বিরোধীদলীয় নেতা হচ্ছেন রওশন
সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ |
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন
এরশাদই হচ্ছেন বিরোধী দলের নেতা। বুধবার জাতীয় সংসদে দলটির নির্বাচিত
এমপিদের সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। দলীয় এমপিরা রওশনকে দলনেতা
নির্বাচিত করেন। পরে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে রওশন নিজেই
আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানান। আজ শপথ নেবে দলটির নবনির্বাচিত এমপিরা। দলের
চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও শপথ নেবেন বলে জানানো হয়। আওয়ামী লীগ ও
বিএনপির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে মধ্যবর্তী নির্বাচন হলে
জাতীয় পার্টির আপত্তি নেই বলেও জানান তিনি। মরে গেলেও নির্বাচনে যাব না_
এরশাদ গত ৪ ডিসেম্বর এ ঘোষণা দিলেও তার সম্মতিতেই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে
অংশ নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান রওশন এরশাদ। এরশাদ নির্বাচন বর্জনের
ঘোষণা দিলেও তার নেতৃত্বে দলের একাংশ নির্বাচনে অংশ নেয়। শীর্ষস্থানীয়
নেতাদের মধ্যে একমাত্র জিএম কাদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকেন। বিএনপিবিহীন ৫
জানুয়ারির নির্বাচনে ৩৩ আসন পেয়ে সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে
আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টিই সংসদে প্রধান বিরোধী দল হবে
বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান রওশন। কেমন বিরোধী দল হবে জাতীয় পার্টি? এ
প্রশ্নে রওশন সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, 'বিরোধী দল যেমন হয় জাতীয় পার্টি
তেমন বিরোধী দলই হবে। সংসদ হবে সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।' বিরোধী
দলের আসনে বসলেও জাতীয় পার্টি সরকারে যোগ দেবে কি-না? এ প্রশ্নে তিনি বলেন,
'এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। কয়েকদিন সময় লাগবে।'
গত দুই দিনে বড় প্রশ্ন ছিল বিরোধী দলের নেতা কে হচ্ছেন? এরশাদ না রওশন? সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই এ প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এ প্রশ্নে বাম পাশে বসা দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রওশনের দিকে দেখিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'নবনির্বাচিত এমপিরা রওশন এরশাদকে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করেছেন।'
দলের প্রধান হিসেবে এরশাদকে বাদ দিয়ে রওশন কেন বিরোধী দলের নেতা হচ্ছেন? রওশন নিজেই এর উত্তর দেন। বলেন, 'আমাদের দলের চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এখন বিরোধীদলীয় নেতা হতে চাচ্ছেন না।' এরশাদের দোয়া ও সমর্থন নিয়েই বিরোধী দলের নেতা হতে যাচ্ছেন বলে জানান রওশন। বলেন, 'তিনি আমাকে বলেছেন 'তুমিই বিরোধীদলীয় নেতা হও। আমার দোয়া তোমার সঙ্গে থাকল।'
কোনো চাপের কারণে এরশাদকে বাদ দিয়ে রওশন বিরোধী দলের নেতা হচ্ছেন কি-না? এ প্রশ্ন এড়িয়ে সাবেক এ ফার্স্টলেডি বলেন, 'ওনি আমাদের সঙ্গে আছেন। সব সময়ই আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। শরীর খারাপের জন্য সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) আছেন, যাতে শরীরে চাপ না পড়ে। কিছুদিনের মধ্যে ডাক্তাররা ওনাকে ছেড়ে দেবেন।'
এরশাদের সম্মতি থাকলে তিনি সংসদীয় দলের সভায় নেই কেন? এ প্রশ্নে রওশন বলেন, 'ওনার সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে। ওনিও কাল (আজ) শপথ নেবেন।' জিএম কাদেরের অবস্থান প্রসঙ্গে বলেন, 'তিনিও আমাদের সঙ্গেই আছেন।'
বিএনপির নির্বাচন বর্জন এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে রওশন বলেন, 'আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হলে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধা নেই। আমি বড় দুই দলকেই বলব, আপনারা আলোচনায় বসুন। সমঝোতা করুন। তাহলে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে বাধা নেই।' তবে রওশন বলেন, 'সংলাপের জন্য সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।'
সংবাদ সম্মেলনের আগে জাতীয় সংসদে দলের সংসদীয় সভাকক্ষে সভা করেন জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত এমপিরা। সভায় উপস্থিত ময়মনসিংহ জেলার এক এমপি সমকালকে জানান, বৈঠক চলাকালে এরশাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন রওশন। বৃহস্পতিবার শপথ নিতে বলেন। এরশাদ কোনো স্পষ্ট উত্তর দেননি বলে জানান এ এমপি। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত এমপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মুজিবুল হক চুন্নু, তাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, সালাহউদ্দিন মুক্তি প্রমুখ।
গত দুই দিনে বড় প্রশ্ন ছিল বিরোধী দলের নেতা কে হচ্ছেন? এরশাদ না রওশন? সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই এ প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এ প্রশ্নে বাম পাশে বসা দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রওশনের দিকে দেখিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'নবনির্বাচিত এমপিরা রওশন এরশাদকে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করেছেন।'
দলের প্রধান হিসেবে এরশাদকে বাদ দিয়ে রওশন কেন বিরোধী দলের নেতা হচ্ছেন? রওশন নিজেই এর উত্তর দেন। বলেন, 'আমাদের দলের চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এখন বিরোধীদলীয় নেতা হতে চাচ্ছেন না।' এরশাদের দোয়া ও সমর্থন নিয়েই বিরোধী দলের নেতা হতে যাচ্ছেন বলে জানান রওশন। বলেন, 'তিনি আমাকে বলেছেন 'তুমিই বিরোধীদলীয় নেতা হও। আমার দোয়া তোমার সঙ্গে থাকল।'
কোনো চাপের কারণে এরশাদকে বাদ দিয়ে রওশন বিরোধী দলের নেতা হচ্ছেন কি-না? এ প্রশ্ন এড়িয়ে সাবেক এ ফার্স্টলেডি বলেন, 'ওনি আমাদের সঙ্গে আছেন। সব সময়ই আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। শরীর খারাপের জন্য সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) আছেন, যাতে শরীরে চাপ না পড়ে। কিছুদিনের মধ্যে ডাক্তাররা ওনাকে ছেড়ে দেবেন।'
এরশাদের সম্মতি থাকলে তিনি সংসদীয় দলের সভায় নেই কেন? এ প্রশ্নে রওশন বলেন, 'ওনার সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে। ওনিও কাল (আজ) শপথ নেবেন।' জিএম কাদেরের অবস্থান প্রসঙ্গে বলেন, 'তিনিও আমাদের সঙ্গেই আছেন।'
বিএনপির নির্বাচন বর্জন এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে রওশন বলেন, 'আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হলে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধা নেই। আমি বড় দুই দলকেই বলব, আপনারা আলোচনায় বসুন। সমঝোতা করুন। তাহলে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে বাধা নেই।' তবে রওশন বলেন, 'সংলাপের জন্য সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।'
সংবাদ সম্মেলনের আগে জাতীয় সংসদে দলের সংসদীয় সভাকক্ষে সভা করেন জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত এমপিরা। সভায় উপস্থিত ময়মনসিংহ জেলার এক এমপি সমকালকে জানান, বৈঠক চলাকালে এরশাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন রওশন। বৃহস্পতিবার শপথ নিতে বলেন। এরশাদ কোনো স্পষ্ট উত্তর দেননি বলে জানান এ এমপি। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত এমপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মুজিবুল হক চুন্নু, তাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, সালাহউদ্দিন মুক্তি প্রমুখ।
No comments