মালোপাড়ার নারীরা বাড়ি ফিরছেন
(নওয়াপাড়ায় মানববন্ধন) যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের
মালোপাড়ার নারীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ৫ জানুয়ারি ভোট দিতে যাওয়ায়
নির্বাচনের পরপরই বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের দুর্বৃত্তরা ৩ দফা মালোপাড়ায়
তাণ্ডব চালানোর পর বাড়িঘর ছেড়েছিলেন তারা। পরদিন স্থানীয় প্রশাসন ও
রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বাসে তারা বাড়ি ফিরলেও ফের হামলার আশঙ্কায় অধিকাংশ
নারী রাতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে যেতেন। হামলার পরদিন মালোপাড়ায়
নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হয় দুটি ক্যাম্প। মিলেছে সরকারি, নিরাপত্তা
বাহিনীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এনজিও এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক সাহায্য।
১০ জানুয়ারি তাদের দেখতে ও সমবেদনা জানাতে এসেছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। গত শনিবার বর্বরতার চিত্র দেখতে আসেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে নতুন আইন পাস করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মালোপাড়ার সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। গত দুই দিনে অধিকাংশ নারী বাড়ি ফিরে এসেছেন। এলাকার প্রহ্লাদ বর্মণ জানান, চরম ভয় আর অজানা আতঙ্ক জুড়ে বসেছিল আমাদের। হামলার পর অধিকাংশ মেয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে যায়। বর্তমানে আমরা কিছুটা সাহস অনুভব করছি। বাড়ি ফিরে এসেছেন দুর্গা রানী বিশ্বাসের তিন পুত্রবধূ ও প্রতিবন্ধী মেয়ে অনিমা (২৫)।
আতঙ্কে ঘরে ফিরতে পারছিলেন না দুলাল বিশ্বাসের স্কুল-কলেজ পড়ূয়া চার মেয়ে অনিতা, নিপা, মঙ্গলী ও নিতু। তারাও বাড়ি ফিরে এসেছে বলে দুলাল বিশ্বাস জানান। অভয়নগর থানার ওসি এমদাদ হোসেন বলেন, 'মালোপাড়ার নিরাপত্তার জন্য দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মালোপাড়ার বাসিন্দাদের ভীতি দূর না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হবে না। এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্বাচন-উত্তর সহিংসতা, ভাংচুর, অগি্নকাণ্ড, লুটপাট এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে নওয়াপাড়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে অভয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে নওয়াপাড়া কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধনে সহস্রাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন। অভয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হরিপদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক, ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা খাতুন, আওয়ামী লীগ নেতা গাজী নজরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বৈকুণ্ঠ বিহারী, পৌর কাউন্সিলর মোল্যা ওলিয়ার রহমান, নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, অভয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা শিবু প্রসাদ সাহা, প্রভাষক দেবাশীষ রাহা, নিরাপদ শিকদার, বুলবুল বৈরাগী প্রমুখ।
১০ জানুয়ারি তাদের দেখতে ও সমবেদনা জানাতে এসেছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। গত শনিবার বর্বরতার চিত্র দেখতে আসেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে নতুন আইন পাস করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মালোপাড়ার সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। গত দুই দিনে অধিকাংশ নারী বাড়ি ফিরে এসেছেন। এলাকার প্রহ্লাদ বর্মণ জানান, চরম ভয় আর অজানা আতঙ্ক জুড়ে বসেছিল আমাদের। হামলার পর অধিকাংশ মেয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে যায়। বর্তমানে আমরা কিছুটা সাহস অনুভব করছি। বাড়ি ফিরে এসেছেন দুর্গা রানী বিশ্বাসের তিন পুত্রবধূ ও প্রতিবন্ধী মেয়ে অনিমা (২৫)।
আতঙ্কে ঘরে ফিরতে পারছিলেন না দুলাল বিশ্বাসের স্কুল-কলেজ পড়ূয়া চার মেয়ে অনিতা, নিপা, মঙ্গলী ও নিতু। তারাও বাড়ি ফিরে এসেছে বলে দুলাল বিশ্বাস জানান। অভয়নগর থানার ওসি এমদাদ হোসেন বলেন, 'মালোপাড়ার নিরাপত্তার জন্য দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মালোপাড়ার বাসিন্দাদের ভীতি দূর না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হবে না। এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্বাচন-উত্তর সহিংসতা, ভাংচুর, অগি্নকাণ্ড, লুটপাট এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে নওয়াপাড়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে অভয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে নওয়াপাড়া কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধনে সহস্রাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন। অভয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হরিপদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক, ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা খাতুন, আওয়ামী লীগ নেতা গাজী নজরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বৈকুণ্ঠ বিহারী, পৌর কাউন্সিলর মোল্যা ওলিয়ার রহমান, নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, অভয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা শিবু প্রসাদ সাহা, প্রভাষক দেবাশীষ রাহা, নিরাপদ শিকদার, বুলবুল বৈরাগী প্রমুখ।
No comments