তুরস্কে 'প্যাট্রিয়ট' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপন করবে ন্যাটো
তুরস্কের সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপনের কথা ভাবছে ন্যাটো। 'দেরি না করে' বিষয়টি নিয়ে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে জোট। ন্যাটোপ্রধান অ্যান্ডার্স ফাগ রাসমুসেন গত বুধবার এক বিবৃতিতে জানান, ন্যাটোর সদস্য তুরস্কের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় 'প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা' স্থাপনের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের ৯০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে প্রায়ই তাদের বোমা তুরস্কের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে গিয়ে পড়ে। এসব বোমায় বিভিন্ন সময়ে পাঁচজন নিহত হয়।বিবৃতিতে রাসমুসেন বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন 'তুরস্কের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরো জোরদার করবে, যা দেশটির জনগণ ও ভূখণ্ডকে সুরক্ষা দেবে। ন্যাটো তুরস্কের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব এবং যেকোনো হুমকি প্রতিহত করতে পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে তুরস্ক সফর করে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের সম্ভাব্য স্থানগুলো দেখে আসবে ন্যাটোর বিশেষজ্ঞদল।
বর্তমানে ২৮ সদস্যের ন্যাটো জোটে শুধু জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্যাট্রিয়ট রয়েছে। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বুধবার জানান, তিনি এরই মধ্যে তাঁদের ন্যাটো দূতকে তুরস্কের অনুরোধ অনুমোদনের নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেন, 'আমরা ন্যাটো সহযোগী তুরস্কের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে রক্ষার জন্য আমরা সব কিছুই করতে চাই।' এর আগে নেদারল্যান্ডস সরকারও তুরস্কের অনুরোধ বিবেচনার কথা জানায়।
ন্যাটো এর আগেও দুইবার (ইরাক যুদ্ধের সময় ১৯৯১ ও ২০০৩ সালে) তুরস্কে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য প্যাট্রিয়ট মোতায়েন করে। নেদারল্যান্ডসের সরবরাহকৃত প্যাট্রিয়ট অবশ্য সে সময় ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি।
সিরিয়ায় নিহত ৪০ হাজার : লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় মায়াদিন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এর মধ্যদিয়ে ইরাক সীমান্তবর্তী সিরিয়ার একটি বিশাল এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে এসেছে। সংস্থাটি আরো জানায়, সিরিয়ায় গত বছর মার্চে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। সূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা।
No comments