জামায়াত নিষিদ্ধে বিল ‘আসছে’ by মঈনুল হক চৌধুরী
শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ডাকে তিন মিনিট
নীরবতা কর্মসূচি পালনের পর তারা সাংবাদিকদের একথা বলেন। যুদ্ধাপরাধীদের
ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ৩ মিনিট সারাদেশে নীরবতা কর্মসূচি পালিত হয় দেশজুড়ে।
১৪ দলের নেতারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে তরুণদের এই কর্মসূচিতে সাড়া দেন।
কর্মসূচির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, “জামায়াত নিষিদ্ধের বিল সংসদে উপস্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলতি সংসদে এ বিল উঠবে।”
পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী এই কথা বলার সময় তার পাশেই ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
তরুণ প্রজন্মের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে, এর প্রক্রিয়া চলছে। (বিল আকারে সংসদে উপস্থাপনে) কিছুটা সময় তো লাগবে।”
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি রয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর। এই দাবিতে তারা গত ডিসেম্বরে হরতালও করে, যাতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখা যায়।
এই দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ অনেকদিন ধরে বলে আসছিল, তারা কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়।
তবে সিপিবি ও বাসদের হরতালের পর আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেছিলেন, জাতীয় ঐকমত্য হলে জামায়াত নিষিদ্ধ করা যায়।
এরপর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুটি রায়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসেবে জামায়াতের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসা এবং শাহবাগের আন্দোলন শুরুর পর এখন নিষিদ্ধের কথা সরাসরি বলছেন সরকারি দলের নেতারা।
সাজেদা ও লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য ঐকমত্য দরকার।
হানিফ বলেন, “ঐকমত্য এসেছে, এতে অন্যান্য বড় দলেরও সহায়তা প্রয়োজন। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
জামায়াত প্রধান বিরোধী দল বিএনপির জোটসঙ্গী।
১৪ দলের আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যদলগুলো জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে একাট্টা।
নীরবতার কর্মসূচির পর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি তো আগেই নিষিদ্ধ ছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান তাদের পুনর্বাসন করেছে।”
“জনগণ জেগে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন তা জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। কোনো দেশেই এ ধরনের রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নেই।”
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের আটজন নেতার বিচার এখনো চলছে। সাজা হয়েছে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার।
গোলাম আযমসহ আটক শীর্ষনেতাদের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ থেকে জামায়াত-শিবির গত কিছুদিন ধরে পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
মঙ্গলবারও রাজধানীর দুটি স্থানে শিবিরের তাণ্ডব চলে। শিবিরকর্মীরা বোমা বিস্ফোরণের পাশাপাশি গুলিও চালায়।
কারওয়ান বাজার ও মতিঝিলে শিবিরকর্মীদের নাশকতার চেষ্টা পুলিশ ‘সঠিক’ভাবে প্রতিহত করতে পেরেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ।
তিনি বলেন, “তাদের তাণ্ডব কঠোর হস্তে দমন করা হবে। পুলিশ আজ প্রশংসনীয় কাজ করেছে। জনগণ তাদের এ তাণ্ডব রুখে দেবে।”
কর্মসূচির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, “জামায়াত নিষিদ্ধের বিল সংসদে উপস্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলতি সংসদে এ বিল উঠবে।”
পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী এই কথা বলার সময় তার পাশেই ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
তরুণ প্রজন্মের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে, এর প্রক্রিয়া চলছে। (বিল আকারে সংসদে উপস্থাপনে) কিছুটা সময় তো লাগবে।”
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি রয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর। এই দাবিতে তারা গত ডিসেম্বরে হরতালও করে, যাতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখা যায়।
এই দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ অনেকদিন ধরে বলে আসছিল, তারা কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়।
তবে সিপিবি ও বাসদের হরতালের পর আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেছিলেন, জাতীয় ঐকমত্য হলে জামায়াত নিষিদ্ধ করা যায়।
এরপর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুটি রায়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসেবে জামায়াতের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসা এবং শাহবাগের আন্দোলন শুরুর পর এখন নিষিদ্ধের কথা সরাসরি বলছেন সরকারি দলের নেতারা।
সাজেদা ও লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য ঐকমত্য দরকার।
হানিফ বলেন, “ঐকমত্য এসেছে, এতে অন্যান্য বড় দলেরও সহায়তা প্রয়োজন। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
জামায়াত প্রধান বিরোধী দল বিএনপির জোটসঙ্গী।
১৪ দলের আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যদলগুলো জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে একাট্টা।
নীরবতার কর্মসূচির পর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি তো আগেই নিষিদ্ধ ছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান তাদের পুনর্বাসন করেছে।”
“জনগণ জেগে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন তা জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। কোনো দেশেই এ ধরনের রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নেই।”
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের আটজন নেতার বিচার এখনো চলছে। সাজা হয়েছে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার।
গোলাম আযমসহ আটক শীর্ষনেতাদের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ থেকে জামায়াত-শিবির গত কিছুদিন ধরে পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
মঙ্গলবারও রাজধানীর দুটি স্থানে শিবিরের তাণ্ডব চলে। শিবিরকর্মীরা বোমা বিস্ফোরণের পাশাপাশি গুলিও চালায়।
কারওয়ান বাজার ও মতিঝিলে শিবিরকর্মীদের নাশকতার চেষ্টা পুলিশ ‘সঠিক’ভাবে প্রতিহত করতে পেরেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ।
তিনি বলেন, “তাদের তাণ্ডব কঠোর হস্তে দমন করা হবে। পুলিশ আজ প্রশংসনীয় কাজ করেছে। জনগণ তাদের এ তাণ্ডব রুখে দেবে।”
No comments