দেশে দেশে মার্কিন ড্রোন হামলা প্রসঙ্গে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধানের পদে ব্রেনানকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
তবে
প্রেসিডেন্টের এই মনোনয়নই ব্রেনানের পদপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা নয়। নিয়মানুযায়ী
মনোনীত প্রার্থীকে মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পেতে হবে। অনুমোদন পাওয়ার আগে
সিনেটের শুনানিতে তিনি দেশে দেশে ড্রোন হামলা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন
হয়েছেন। 'সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের' অংশ হিসেবে একাধিক দেশে আল কায়দার
ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর সময় কয়েকজন মার্কিন নাগরিকও নিহত হন। এ নিয়ে
মার্কিন গণমাধ্যমে সমালোচনা হলে ব্রেনানকে সিনেটের শুনাতিতে প্রশ্নবাণে
জর্জরিত করা হয়। শুনানিতে তিনি ড্রোন হামলায় সাধারণ নাগরিকদের নিহত হওয়ার
ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেন এবং ড্রোন হামলা অব্যাহত রাখার পক্ষে
অবস্থান নেন। সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বলেছেন, ড্রোন হামলার
'পরিকল্পিত হত্যাকা-' পর্যবেক্ষণ নিয়ে একটি আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব
পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
ড্রোন হামলা পরিচালনা করে সিআইএ। এ কারণেই সিআইএ প্রধানের পদপ্রত্যাশী ব্রেনানকে ড্রোন হামলা নিয়ে নিজ দেশেই তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। ড্রোন হামলার শিকার দেশগুলো শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে কথা বলেছে। জাতিসংঘেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো দেশের দুর্গম এলাকায় জঙ্গিদের মোকাবিলার কথা বলে মনুষ্যবিহীন বিমান ড্রোন দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে সিআইএ। এই অভিযানে অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদিও দাবি করে যে, ড্রোন হামলা করে সন্ত্রাসবাদ দমন করা হচ্ছে, বাস্তবে বেসামরিক মানুষই বেশি নিহত হচ্ছে। ২০০৯ সালে বারাক ওবামা ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনে ড্রোন হামলায় অন্তত আড়াই হাজার মানুষ মারা গেছে। পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানো নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিষয়টি বারাক ওবামা স্বীকারও করেছেন। গত বছর ড্রোন হামলায় ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হলে দুদেশের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান সম্প্রতি বলেছেন, পাকিস্তানকে 'টিস্যু পেপার' হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ড্রোন হামলার তথ্যের ব্যাপারে সিআইএর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম অনেক তথ্য শুরু থেকে জানলেও এতদিন এ নিয়ে চুপচাপ ছিল। সম্প্রতি তারা এ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। সিআইএ বেসামরিক লোকদের দিয়ে ড্রোন হামলা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। যুদ্ধের নীতি মানলে কোন বেসামরিক ব্যক্তি ড্রোন হামলা পরিচালনা করতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য দেশের মানুষ হত্যা এবং নিরাপত্তাই লঙ্ঘন করে আসছে বহুকাল ধরে। তাদের এই অন্যায়ে আরেকটি মাত্রা যোগ করেছে ড্রোন হামলা। আমরা এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তথাকথিত সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে দেশে দেশে চালানো মার্কিন সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা যায় না কিছুতেই। জাতিসংঘ সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে মার্কিন ড্রোন হামলার প্রভাব নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যে হারে বিশ্বজনমতকে উপেক্ষা করে চলেছে তাতে আমরা খুব একটা ভরসা করতে পারি না যে দেশটি কখনো এই হত্যাকা- বন্ধ করবে! এর জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই।
ড্রোন হামলা পরিচালনা করে সিআইএ। এ কারণেই সিআইএ প্রধানের পদপ্রত্যাশী ব্রেনানকে ড্রোন হামলা নিয়ে নিজ দেশেই তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। ড্রোন হামলার শিকার দেশগুলো শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে কথা বলেছে। জাতিসংঘেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো দেশের দুর্গম এলাকায় জঙ্গিদের মোকাবিলার কথা বলে মনুষ্যবিহীন বিমান ড্রোন দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে সিআইএ। এই অভিযানে অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদিও দাবি করে যে, ড্রোন হামলা করে সন্ত্রাসবাদ দমন করা হচ্ছে, বাস্তবে বেসামরিক মানুষই বেশি নিহত হচ্ছে। ২০০৯ সালে বারাক ওবামা ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনে ড্রোন হামলায় অন্তত আড়াই হাজার মানুষ মারা গেছে। পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানো নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিষয়টি বারাক ওবামা স্বীকারও করেছেন। গত বছর ড্রোন হামলায় ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হলে দুদেশের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান সম্প্রতি বলেছেন, পাকিস্তানকে 'টিস্যু পেপার' হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ড্রোন হামলার তথ্যের ব্যাপারে সিআইএর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম অনেক তথ্য শুরু থেকে জানলেও এতদিন এ নিয়ে চুপচাপ ছিল। সম্প্রতি তারা এ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। সিআইএ বেসামরিক লোকদের দিয়ে ড্রোন হামলা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। যুদ্ধের নীতি মানলে কোন বেসামরিক ব্যক্তি ড্রোন হামলা পরিচালনা করতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য দেশের মানুষ হত্যা এবং নিরাপত্তাই লঙ্ঘন করে আসছে বহুকাল ধরে। তাদের এই অন্যায়ে আরেকটি মাত্রা যোগ করেছে ড্রোন হামলা। আমরা এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তথাকথিত সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে দেশে দেশে চালানো মার্কিন সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা যায় না কিছুতেই। জাতিসংঘ সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে মার্কিন ড্রোন হামলার প্রভাব নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যে হারে বিশ্বজনমতকে উপেক্ষা করে চলেছে তাতে আমরা খুব একটা ভরসা করতে পারি না যে দেশটি কখনো এই হত্যাকা- বন্ধ করবে! এর জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই।
No comments