৩১৫ এমপির গাড়ি আমদানিঃ এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার by শাহজাহান মোল্লা
চলতি সংসদে সরকার ও বিরোধীদলের ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৩১৫ জনই শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করেছেন।
এরমধ্যে
৫ কোটি থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকারও বেশি শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে সরকার ও
বিরোধীদলের ৮৬ জন সংসদ সদস্য বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেছেন। শুল্কমুক্ত
সুবিধা পাওয়ায় তাদের গাড়ির গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬২ লাখ টাকা থেকে ৭৯
লাখ টাকা। শুল্কমুক্ত সুবিধা নেয়ায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে প্রায় এক
হাজার কোটি টাকা।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী জানান, ৬ কোটি টাকারও বেশি শুল্কমুক্ত সুবিধায় দামি গাড়ি কিনেছেন স্পিকারসহ ১৬ জন সংসদ সদস্য, ৫ কোটি টাকা ৭০ জন, ৪ কোটি টাকা ৫৫ জন, ৩ কোটি টাকা ১৮ জন, ২ কোটি টাকা ৯০ জন এবং এক কোটি টাকা থেকে তার নিচে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে গাড়ি আমদানি করেছেন ৬৬ জন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের, খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, বিমানমন্ত্রী ফারুক খানসহ ৩৫ জন কোন গাড়ি আমদানি করেননি।
আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি নবম জাতীয় সংসদের ৩১৫ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত ৩১৫টি মোটর গাড়ি আমদানি করেছেন। অর্থমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের নাম ও গাড়ির বিবরণ, শুল্কায়িত মূল্য ও শুল্ক করাদির পরিমাণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। ওই তালিকা থেকে দেখা যায়, স্পিকারসহ ৮৬ জন সংসদ সদস্য ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন। ওই পরিমাণ শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৬২ লাখ থেকে ৭৯ লাখ টাকায় তারা গাড়ি আমাদানি করেছেন।
সবচেয়ে দামি গাড়ি আমদানি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি ৭৯ লাখ ২২ হাজার টাকায় (শুল্ক সুবিধা পেয়েছেন ৬ কোটি ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা) ব্র্যান্ড নিউ টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার আমদানি করেছেন। সবচেয়ে কম শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কম দামি গাড়ি আমদানি করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রুবী রহমান। তার আমদানি করা গাড়ির দাম ২১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা (শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা)। এছাড়া মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাহ ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় গাড়ি আমদানি করেছেন। তিনি ৭৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন। ৭৩ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় মাত্র ১৬ লাখ ২১ হাজার টাকায় গাড়ি কিনেছেন আওয়ামী লীগের জাহানারা বেগম। প্রশ্নকর্তা শহীদুজ্জামান সরকারও কম দামি গাড়ি কিনেছেন। তার গাড়ির মূল্য ২৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন ১ কোটি টাকা। এছাড়াও তুলনামূলক কম শুল্কমুক্ত সুবিধায় কম দামি গাড়ি কেনার তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের ইসরাফিল আলম, এথিন রাখাইন, ইমরান আহমদ, ফরিদা রহমান, জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, হায়াতুর রহমান খান বেলাল, খাদিজা খাতুন শেফালী, আবদুল মজিদ খান, বিএনপির আবদুল মোমিন তালুকদার, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, জেড আই এম মোস্তাফা আলী, নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তাদের আমদানি করা গাড়ির শুল্কমুক্ত মূল্য ২৫ লাখ টাকার কম। শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছে ১ থেকে সোয়া কোটি টাকা।
মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারপারসন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৫ কোটি টাকা শুল্কমুক্ত গাড়ি কিনেছেন ৭২ লাখ ৬১ হাজার টাকায়। তার স্ত্রী জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ ২ কোটি টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার গাড়ি কিনেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির দুই সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না শুল্কমুক্ত সুবিধায় একই দামের দুটি গাড়ি কিনেছেন। তাদের গাড়ির পৃথক মূল্য ৫৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন ৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
দামি গাড়ি কেনার দৌড়ে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরাও পিছিয়ে নেই। ৫ কোটি ১২ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের এবিএম আশরাফউদ্দিন (নিজান), চাঁদপুর-৪ আসনের হারুনুর রশিদ ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি কিনেছেন ৬২ লাখ ৩৩ হাজার টাকায়, ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় কিনেছেন রুমানা মাহমুদ, ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় কিনেছেন সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫৮ লাখ টাকায় গাড়ি কিনেছেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক কিনেছেন ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার গাড়ি।
চারদলীয় জোটের শরিক বিজেপির আন্দালিব রহমান ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ব্র্যান্ড নিউ টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন ভিএক্স কিনেছেন ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিম ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় গাড়ি আমদানি করেছেন।
যারা গাড়ি আমদানি করেননি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ বর্তমান সংসদের ৩৫ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কোন আমদানি করেননি। তারা হলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাকির হোসেন, এনামুল হক, ইসহাক হোসেন তালুকদার, এস কে আবু বাকের, নারায়ণচন্দ্র চন্দ, শাহজাহান মিয়া, খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, শওকত মোমেন শাহজাহান, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, আবদুস সালাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পদত্যাগ করা সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শফিকুর রহমান চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, সৈয়দ মোহসীন আলী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বরকতউল্লাহ বুলু, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, এম আবদুল লতিফ, জোবেদা খাতুন, নূর ই হাসনা লিলি চৌধুরী, হাসিনা মান্নান এবং পিনু খান।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী জানান, ৬ কোটি টাকারও বেশি শুল্কমুক্ত সুবিধায় দামি গাড়ি কিনেছেন স্পিকারসহ ১৬ জন সংসদ সদস্য, ৫ কোটি টাকা ৭০ জন, ৪ কোটি টাকা ৫৫ জন, ৩ কোটি টাকা ১৮ জন, ২ কোটি টাকা ৯০ জন এবং এক কোটি টাকা থেকে তার নিচে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে গাড়ি আমদানি করেছেন ৬৬ জন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের, খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, বিমানমন্ত্রী ফারুক খানসহ ৩৫ জন কোন গাড়ি আমদানি করেননি।
আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি নবম জাতীয় সংসদের ৩১৫ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত ৩১৫টি মোটর গাড়ি আমদানি করেছেন। অর্থমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের নাম ও গাড়ির বিবরণ, শুল্কায়িত মূল্য ও শুল্ক করাদির পরিমাণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। ওই তালিকা থেকে দেখা যায়, স্পিকারসহ ৮৬ জন সংসদ সদস্য ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন। ওই পরিমাণ শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৬২ লাখ থেকে ৭৯ লাখ টাকায় তারা গাড়ি আমাদানি করেছেন।
সবচেয়ে দামি গাড়ি আমদানি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি ৭৯ লাখ ২২ হাজার টাকায় (শুল্ক সুবিধা পেয়েছেন ৬ কোটি ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা) ব্র্যান্ড নিউ টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার আমদানি করেছেন। সবচেয়ে কম শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কম দামি গাড়ি আমদানি করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রুবী রহমান। তার আমদানি করা গাড়ির দাম ২১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা (শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা)। এছাড়া মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাহ ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় গাড়ি আমদানি করেছেন। তিনি ৭৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন। ৭৩ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় মাত্র ১৬ লাখ ২১ হাজার টাকায় গাড়ি কিনেছেন আওয়ামী লীগের জাহানারা বেগম। প্রশ্নকর্তা শহীদুজ্জামান সরকারও কম দামি গাড়ি কিনেছেন। তার গাড়ির মূল্য ২৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন ১ কোটি টাকা। এছাড়াও তুলনামূলক কম শুল্কমুক্ত সুবিধায় কম দামি গাড়ি কেনার তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের ইসরাফিল আলম, এথিন রাখাইন, ইমরান আহমদ, ফরিদা রহমান, জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, হায়াতুর রহমান খান বেলাল, খাদিজা খাতুন শেফালী, আবদুল মজিদ খান, বিএনপির আবদুল মোমিন তালুকদার, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, জেড আই এম মোস্তাফা আলী, নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তাদের আমদানি করা গাড়ির শুল্কমুক্ত মূল্য ২৫ লাখ টাকার কম। শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছে ১ থেকে সোয়া কোটি টাকা।
মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারপারসন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৫ কোটি টাকা শুল্কমুক্ত গাড়ি কিনেছেন ৭২ লাখ ৬১ হাজার টাকায়। তার স্ত্রী জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ ২ কোটি টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার গাড়ি কিনেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির দুই সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না শুল্কমুক্ত সুবিধায় একই দামের দুটি গাড়ি কিনেছেন। তাদের গাড়ির পৃথক মূল্য ৫৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন ৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
দামি গাড়ি কেনার দৌড়ে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরাও পিছিয়ে নেই। ৫ কোটি ১২ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের এবিএম আশরাফউদ্দিন (নিজান), চাঁদপুর-৪ আসনের হারুনুর রশিদ ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি কিনেছেন ৬২ লাখ ৩৩ হাজার টাকায়, ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় কিনেছেন রুমানা মাহমুদ, ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় কিনেছেন সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫৮ লাখ টাকায় গাড়ি কিনেছেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক কিনেছেন ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার গাড়ি।
চারদলীয় জোটের শরিক বিজেপির আন্দালিব রহমান ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ব্র্যান্ড নিউ টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন ভিএক্স কিনেছেন ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিম ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় গাড়ি আমদানি করেছেন।
যারা গাড়ি আমদানি করেননি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ বর্তমান সংসদের ৩৫ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কোন আমদানি করেননি। তারা হলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাকির হোসেন, এনামুল হক, ইসহাক হোসেন তালুকদার, এস কে আবু বাকের, নারায়ণচন্দ্র চন্দ, শাহজাহান মিয়া, খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, শওকত মোমেন শাহজাহান, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, আবদুস সালাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পদত্যাগ করা সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শফিকুর রহমান চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, সৈয়দ মোহসীন আলী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বরকতউল্লাহ বুলু, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, এম আবদুল লতিফ, জোবেদা খাতুন, নূর ই হাসনা লিলি চৌধুরী, হাসিনা মান্নান এবং পিনু খান।
No comments