আম আদমির ভিড়ে ভেস্তে গেল জনতার দরবার
‘আম আদমি’র চাপে প্রথম আম দরবারের মাঝপথ থেকেই চলে যেতে বাধ্য হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়তে হেল্পলাইন চালু করার পর প্রতি শনিবার ‘জনতার দরবার’ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন শুক্রবার, যেদিন মন্ত্রিসভার সব সদস্য একসঙ্গে জনতার কথা শুনবেন। প্রতিশ্র“তি মতো শনিবার থেকে শুরু করেছিলেন জনতার দরবার। কিন্তু দিল্লির আম আদমির বিপুল ভিড় দরবার ছাড়তে বাধ্য করল কেজরিওয়ালকে। যেমনটা বলেছিলেন শুরুটাও তেমনভাবেই করতে চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রবল শীত উপেক্ষা করে দিল্লির সচিবালয়ের সামনে শুরু হয় এ অভিনব দরবার। জনতার অভিযোগ শুনতে সেখানে বেঞ্চ পেতে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীসহ গোটা মন্ত্রিসভা। অভিযোগ জানাতে সাত সকালেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
অনিয়ন্ত্রিত সেই ভিড় সামলাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। বিশৃংখলার মধ্যে মাঝপথেই সভা ছাড়েন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রস্তুতির ঘাটতির কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। এত ভিড় হবে আশা করিনি। পরের বার ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েই বসবে দরবার। লোকজন উৎসাহিত হয়ে আমার চেয়ার-টেবিলের উপর উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছিল। সবাই চাইছিল আমার সঙ্গে দেখা করতে। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে এসেছি। আমি চলে আসতাম না, কিন্তু মনে হচ্ছিল এত লোকের তাড়াহুড়ায় অনেকে পদদলিত হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত জনতার দরবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী দরবারের দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। পূর্ব ঘোষণা মতে, শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিন জনতার দরবারে অভিযোগ শোনার জন্য মন্ত্রিসভার একজন সদস্য উপস্থিত থাকবেন। স্কুল অথবা হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত জরুরি বিষয়গুলো সঙ্গে সঙ্গেই মেটানো হবে। অন্যদিকে নীতি সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ থাকলে তা মেটানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়া হবে।
No comments