নিজস্ব উপগ্রহের জন্য রাশিয়ার সহায়তা মিলছে
বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ 'বঙ্গবন্ধু-১'-এর জন্য অরবিটাল সস্নস্নট
(কক্ষপথে উপযুক্ত স্থান) পেতে রাশিয়ার সহযোগিতা চায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ
মন্ত্রণালয়।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন
(আইটিইউ) থেকে নিজস্ব অরবিটাল সস্নস্নট পাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় এ
সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অরবিটাল সস্নস্নট ভাড়া পেতে রাশিয়াভিত্তিক
মহাকাশ যোগাযোগবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারস্পুৎনিকের সঙ্গে
বাংলাদেশের একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া এ সংক্রান্ত প্রকল্পে টাকার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকেও কিছুটা নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এসব তথ্য জানান। সচিব আবু বকর সিদ্দীক বলেন, এ সংক্রান্ত মূল প্রকল্প শুরু হতে এখনো ছয় মাস লাগতে পারে।
ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রফর্মা) চূড়ান্ত করার পর তা একনেকে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, 'এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিন হাজার থেকে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।' ইন্টারস্পুৎনিকের সঙ্গে সমঝোতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আপাতত দুই মাসের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি ননবাইন্ডিং চুক্তি হতে যাচ্ছে। এটা না হলে বিকল্প অরবিটাল সস্নটটিও হাতছাড়া হতে পারে। প্রাথমিক এ চুক্তির পর পূর্ণাঙ্গ চুক্তি করা হবে।
অরবিটাল সস্নটের বিষয়ে সুনীল কান্তি বোস বলেন, 'আইটিইউতে আমরা নিজস্ব সস্নস্নট পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু অনেক দেশ তাতে আপত্তি জানিয়েছে। প্রক্রিয়াগত কারণে এ ধরনের আপত্তি অস্বাভাবিকও নয়। দেনদরবার এখনো চলছে। কিন্তু অনিশ্চয়তার মধ্যে না থেকে আমরা ইন্টারস্পুৎনিকের সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি।'
তিন বছরের মধ্যে মহাকাশে দেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গত ২৯ মার্চ বিটিআরসি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) মধ্যে চুক্তি সই হয়।
এ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য বাজার পর্যবেক্ষণ, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, আইটিইউয়ের সঙ্গে তরঙ্গ সমন্বয়, স্যাটেলাইট সার্ভিস ডিজাইন, স্যাটেলাইট আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, সিস্টেম ডিজাইন, দরপত্র প্রস্তুত, মেনুফ্যাকচারিং ও সুষ্ঠুভাবে উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণের কাজ করবে। এ ছাড়া জনবল তৈরিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে। ওই চুক্তি সই হওয়ার দিন এসপিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রুস ক্রাসলসকি বলেছিলেন, যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার পর বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে।
বিটিআরসির হিসাবে, প্রতিটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে প্রায় দুই লাখ ডলার দিয়ে থাকে। বর্তমানে ১৯টি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ ডলার বিদেশি স্যাটেলাইটকে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে ভাড়া বাবদ খরচ হওয়া এই অর্থ সাশ্রয় হবে।
এছাড়া এ সংক্রান্ত প্রকল্পে টাকার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকেও কিছুটা নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এসব তথ্য জানান। সচিব আবু বকর সিদ্দীক বলেন, এ সংক্রান্ত মূল প্রকল্প শুরু হতে এখনো ছয় মাস লাগতে পারে।
ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রফর্মা) চূড়ান্ত করার পর তা একনেকে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, 'এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিন হাজার থেকে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।' ইন্টারস্পুৎনিকের সঙ্গে সমঝোতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আপাতত দুই মাসের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি ননবাইন্ডিং চুক্তি হতে যাচ্ছে। এটা না হলে বিকল্প অরবিটাল সস্নটটিও হাতছাড়া হতে পারে। প্রাথমিক এ চুক্তির পর পূর্ণাঙ্গ চুক্তি করা হবে।
অরবিটাল সস্নটের বিষয়ে সুনীল কান্তি বোস বলেন, 'আইটিইউতে আমরা নিজস্ব সস্নস্নট পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু অনেক দেশ তাতে আপত্তি জানিয়েছে। প্রক্রিয়াগত কারণে এ ধরনের আপত্তি অস্বাভাবিকও নয়। দেনদরবার এখনো চলছে। কিন্তু অনিশ্চয়তার মধ্যে না থেকে আমরা ইন্টারস্পুৎনিকের সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি।'
তিন বছরের মধ্যে মহাকাশে দেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গত ২৯ মার্চ বিটিআরসি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) মধ্যে চুক্তি সই হয়।
এ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য বাজার পর্যবেক্ষণ, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, আইটিইউয়ের সঙ্গে তরঙ্গ সমন্বয়, স্যাটেলাইট সার্ভিস ডিজাইন, স্যাটেলাইট আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, সিস্টেম ডিজাইন, দরপত্র প্রস্তুত, মেনুফ্যাকচারিং ও সুষ্ঠুভাবে উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণের কাজ করবে। এ ছাড়া জনবল তৈরিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে। ওই চুক্তি সই হওয়ার দিন এসপিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রুস ক্রাসলসকি বলেছিলেন, যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার পর বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে।
বিটিআরসির হিসাবে, প্রতিটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে প্রায় দুই লাখ ডলার দিয়ে থাকে। বর্তমানে ১৯টি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ ডলার বিদেশি স্যাটেলাইটকে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে ভাড়া বাবদ খরচ হওয়া এই অর্থ সাশ্রয় হবে।
No comments