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলমার্কসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ আটকে আছে। এ ছাড়া কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হওয়ার পর তারা অনেক গ্রাহকের আস্থা হারিয়েছেন। এতে ঋণ প্রবাহ, আমদানি, রফতানি, রেমিট্যান্সসহ সব ধরনের ব্যবসা কমেছে। প্রথমবারের মতো ২০১৩ সালে ঋণ গ্রহণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে গত বছর তাদের ঋণ বিতরণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে। যদিও সরকারের ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালনা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ের কারণে আমানতে ১৪ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের সারাদেশে বর্তমানে ১ হাজার ২০৪টি শাখা রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটির আমানত রয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকার ওপরে। তবে ঋণ নেমে এসেছে মাত্র ৩৪ হাজার কোটি টাকায়। তাদের ঋণ আমানত অনুপাত দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। হলমার্ক গ্রুপের ঋণে অনিয়মের বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে ২০১০ সালে। তবে অনিয়মের তথ্য ফাঁস হয় ২০১২ সালের এপ্রিলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিশেষ পরিদর্শনে বেরিয়ে আসে হলমার্কসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক এ ঘটনার ব্যর্থতার কারণে গত বছরের ২৭ আগস্ট পর্ষদ পুনর্গঠনের সুপারিশ করে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেয়। তা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খানিকটা দূরত্ব তৈরি হয়। হলমার্কের ঘটনা সোনালী ব্যাংকের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে অর্থমন্ত্রী একাধিকবার দাবি করেন।
No comments