সিরিয়ায় সংঘাত নিরসন প্রশ্নেঃ বিরোধীদের আলোচনার নতুন প্রস্তাব বাশারের 'না'
সিরিয়ার বিরোধী জোটের নেতা মুয়াজ আল-খতিব বলেছেন, দেশের সংঘাত অবসানে
উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের
প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক তিনি।
তবে
তার শান্তি আলোচনার এ প্রস্তাব সরকার গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি
জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাশার সরকার বিশ্বের কাছে 'খুব নেতিবাচক' বার্তা
পাঠিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, সিরিয়ায় গত ২২ মাস ধরে চলা আন্দোলন-বিদ্রোহে ৬০
হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
তার ফেসবুক পাতায় এক বিবৃতিতে আল-খতিব বলেন, দুই বছরের সংঘাত অবসানে 'সংলাপে বসার একটি সুযোগ হারিয়েছে' সরকার।
গত রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে জাতিসংঘ ও আরব লীগের সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমির সঙ্গে দেখা করেন আল-খতিব। জাতিসংঘ জানায়, দামেস্ক সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সিরিয়ার এ বিরোধী নেতাকে আহ্বান জানান ব্রাহিমি। এর আগে গত মাসে বিশেষ শর্তে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আল-খতিব। তিনি ১ লাখ ৬০ হাজার রাজবন্দির মুক্তির শর্ত দিয়েছিলেন। তবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাশার সরকার।
ফেসবুক পাতায় আল-খতিব বলেন, 'নূ্যনতম রক্তপাত ও ধ্বংস'-এর মধ্য দিয়ে বাশারকে ক্ষমতা ত্যাগের উপায় হিসেবে এ আলোচনা হতে পারে। 'যদি ক্ষমতাসীন সরকার সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের কথা বিবেচনায় এনে এ ভূখ- ছেড়ে যেতে না চায় তবে তার যথোপযুক্ত সমাধানও রয়েছে। প্রয়োজনে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করা হবে। ' জোটের সূত্রগুলো জানায়, আল-খতিবের জাতীয় জোটের বড় বস্নক নিয়ন্ত্রণ করে মুসলিম ব্রাদারহুড। এরা দেশটির সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের সংলাপ পদক্ষেপের বিরোধী। তবে আল-খতিবের এ পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করা তাদের জন্য সুবিধাজনক নয়। কেননা তার এ পদক্ষেপ সিরিয়ায় জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।
অবশ্য গত মাসে বড় আকারে আল-খতিবের দেয়া আলোচনার পদক্ষেপে সরাসরি কোন সাড়া দেয়নি সিরিয়া কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত শুক্রবার খতিবের এ পদক্ষেপের জবাবে সিরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে দেশটির তথ্যমন্ত্রী আরমান আল-জুবি জানান, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশারের জাতীয় সংলাপ আহ্বানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। কোন ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়া আলোচনার জন্য তিনি বিরোধীদের দামেস্কে স্বাগত জানান।
গত সপ্তাহে জার্মানির মিউনিখে প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রধান সমর্থক রাশিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আল-খতিবের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান ভূমিকা পালন করেন ব্রাহিমি।
গত ডিসেম্বরে কাতারে পশ্চিমা ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সহায়তায় আল-খতিব সিরিয়ায় জাতীয় জোট গঠন করেন।
সংঘর্ষে নিহত ৭৭
এদিকে সিরিয়ায় সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। বিরোধী আন্দোলনকারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত রোববারের সংঘর্ষে দেশজুড়ে প্রায় ৭৭ জন নিহত হয়েছে। বিবিসি, আল-জাজিরা।
তার ফেসবুক পাতায় এক বিবৃতিতে আল-খতিব বলেন, দুই বছরের সংঘাত অবসানে 'সংলাপে বসার একটি সুযোগ হারিয়েছে' সরকার।
গত রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে জাতিসংঘ ও আরব লীগের সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমির সঙ্গে দেখা করেন আল-খতিব। জাতিসংঘ জানায়, দামেস্ক সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সিরিয়ার এ বিরোধী নেতাকে আহ্বান জানান ব্রাহিমি। এর আগে গত মাসে বিশেষ শর্তে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আল-খতিব। তিনি ১ লাখ ৬০ হাজার রাজবন্দির মুক্তির শর্ত দিয়েছিলেন। তবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাশার সরকার।
ফেসবুক পাতায় আল-খতিব বলেন, 'নূ্যনতম রক্তপাত ও ধ্বংস'-এর মধ্য দিয়ে বাশারকে ক্ষমতা ত্যাগের উপায় হিসেবে এ আলোচনা হতে পারে। 'যদি ক্ষমতাসীন সরকার সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের কথা বিবেচনায় এনে এ ভূখ- ছেড়ে যেতে না চায় তবে তার যথোপযুক্ত সমাধানও রয়েছে। প্রয়োজনে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করা হবে। ' জোটের সূত্রগুলো জানায়, আল-খতিবের জাতীয় জোটের বড় বস্নক নিয়ন্ত্রণ করে মুসলিম ব্রাদারহুড। এরা দেশটির সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের সংলাপ পদক্ষেপের বিরোধী। তবে আল-খতিবের এ পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করা তাদের জন্য সুবিধাজনক নয়। কেননা তার এ পদক্ষেপ সিরিয়ায় জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।
অবশ্য গত মাসে বড় আকারে আল-খতিবের দেয়া আলোচনার পদক্ষেপে সরাসরি কোন সাড়া দেয়নি সিরিয়া কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত শুক্রবার খতিবের এ পদক্ষেপের জবাবে সিরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে দেশটির তথ্যমন্ত্রী আরমান আল-জুবি জানান, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশারের জাতীয় সংলাপ আহ্বানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। কোন ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়া আলোচনার জন্য তিনি বিরোধীদের দামেস্কে স্বাগত জানান।
গত সপ্তাহে জার্মানির মিউনিখে প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রধান সমর্থক রাশিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আল-খতিবের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান ভূমিকা পালন করেন ব্রাহিমি।
গত ডিসেম্বরে কাতারে পশ্চিমা ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সহায়তায় আল-খতিব সিরিয়ায় জাতীয় জোট গঠন করেন।
সংঘর্ষে নিহত ৭৭
এদিকে সিরিয়ায় সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। বিরোধী আন্দোলনকারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত রোববারের সংঘর্ষে দেশজুড়ে প্রায় ৭৭ জন নিহত হয়েছে। বিবিসি, আল-জাজিরা।
No comments