পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের আহ্বান
বাণিজ্যমেলায় গণজাগরণ মঞ্চের র্যালি |
পাকিস্তানি
পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। গতকাল বিকেলে শেরেবাংলা নগরে
শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সামনের সড়কে বিভিন্ন
প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে র্যালি থেকে এ আহ্বান জানান মঞ্চের কর্মীরা। এ
সময় মেলার ভিআইপি গেটের সামনে র্যালি আটকে দেয় পুলিশ। পরে তারা মেলার
প্রধান গেটের সামনে পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময়
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, পাকিস্তানি পণ্য বর্জন করে
দেশি পণ্য কেনার ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত পাকিস্তান ক্ষমা
না চাইবে ততদিন পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত
করার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশি স্টলে পাকিস্তানি পণ্য বিক্রি বন্ধের
দাবি জানান ইমরান। মেলায় পাকিস্তানি স্টলে পণ্য বিক্রির সুযোগ বন্ধের দাবি
করা হলেও কেন অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এ
সময় মেলার গেট ইজারাদার শীর শহীদুল্লাহ বলেন, পাকিস্তানি পণ্য মেলায় বিক্রি
হচ্ছে না। গেট দিয়ে কোনো পাকিস্তানি পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে তিনি
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের আশ্বস্ত করেন। পরে মঞ্চের কর্মীরা সাময়িকভাবে
ক্যাম্পেইন স্থগিত করে র্যালি নিয়ে ফিরে যান। তখন ইমরান এইচ সরকার বলেন,
আবার যদি পাকিস্তানি পণ্য বিক্রির সুযোগ দেওয়া হয় তখন মেলায় পণ্য বর্জনের
ক্যাম্পেইন শুরু করা হবে। গতকাল দ্বিতীয় দিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বাইরের
গেটের সামনে বিভিন্ন দেশের পতাকা থাকলেও পাকিস্তানের পতাকা নেই। তবে মেলার
মধ্যে নাম ছাড়া প্যাভিলিয়নে পাকিস্তানি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। পোস্ট অফিসের
পাশে দুটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এসব প্যাভিলিয়নের মধ্যে কয়েকটি স্টলে শাল,
জুতা ও থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পাকিস্তানি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। মেলার প্রধান
গেটের ডান দিকে কিয়ামের বিপরীতে নাম ছাড়া পাকিস্তানি স্টলে ১ হাজার টাকায়
ন্যাশনাল প্রিমিয়ার কিচেন সেট বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া ২ নম্বর গেটের পাশে
দুটি পাকিস্তানি প্যাভিলিয়নে এখনও বিক্রি শুরু হয়নি।
গতকাল মেলার দ্বিতীয় দিনে বিকেলে দর্শনার্থীদের কিছুটা ভিড় বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্রেতা গৃহস্থালি সামগ্রী, প্লাস্টিক ও খাদ্যপণ্য কেনাকাটা করেছেন। অন্যান্য পণ্য বিক্রি কিছুটা কম হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বিদেশি ক্রেতারাও পণ্য কেনাকাটা শুরু করেছেন। গতকাল মেলায় এসেছেন স্পেনের বাসিন্দা মারিয়ানা। একটি বায়িং হাউসের এ কর্মকর্তা বিভিন্ন ধরনের পোশাক কেনাকাটা করেন। নানা ডিজাইনের নমুনা পণ্য সংগ্রহ করেছেন। বাংলাদেশি পণ্যের মান ও ধরন দেখে তিনি খুশি। এ ধরনের আরও পণ্য কেনাকাটা করবেন বলে জানান তিনি। ব্যবসায়ীরা জানান, মেলার শুরুতে প্রতি বছর দর্শনার্থী কম হয়। তবে চলতি সপ্তাহে তিন দিন ছুটি রয়েছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। এ কারণে শুরুতে শঙ্কিত থাকলেও এখন অনেক স্বস্তিতে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দিলি্ল অ্যালুমিনিয়ামের প্যাভিলিয়ন ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ্দিন সমকালকে বলেন, অবরোধের কারণে এখন ঢাকার দর্শনার্থীরা আসছেন। আগামী দু'দিন কর্মসূচি নেই, তখন ঢাকার আশপাশের ক্রেতারা আসবেন বলে আশা করছেন তিনি। তা ছাড়া মঙ্গলবার ছুটির দিনে বেচাকেনা বাড়বে এবং শুক্রবার থেকে পুরোপুরি মেলা জমে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল মেলার দ্বিতীয় দিনে বিকেলে দর্শনার্থীদের কিছুটা ভিড় বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্রেতা গৃহস্থালি সামগ্রী, প্লাস্টিক ও খাদ্যপণ্য কেনাকাটা করেছেন। অন্যান্য পণ্য বিক্রি কিছুটা কম হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বিদেশি ক্রেতারাও পণ্য কেনাকাটা শুরু করেছেন। গতকাল মেলায় এসেছেন স্পেনের বাসিন্দা মারিয়ানা। একটি বায়িং হাউসের এ কর্মকর্তা বিভিন্ন ধরনের পোশাক কেনাকাটা করেন। নানা ডিজাইনের নমুনা পণ্য সংগ্রহ করেছেন। বাংলাদেশি পণ্যের মান ও ধরন দেখে তিনি খুশি। এ ধরনের আরও পণ্য কেনাকাটা করবেন বলে জানান তিনি। ব্যবসায়ীরা জানান, মেলার শুরুতে প্রতি বছর দর্শনার্থী কম হয়। তবে চলতি সপ্তাহে তিন দিন ছুটি রয়েছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। এ কারণে শুরুতে শঙ্কিত থাকলেও এখন অনেক স্বস্তিতে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দিলি্ল অ্যালুমিনিয়ামের প্যাভিলিয়ন ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ্দিন সমকালকে বলেন, অবরোধের কারণে এখন ঢাকার দর্শনার্থীরা আসছেন। আগামী দু'দিন কর্মসূচি নেই, তখন ঢাকার আশপাশের ক্রেতারা আসবেন বলে আশা করছেন তিনি। তা ছাড়া মঙ্গলবার ছুটির দিনে বেচাকেনা বাড়বে এবং শুক্রবার থেকে পুরোপুরি মেলা জমে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments