গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখোমুখি হতে পারেন দেবযানী
নয়াদিল্লিতে ফেরত আসা দেবযানী খোবরাগাড়ে খু বেশিদিন কূটনৈতিক দায়মুক্তি সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না। যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জেন সাকি শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে আÍসমর্পণের উদ্দেশ ছাড়া দেবযানী যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারবে না, এ কথা দেশে ফেরার আগে আগে তাকে ও ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে। মুখপাত্র আরও বলেন, ভবিষ্যতে দেবযানীর জন্যে যেন ভিসা ইস্যু না হয় সে লক্ষ্যে ভিসা ও ইমিগ্রেশন বিভাগে তার নাম তালিকাভুক্ত করে রাখা হবে। এছাড়া দেবযানীর যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের প্রেক্ষাপটে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হতে পারে। তিনি বলেন, দেবাযানীর যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়গুলোতে কোনো হেরফের হবে না। বৃহস্পতিবার মার্কিন আদালত দেবযানীকে ভিসা জালিয়াতি ও ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ বহাল থাকবে বলে জানান মার্কিন এ কর্মকর্তা। এদিকে প্রায় এক মাস ধরে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ে। শুক্রবার রাতে তিনি নয়াদিল্লিতে পৌঁছান বলে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ভিসা জালিয়াতি ও ভুল তথ্য দেয়ার জন্য বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর কূটনীতিক ছাড় নিয়ে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন দেবযানী। এদিকে এ ঘটনার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে দেবযানীর সম-পদমর্যাদার একজন কূটনীতিককে দিল্লি দূতাবাস থেকে সরিয়ে নিতে বলেছে ভারত। ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা দেবযানী সংশ্লিষ্ট মামলায় জড়িত ছিলেন। গৃহকর্মীর ভিসা আবেদনে মজুরি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং তাকে চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক না দিয়ে বেশি কাজ করানোর অভিযোগে গত ১২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিবস্ত্র করে দেহ তল্লাশি এবং মাদক কারবারি ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে এক কারাকক্ষে রাখার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক।
No comments