এসএমইর নামে অন্য ঋণ by ওবায়দুল্লাহ রনি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন |
কম
নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণের কৌশল হিসেবে অন্য খাতের ঋণ
এসএমইতে প্রদর্শন করেছে বেশ কিছু ব্যাংক। এ ছাড়া এসএমই ঋণের ক্ষেত্রে অনেক
ব্যাংক বিভিন্ন নামে অযৌক্তিক চার্জ আরোপ করছে। মুনাফা বাড়াতে তারা এই
অনিয়ম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিদর্শনে এই অনিয়মের তথ্য উঠে
এসেছে। ব্যাংকের প্রকৃত আর্থিক পরিস্থিতি প্রতিফলিত না হওয়ায় ব্যাংকের ঋণ
ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছে পরিদর্শক দল। এমন পরিস্থিতিতে এসএমই ঋণের সংজ্ঞা
পুনর্নির্ধারণ, বর্তমানে প্রযোজ্য দশমিক ২৫ শতাংশের পরিবর্তে আগের নিয়মে ১
শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে তারা। এ বিষয়ে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, অধিক
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
উৎসাহিত করে। তবে এসএমই ঋণের খরচ বেশি হয় বলে ব্যাংকগুলো অন্য খাতের ঋণ এ
খাতে দেখিয়ে দিচ্ছে। এটি বড় ধরনের অন্যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকিতে
দুর্বলতা এবং সুশাসনের অভাবে এমন হচ্ছে। এক খাতের ঋণ অন্য খাতে দেখানো
বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর হতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংককে শুধু
নীতিমালা প্রণয়ন করলেই চলবে না, তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এসএমই ঋণের সার্বিক বিষয়ে একটি ধারণা পেতে সম্প্রতি ৩০টি ব্যাংক ও ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৫৪টি শাখা এবং ১১৫টি এসএমই সার্ভিস সেন্টারের ওপর বিশদ পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের আরও ৬৬টি শাখা পরিদর্শন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই বিভাগ এখন পরিদর্শন-পরবর্তী বিষয়ে কাজ করছে।
পরিদর্শনে দেখা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী অশ্রেণীকৃত সাধারণ ঋণের বিপরীতে ১ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর এসএমই ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হচ্ছে দশমিক ২৫ শতাংশ হারে। ব্যাংকগুলো সাধারণ প্রভিশন কম দেখানোর মাধ্যমে মুনাফা স্ফীত করতে এসএমই বহির্ভূর্ত ঋণকে এসএমই হিসেবে দেখাচ্ছে। ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো এসএমই ঋণ বিবরণী এবং ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশন সংরক্ষণ বিবরণীতে বর্ণিত তথ্যেও গরমিল রয়েছে। সে অনুযায়ী, এসএমই ঋণের বিবরণীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রীয় মালিকানার একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের ৫টি শাখায় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বেসরকারি খাতের ৪টি ব্যাংকের ৫১টি শাখায় ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার বাড়তি প্রভিশন সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান সমকালকে বলেন, পরিদর্শনে উঠে আসা অনিয়মের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া নীতিমালায় কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
পরিদর্শক দল বলেছে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা ও পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা এসএমই ঋণের মূল লক্ষ্য হলেও তা ব্যাহত হচ্ছে। এসএমই ঋণের অধিকাংশই বিতরণ হচ্ছে ব্যবসা খাতে। কিছু দেওয়া হয়েছে সেবা খাতে এবং নামমাত্র শিল্প খাতে। নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে খুব সামান্য। এ ছাড়া অনেক ব্যাংক এসএমই ঋণের বিপরীতে নির্ধারিত হারে সুদ আদায় ছাড়াও প্রসেসিং ফি, ঋণ আবেদন ফি, কর, ডকুমেন্টেশন চার্জ, জীবন বীমা ফি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অগি্ন বীমা বাবদ ঋণ গ্রহীতা থেকে বিপুল অংকের টাকা আদায় করছে। এ ধরনের ফিস আদায় অযৌক্তিক। অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নামমাত্র এসএমই ঋণ বিতরণ করে ব্যাপক সাফল্য প্রচার ও মুনাফা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ নিচ্ছে। এসএমই ঋণের ব্যাপ্তির তুলনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিয়োজিত জনবল কম থাকায় অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত চিত্র আসে না বলেও এতে
উল্লেখ রয়েছে।
সরকার প্রণীত শিল্পনীতি-২০১০-এর আলোকে এসএমই ঋণের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা অনুযায়ী, জমি ও ভবন ব্যতিরেকে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা অথবা কর্মরত জনবল ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ জন, সেসব প্রতিষ্ঠান এসএমই খাতের আওতায় ঋণ নিতে পারে। এই সংজ্ঞার অপব্যবহার করে ব্যাংকগুলো ওই সীমার আওতায় থাকা যে কোনো ধরনের ঋণকে এসএমইএ ঋণ হিসেবে দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল তাদের সুপারিশে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে।
এসএমই ঋণের সার্বিক বিষয়ে একটি ধারণা পেতে সম্প্রতি ৩০টি ব্যাংক ও ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৫৪টি শাখা এবং ১১৫টি এসএমই সার্ভিস সেন্টারের ওপর বিশদ পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের আরও ৬৬টি শাখা পরিদর্শন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই বিভাগ এখন পরিদর্শন-পরবর্তী বিষয়ে কাজ করছে।
পরিদর্শনে দেখা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী অশ্রেণীকৃত সাধারণ ঋণের বিপরীতে ১ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর এসএমই ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হচ্ছে দশমিক ২৫ শতাংশ হারে। ব্যাংকগুলো সাধারণ প্রভিশন কম দেখানোর মাধ্যমে মুনাফা স্ফীত করতে এসএমই বহির্ভূর্ত ঋণকে এসএমই হিসেবে দেখাচ্ছে। ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো এসএমই ঋণ বিবরণী এবং ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশন সংরক্ষণ বিবরণীতে বর্ণিত তথ্যেও গরমিল রয়েছে। সে অনুযায়ী, এসএমই ঋণের বিবরণীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রীয় মালিকানার একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের ৫টি শাখায় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বেসরকারি খাতের ৪টি ব্যাংকের ৫১টি শাখায় ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার বাড়তি প্রভিশন সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান সমকালকে বলেন, পরিদর্শনে উঠে আসা অনিয়মের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া নীতিমালায় কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
পরিদর্শক দল বলেছে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা ও পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা এসএমই ঋণের মূল লক্ষ্য হলেও তা ব্যাহত হচ্ছে। এসএমই ঋণের অধিকাংশই বিতরণ হচ্ছে ব্যবসা খাতে। কিছু দেওয়া হয়েছে সেবা খাতে এবং নামমাত্র শিল্প খাতে। নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে খুব সামান্য। এ ছাড়া অনেক ব্যাংক এসএমই ঋণের বিপরীতে নির্ধারিত হারে সুদ আদায় ছাড়াও প্রসেসিং ফি, ঋণ আবেদন ফি, কর, ডকুমেন্টেশন চার্জ, জীবন বীমা ফি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অগি্ন বীমা বাবদ ঋণ গ্রহীতা থেকে বিপুল অংকের টাকা আদায় করছে। এ ধরনের ফিস আদায় অযৌক্তিক। অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নামমাত্র এসএমই ঋণ বিতরণ করে ব্যাপক সাফল্য প্রচার ও মুনাফা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ নিচ্ছে। এসএমই ঋণের ব্যাপ্তির তুলনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিয়োজিত জনবল কম থাকায় অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত চিত্র আসে না বলেও এতে
উল্লেখ রয়েছে।
সরকার প্রণীত শিল্পনীতি-২০১০-এর আলোকে এসএমই ঋণের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা অনুযায়ী, জমি ও ভবন ব্যতিরেকে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা অথবা কর্মরত জনবল ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ জন, সেসব প্রতিষ্ঠান এসএমই খাতের আওতায় ঋণ নিতে পারে। এই সংজ্ঞার অপব্যবহার করে ব্যাংকগুলো ওই সীমার আওতায় থাকা যে কোনো ধরনের ঋণকে এসএমইএ ঋণ হিসেবে দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল তাদের সুপারিশে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে।
No comments