সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিঃ ১১ মার্চ ২৪ ঘণ্টার গণমাধ্যম ধর্মঘট
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকা-ের বিচার দাবিতে চলমান আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাংবাদিক সমাজ।
আগামী
১১ মার্চ ২৪ ঘণ্টার জন্য গণমাধ্যম ধর্মঘট করবেন সাংবাদিকরা। ওইদিন ভোর
ছয়টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত সব গণমাধ্যমে এ ধর্মঘট পালিত হবে। এরপরও
সাগর-রুনির খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় না আনা হলে আন্দোলনের আরও
কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। সমাবেশে সাংবাদিক
নেতারা অভিযোগ করেন, সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত ও বিচারে সরকার আন্তরিক নয়। এই
তদন্তে র্যাব এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ টাকা খরচ করেছে। ১০-১৫ জনের ডিএনএ
যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। অথচ প্রকৃত আসামি এখনও শনাক্ত ও গ্রেফতার
হয়নি।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচারসহ নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল দুপুরে সাংবাদিক মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মহাসমাবেশের সভাপতি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, পেশাগত কাজের নিরাপত্তা ও মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে ওইদিন ভোর ছয়টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত দেশের সব সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদ সংস্থা, অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ও রেডিওতে সংবাদ প্রচার-প্রকাশ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচারসহ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার দাবিতে যৌথভাবে এ সাংবাদিক মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক হত্যার বিচার হবে না, এমন রাষ্ট্র আমরা চাই না। সাগর-রুনির হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কাছে স্মারকলিপি প্রদান করলে তিনি আমাদের বলেছিলেন, খুনিরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আজ আমরা জানতে চাই, সেই ব্যক্তিটি কে যাকে এখনও আইনের আওতায় আনা গেল না। র্যাব যদি তাদের তদন্ত শেষ করতে না পারে, তবে তাদের একদিন আমাদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত নিয়ে আপনি যে নাটক শুরু করেছেন তা সাংবাদিক সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমন একদিন আসবে, যেদিন সাংবাদিকরা আপনার অপসারণ দাবি করবে। শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে পুরো জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। নব্বইয়ে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছিল, সাংবাদিক হত্যাকারীদের বিচারের জন্য আমরা সেভাবেই সংবাদ মাধ্যম বন্ধ রাখার কঠিন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিএফইউজের অন্য সভাপতি রুহুল আমিন গাজী মহাসমাবেশে বলেন, হয় এবার সাংবাদিকরা বাঁচবে, না হয় খুনিরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে আপনি খেলবেন না। ফাইনাল খেলার আগে আপনার সঙ্গে সেমিফাইনাল খেলতে চাই।
বিএফইউজের মহাসচিব আবদুল জলিল ভঁূইয়া বলেন, সাংবাদিকরা তাদের অধিকার নিয়ে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন। তাই এখনও সময় আছে, আমাদের দাবি মেনে নেন। অন্য অংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার শুধু আশ্বাস দিয়ে একটি বছর পার করেছে। যখনই আমরা (সাংবাদিকরা) কোন কর্মসূচি দেই, তখনই সন্দেহভাজন কাউকে ধরা হয়। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভাড়াটে খুনি গ্রেফতার করা হয়েছে। শীঘ্রই হত্যার রহস্য বের হবে। তিনি বলেন, আমরা আর ধৈর্য ধরতে প্রস্তুত নই। হত্যাকা-টি সরকার ধামাচাপা দিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, বর্তমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে নানা সন্দেহ ও রহস্য তৈরি হয়েছে। আদৌ এ বিচার হবে কি না তা আমরা এখনও নিশ্চিত না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, এখনও সময় আছে এ হত্যাকা-ের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনুন। না হলে সাংবাদিক সমাজ যে আন্দোলন শুরু করবেন, তাতে আপনারা টিকতে পারবেন না।
ডিইউজের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতীত থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন না। বাবরের মতো 'জজ মিয়া' নাটক করে মানুষেকে খাওয়ানো যাবে না। আমাদের অন্দোলন নিয়ে অনেক সিনিয়র সাংবাদিকরা নানা কটাক্ষ করেছেন। সম্মানের খাতিরে কিছু না বললেও আগামীতে এর জবাব দেয়া হবে।
অন্য অংশের সভাপতি আবদুস শহিদ বলেন, প্রশাসনের তদন্ত নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে। তারা চায় না, এ হত্যাকা-ের বিচার হোক। এ হত্যাকা-ের সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। একদিন আপনাদের ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।
ডিআরইউর সভাপতি শাহেদ চৌধুরী বলেন, সাগর-রুনি হত্যার বিচারের আন্দোলনকে বানচাল করতে নানা যড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাতেও নানা চেষ্টা চলছে। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য বানচাল করতে পারবেন না।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকা-ে বিচারের নামে সরকার প্রহসনের নাটক সাজাচ্ছে। এজন্য তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন।
অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসেন বলেন, সরকারকে এ প্রহসনের তদন্ত বন্ধ করতে হবে। না হলে সাংবাদিকরা রাস্তায় থেকে আরও কঠোর কমসূচি দেবেন।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের নিজ বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। এ হত্যাকা-ে পর থেকেই সাংবাদিক সংগঠনগুলো বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। গত এক বছর ধরে সাংবাদিক সমাজ হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন করে এলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের বিচারের আওতায় না আনায় সাংবাদিক সমাজ ক্ষুব্ধ। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ডেইলি নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দীন আহমেদ।
মহাসমাবেশে যোগ দেন ঢাকাসহ সারাদেশের সাংবাদিকরা। এ আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের আঞ্চলিক ও বিটভিত্তিক সংগঠনগুলোও ব্যানার নিয়ে যোগ দেয় এ মহাসমাবেশে। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচারসহ নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল দুপুরে সাংবাদিক মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মহাসমাবেশের সভাপতি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, পেশাগত কাজের নিরাপত্তা ও মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে ওইদিন ভোর ছয়টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত দেশের সব সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদ সংস্থা, অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ও রেডিওতে সংবাদ প্রচার-প্রকাশ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচারসহ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার দাবিতে যৌথভাবে এ সাংবাদিক মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক হত্যার বিচার হবে না, এমন রাষ্ট্র আমরা চাই না। সাগর-রুনির হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কাছে স্মারকলিপি প্রদান করলে তিনি আমাদের বলেছিলেন, খুনিরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আজ আমরা জানতে চাই, সেই ব্যক্তিটি কে যাকে এখনও আইনের আওতায় আনা গেল না। র্যাব যদি তাদের তদন্ত শেষ করতে না পারে, তবে তাদের একদিন আমাদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত নিয়ে আপনি যে নাটক শুরু করেছেন তা সাংবাদিক সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমন একদিন আসবে, যেদিন সাংবাদিকরা আপনার অপসারণ দাবি করবে। শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে পুরো জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। নব্বইয়ে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছিল, সাংবাদিক হত্যাকারীদের বিচারের জন্য আমরা সেভাবেই সংবাদ মাধ্যম বন্ধ রাখার কঠিন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিএফইউজের অন্য সভাপতি রুহুল আমিন গাজী মহাসমাবেশে বলেন, হয় এবার সাংবাদিকরা বাঁচবে, না হয় খুনিরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে আপনি খেলবেন না। ফাইনাল খেলার আগে আপনার সঙ্গে সেমিফাইনাল খেলতে চাই।
বিএফইউজের মহাসচিব আবদুল জলিল ভঁূইয়া বলেন, সাংবাদিকরা তাদের অধিকার নিয়ে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন। তাই এখনও সময় আছে, আমাদের দাবি মেনে নেন। অন্য অংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার শুধু আশ্বাস দিয়ে একটি বছর পার করেছে। যখনই আমরা (সাংবাদিকরা) কোন কর্মসূচি দেই, তখনই সন্দেহভাজন কাউকে ধরা হয়। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভাড়াটে খুনি গ্রেফতার করা হয়েছে। শীঘ্রই হত্যার রহস্য বের হবে। তিনি বলেন, আমরা আর ধৈর্য ধরতে প্রস্তুত নই। হত্যাকা-টি সরকার ধামাচাপা দিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, বর্তমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে নানা সন্দেহ ও রহস্য তৈরি হয়েছে। আদৌ এ বিচার হবে কি না তা আমরা এখনও নিশ্চিত না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, এখনও সময় আছে এ হত্যাকা-ের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনুন। না হলে সাংবাদিক সমাজ যে আন্দোলন শুরু করবেন, তাতে আপনারা টিকতে পারবেন না।
ডিইউজের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতীত থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন না। বাবরের মতো 'জজ মিয়া' নাটক করে মানুষেকে খাওয়ানো যাবে না। আমাদের অন্দোলন নিয়ে অনেক সিনিয়র সাংবাদিকরা নানা কটাক্ষ করেছেন। সম্মানের খাতিরে কিছু না বললেও আগামীতে এর জবাব দেয়া হবে।
অন্য অংশের সভাপতি আবদুস শহিদ বলেন, প্রশাসনের তদন্ত নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে। তারা চায় না, এ হত্যাকা-ের বিচার হোক। এ হত্যাকা-ের সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। একদিন আপনাদের ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।
ডিআরইউর সভাপতি শাহেদ চৌধুরী বলেন, সাগর-রুনি হত্যার বিচারের আন্দোলনকে বানচাল করতে নানা যড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাতেও নানা চেষ্টা চলছে। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য বানচাল করতে পারবেন না।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকা-ে বিচারের নামে সরকার প্রহসনের নাটক সাজাচ্ছে। এজন্য তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন।
অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসেন বলেন, সরকারকে এ প্রহসনের তদন্ত বন্ধ করতে হবে। না হলে সাংবাদিকরা রাস্তায় থেকে আরও কঠোর কমসূচি দেবেন।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের নিজ বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। এ হত্যাকা-ে পর থেকেই সাংবাদিক সংগঠনগুলো বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। গত এক বছর ধরে সাংবাদিক সমাজ হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন করে এলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের বিচারের আওতায় না আনায় সাংবাদিক সমাজ ক্ষুব্ধ। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ডেইলি নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দীন আহমেদ।
মহাসমাবেশে যোগ দেন ঢাকাসহ সারাদেশের সাংবাদিকরা। এ আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের আঞ্চলিক ও বিটভিত্তিক সংগঠনগুলোও ব্যানার নিয়ে যোগ দেয় এ মহাসমাবেশে। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন।
No comments