ভারতে কুম্ভমেলা থেকে ফেরার পথে পদদলিত হয়ে নিহত ৩৬
বিশ্বের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ভারতের মহাকুম্ভমেলায় অংশগ্রহণ শেষে ফেরার
সময় উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে
এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। আহত প্রায় ৩০ জনকে এলাহাবাদের স্বরূপ
রানি হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের অনেকের অবস্থা
আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা
পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে প্রথমে একটি
ফুটওভার ব্রিজের রেলিং ভাঙা থেকে ঘটনার সূত্রপাতের কথা বলা হলেও পরে
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের কথা বলা হয়েছে। গত রোববার
হিন্দু ধর্মীয় মতে 'মৌনি অমাবস্যা' হওয়ায় কয়েক কোটি মানুষ গঙ্গায়
পুণ্যস্নানের জন্য কুম্ভমেলায় জড়ো হয়েছিল। মেলা শেষে ফেরার পথে লাখ লাখ
মানুষ এসে এলাহাবাদ স্টেশনে জড়ো হয়।
স্টেশনটিতে তিলধারণের জায়গা ছিল না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় একটি লাইনে প্রায় ৪ হাজার লোক দাঁড়ালে সেখানে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উপস্থিত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
এ সময় স্টেশনের ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফুটওভার ব্রিজে লোকজন হুড়োহুড়ি করে উঠতে গেলে ব্রিজের সিঁড়িতে পদদলনের ঘটনাটি ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত শীষ ভাদুড়ি জানান, 'হঠাৎ আমার উপর প্রায় শ'খানেক লোক এসে পড়ে। তাদের চাপে আমার দুই পা ভেঙে যায়।'
তিনি এখনও পা দুটি নড়াচড়া করতে পারছেন না বলে জানান। ঘটনার জন্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে দায়ী করেছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ চন্দ্র বলেছেন, 'পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে কিনা তার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। এটা সত্য হতে পারে, তবে আমাদের কাছে এ সম্পর্কিত কোন তথ্য নেই। পুলিশের কোন শীর্ষ কর্মকর্তাও এটি নিশ্চিত করতে পারেননি।' রয়টার্স।
স্টেশনটিতে তিলধারণের জায়গা ছিল না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় একটি লাইনে প্রায় ৪ হাজার লোক দাঁড়ালে সেখানে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উপস্থিত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
এ সময় স্টেশনের ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফুটওভার ব্রিজে লোকজন হুড়োহুড়ি করে উঠতে গেলে ব্রিজের সিঁড়িতে পদদলনের ঘটনাটি ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত শীষ ভাদুড়ি জানান, 'হঠাৎ আমার উপর প্রায় শ'খানেক লোক এসে পড়ে। তাদের চাপে আমার দুই পা ভেঙে যায়।'
তিনি এখনও পা দুটি নড়াচড়া করতে পারছেন না বলে জানান। ঘটনার জন্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে দায়ী করেছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ চন্দ্র বলেছেন, 'পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে কিনা তার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। এটা সত্য হতে পারে, তবে আমাদের কাছে এ সম্পর্কিত কোন তথ্য নেই। পুলিশের কোন শীর্ষ কর্মকর্তাও এটি নিশ্চিত করতে পারেননি।' রয়টার্স।
No comments