আইতজাজের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি দেবে মালালা
পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বিদ্যালয়ছাত্র আইতজাজ হাসানের পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে আইতজাজকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক দেওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সে। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের হাঙ্গু জেলার বিদ্যালয়ছাত্র আইতজাজ জীবন দিয়ে আত্মঘাতী হামলা ঠেকিয়ে তার প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচিয়েছে। ওই দেশের গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে এবং তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানায়। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
মালালা বলে, ‘আমি মর্মাহত যে, সহিংসতা আমার দেশের আরেকটি শিশুর জীবন কেড়ে নিল। তবে আমি গর্বিত, আইতজাজের মতো সাহসী ছেলেরা আমাদের দেশে রয়েছে। নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে সে শত শত শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাল।’ আইতজাজের বাবা মুজাহিদ আলী বাঙ্গাস গত বৃহস্পতিবার জানান, তাঁর কোনো দুঃখ নেই, বরং ছেলের জন্য তিনি গর্বিত। মুজাহিদ বলেন, ‘অনেকেই সমবেদনা জানাতে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। সহানুভূতি দেখানোর চেষ্টা করলে আমি তাঁদের বলি, সহানুভূতি নয়, আমাকে অভিনন্দন জানান। কারণ, আমি একজন শহীদ সন্তানের বাবা। আমার দ্বিতীয় ছেলেও দেশের জন্য জীবন দিলে আমি আরও খুশি হব।’ ওই ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম আইতজাজকে নায়ক হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা দেওয়ার দাবি উঠেছে। আইতজাজকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক দেওয়ার সুপারিশ করে সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পুলিশপ্রধান নাসির খান দুররানি। ৬ জানুয়ারি একজন আত্মঘাতী হামলাকারী বিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে ঠেকিয়ে দেয় আইতজাজ। ওই সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই হামলাকারী মারা যায়। এতে আহত আইতজাজ ৯ জানুয়ারি হাসপাতালে মারা যায়। এএফপি।
No comments