সংলাপে রাজি নয় আ. লীগ by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে আগ বাড়িয়ে
সংলাপের আহ্বান জানাবে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সংসদে গিয়ে বিএনপিকে
প্রস্তাব দেওয়ার যে আহ্বান আগে জানানো হয়েছে, সেই অবস্থানেই রয়েছে
ক্ষমতাসীন দল। সংসদের বাইরে এখনই কোনো ধরনের আলোচনায় বসার পক্ষপাতী নয়
তারা।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা মনে করেন, যেহেতু
প্রয়োজন বিএনপির, তাই তাদেরই সংসদে গিয়ে প্রস্তাব দিতে হবে। বিএনপির সে
প্রস্তাবে সমাধান না এলে বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচন করার পক্ষপাতী
ক্ষমতাসীনরা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে গেছে। কোনো অবস্থায়ই এই বাতিল হওয়া ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার এমন কোনো অবস্থাও সৃষ্টি হয়নি যে আগ বাড়িয়ে বিরোধী দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানাতে হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এ মনোভাব জানা গেছে।
বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে গেলেও সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, নির্বাচনকালীন বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েও তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি।
বিএনপি নমনীয় মনোভাব দেখালেও সংলাপ নিয়ে অনমনীয় আওয়ামী লীগ। বিএনপির নমনীয়তাকে বরং দুর্বলতা হিসেবেই দেখছে দলটি। অবশ্য বিএনপি তাদের দাবি নিয়ে সংসদে গেলে সে ক্ষেত্রে ইতিবাচক আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ ছাড়া দলের অন্য প্রভাবশালী নেতারাও বারবার বিএনপিকে সংসদে গিয়ে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছেন। সংসদের বাইরে কোনো রকম সংলাপে আগ্রহী নন তাঁরা। সংলাপের ব্যাপারে দেশি-বিদেশি চাপ থাকলেও এ ক্ষেত্রে কারো পরামর্শই শুনতে নারাজ আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, সংবিধানে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, সেভাবেই পরবর্তী নির্বাচন হবে। বিরোধী দলের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, 'তাদের কী দাবি সেটা সংসদে এসে বলুক। সংসদে এলে কথা হবে। আমরাও আমাদের কথা বলব।' বিএনপিকে আহ্বান জানানো হবে কি না- জানতে চাইলে মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'এটা মানভঞ্জনের কোনো ব্যাপার নয়। তাদের দাবি থাকতেই পারে এবং তারা সংসদে এসে সেটা তুলে ধরবে- এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।'
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সরকার সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় দেশ চালাচ্ছে। তাই সংবিধানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, সেভাবেই পরবর্তী নির্বাচন হবে। এর বাইরে আর কিছুর সুযোগ নেই।
সংসদের বাইরে বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের আলোচনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে পাটমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সংসদীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না বলে সংসদে যায় না। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদের বাইরের আলোচনায় সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।
বড় দুই দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই পক্ষই সংলাপ চায়। কিন্তু প্রথম আহ্বান কোন পক্ষ থেকে আসবে বা আসতে হবে এবং সংসদে নাকি সংসদের বাইরে আলোচনা হবে এমন সব গৌণ ব্যাপারের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে সংলাপের সম্ভাবনা।
সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সংসদের বাইরে এ মুহূর্তে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই, প্রয়োজনও নেই। তিনি আরো বলেন, সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর কিছু নেই। বিএনপিকেই সংসদে এসে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরতে হবে।
সংসদের বাইরে আলোচনা হতে পারে কি না জানতে চাইলে হানিফ বলেন, দেশে এমন কোনো জাতীয় সমস্যা হয়নি যে সংসদ চলা অবস্থায় বাইরে সংলাপে বসতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে গেছে। কোনো অবস্থায়ই এই বাতিল হওয়া ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার এমন কোনো অবস্থাও সৃষ্টি হয়নি যে আগ বাড়িয়ে বিরোধী দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানাতে হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এ মনোভাব জানা গেছে।
বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে গেলেও সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, নির্বাচনকালীন বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েও তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি।
বিএনপি নমনীয় মনোভাব দেখালেও সংলাপ নিয়ে অনমনীয় আওয়ামী লীগ। বিএনপির নমনীয়তাকে বরং দুর্বলতা হিসেবেই দেখছে দলটি। অবশ্য বিএনপি তাদের দাবি নিয়ে সংসদে গেলে সে ক্ষেত্রে ইতিবাচক আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ ছাড়া দলের অন্য প্রভাবশালী নেতারাও বারবার বিএনপিকে সংসদে গিয়ে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছেন। সংসদের বাইরে কোনো রকম সংলাপে আগ্রহী নন তাঁরা। সংলাপের ব্যাপারে দেশি-বিদেশি চাপ থাকলেও এ ক্ষেত্রে কারো পরামর্শই শুনতে নারাজ আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, সংবিধানে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, সেভাবেই পরবর্তী নির্বাচন হবে। বিরোধী দলের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, 'তাদের কী দাবি সেটা সংসদে এসে বলুক। সংসদে এলে কথা হবে। আমরাও আমাদের কথা বলব।' বিএনপিকে আহ্বান জানানো হবে কি না- জানতে চাইলে মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'এটা মানভঞ্জনের কোনো ব্যাপার নয়। তাদের দাবি থাকতেই পারে এবং তারা সংসদে এসে সেটা তুলে ধরবে- এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।'
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সরকার সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় দেশ চালাচ্ছে। তাই সংবিধানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, সেভাবেই পরবর্তী নির্বাচন হবে। এর বাইরে আর কিছুর সুযোগ নেই।
সংসদের বাইরে বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের আলোচনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে পাটমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সংসদীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না বলে সংসদে যায় না। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদের বাইরের আলোচনায় সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।
বড় দুই দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই পক্ষই সংলাপ চায়। কিন্তু প্রথম আহ্বান কোন পক্ষ থেকে আসবে বা আসতে হবে এবং সংসদে নাকি সংসদের বাইরে আলোচনা হবে এমন সব গৌণ ব্যাপারের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে সংলাপের সম্ভাবনা।
সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সংসদের বাইরে এ মুহূর্তে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই, প্রয়োজনও নেই। তিনি আরো বলেন, সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর কিছু নেই। বিএনপিকেই সংসদে এসে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরতে হবে।
সংসদের বাইরে আলোচনা হতে পারে কি না জানতে চাইলে হানিফ বলেন, দেশে এমন কোনো জাতীয় সমস্যা হয়নি যে সংসদ চলা অবস্থায় বাইরে সংলাপে বসতে হবে।
No comments