আশুরার রোজা by আসিম আনোয়ার
হিজরি বর্ষের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। এ মাসের একটি বিশেষ দিন আশুরা। নববী ভাষায় এটা আল্লাহর মাস। কোরআন কারিমে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনার মাস ১২টি; আসমানগুলো ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তার মধ্যে চারটি সম্মানিত।
এ আয়াত আরও স্পষ্ট হয়ে এসেছে হাদিস শরিফে। হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) থেকে বর্ণিত_ হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, বছরে মাস ১২টি। এর মধ্যে চারটি সম্মানিত। জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। এ মহান বরকতপূর্ণ মাসে আমাদের করণীয় কর্তব্যের কথা উঠে এসেছে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, রমজানের পর মহররমের রোজা সবচেয়ে উত্তম। ১০ মহররমকে আশুরা বলা হয়। পুরো মাসের মধ্যে এ দিন গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এদিন এক জাতির তওবা কবুল করা হয়েছিল। অন্যান্যের তওবাও কবুল হবে বলে আশা করা হয়। ইতিহাসে আছে, এদিন অত্যাচারী ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন হজরত মুসা (আ.) ও তার সঙ্গীরা। তাই ইহুদিরা এ দিনে শুকরিয়া রোজা রাখত। হিজরতের পর মদিনায় গিয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইহুদিদের এ দিনে রোজা রাখতে দেখে বললেন, আমরা এ রোজার বেশি হকদার। সেদিন থেকে তিনি এ দিনে রোজা রাখতেন। অন্যদেরও রোজা রাখার কথা বলতেন। ইসলামের প্রথম যুগে এ রোজা ওয়াজিব ছিল।ইহুদিরা একটা রোজা রাখত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আগামী বছর যদি বেঁচে থাকি ১০ তারিখের সঙ্গে আরও একটি রোজা মিলিয়ে নেব। তাই ইসলামবেত্তারা ৯-১০ কিংবা ১০-১১ দুটি রোজা একসঙ্গে রাখতে বলেন। এর সওয়াবের কথা বড় চমৎকার করে বর্ণনা করেন সাহাবি হজরত আবু কাতাদা (রা.)। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আশুরার রোজার ব্যাপারে আমার রবের দরবারে আমার আশা আছে যে, তিনি পেছনের এক বছরের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।
No comments