রাষ্ট্র: গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার সাফল্যই...- বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র নয় কেন? by ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
রাষ্ট্র কী করে ব্যর্থ বা অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে, আজকাল এ নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিষ্কার কোনো সংজ্ঞা নেই; তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিভিন্ন সূচকের বিচারে রাষ্ট্রের বিভিন্ন মাত্রার ব্যর্থতা-সফলতা সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।
এসব সূচকের ভিত্তিতে তৈরি ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় মাঝেমধ্যে বাংলাদেশের নামও উঠে আসে। তবে সুশাসনের ঘাটতি সত্ত্বেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ইতিবাচক সূচকের বিচারে বাংলাদেশকে আবার একটি ‘উন্নয়ন ধাঁধা’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।নিম্ন আয়ের দেশে গণতন্ত্র টেকসই হওয়ার দৃষ্টান্ত খুব কম। বিগত শতকের আশির দশক থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বে গণতন্ত্রের একটা ঢেউ এসেছিল। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী যে ৩০টিরও বেশি দেশে সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটেছিল, তার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রেই পরবর্তী সময়ে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সামরিক কর্তৃত্ব ফিরে এসেছে। সেদিক থেকে বাংলাদেশে যে দুই দশক ধরে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা টিকে আছে, তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দেশটির একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ফরেন পলিসি ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর ব্যর্থ রাষ্ট্রের সূচক (ফেইলড স্টেট ইনডেক্স) তৈরি করে আসছে। এই সূচক অনুযায়ী শীর্ষ ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় ২০০৫ সালে বাংলাদেশের স্থান ছিল ১৭তম, ২০১২ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২৯তম। ধারণা করা যায়, এক-এগারোর রাজনৈতিক দুর্যোগ কাটিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার সাফল্যই এ ইতিবাচক মূল্যায়নের পেছনে কাজ করেছে। অবশ্য সুশাসন-সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকের দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেয়। নব্বইয়ের দশকে গণতন্ত্রে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের সূচকগুলোতে বড় ধরনের উন্নতি হলেও পরবর্তী সময়ে সেগুলোর ক্রমে অবনতি হয়েছে। লক্ষণীয় যে সুশাসনের অধিকাংশ সূচকই ধীরে বাড়ে-কমে, কিন্তু কোনো বড় ধরনের বিপর্যয় হঠাৎ করেই রাষ্ট্রের ব্যর্থতা ডেকে আনতে পারে।
বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় কারণটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। সেটি হলো বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ বা অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে সৃষ্ট সশস্ত্র সংঘাত। এ কারণেই সোমালিয়া, কঙ্গো, সুদান ও আফগানিস্তানের মতো সংঘাতময় দেশগুলো ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। ধর্মীয় জঙ্গিবাদের কারণে পাকিস্তানও ক্রমে এই তালিকায় স্থান করে নিচ্ছে। কিছুকাল আগেও কেনিয়াকে আফ্রিকার জন্য একটি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় গণতান্ত্রিক দেশের মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু ২০০৭ সালে সে দেশে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতীয় গোষ্ঠীর মধ্যে যে মারাত্মক দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়, তার কারণে দেশটি এখন ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি বিরোধ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং সাম্প্রতিক কালে রামুর বৌদ্ধপল্লিতে হামলার বিষয়গুলো অবশ্যই জাতীয় নিরাপত্তার বিচারে গুরুত্বপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও আছে। অস্ত্রধারীদের আধিপত্যের নিরিখে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোকে মাঝেমধ্যে একেকটি সোমালিয়া বলে মনে হতেই পারে। তা সত্ত্বেও আইনের শাসন এবং রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব ও বৈধতার বিচারে বাংলাদেশকে কোনোক্রমেই ব্যর্থ রাষ্ট্রের পর্যায়ে ফেলা যায় না। আন্তর্জাতিক সূচকগুলোও তা-ই বলে।
বাংলাদেশের ঝুঁকির কারণ ভিন্ন। ফরেন পলিসি সাময়িকী যে ১২টি সূচকের ভিত্তিতে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকা তৈরি করে, তার একটি হলো ‘বিবদমান গোষ্ঠীর অসন্তোষ ও প্রতিশোধস্পৃহা’। অন্য সব সূচকের তুলনায় এই বিশেষ সূচকটিতেই বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ—অনেকটাই সংঘাতপূর্ণ দেশগুলোর সমপর্যায়ে। কিন্তু কেন? অবশ্যই এটি গোষ্ঠীগত বা জাতিগত সংঘাতের কারণে নয়, বরং একে বাংলাদেশের বিরোধপূর্ণ রাজনীতির প্রতিফলন বলেই মনে করা যায়। অর্থাৎ, কেনিয়ার জাতিগত দাঙ্গা-হাঙ্গামা আর বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা একই পর্যায়ে ফেলছেন। লক্ষণীয় যে ব্যর্থ রাষ্ট্রের অন্য যে সূচকটিতে বাংলাদেশের অবস্থান খুব খারাপ, সেটি হলো ‘প্রতিদ্বন্দ্বী সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর উত্থান’। এর অর্থ, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক বিরোধকে প্রকারান্তরে স্বার্থগোষ্ঠীর সুবিধা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব বলেই দেখা হচ্ছে।
রাজনীতির বাইরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতাও বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার অবনতির একটা প্রধান কারণ বলে ধারণা করা যায়। উচ্চ আদালত, নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসন—এসবই এর অন্তর্ভুক্ত। এসব প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে আমরা ক্রমে পিছিয়ে যাচ্ছি, যেখানে অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশ সামনে এগোচ্ছে। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও রাজনীতিবিদদের সাধারণ মানুষ কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখে, কিন্তু অনির্বাচিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা অনেক বেশি। ভারতের কথা যদি ধরি, সেখানকার এক জরিপে দেখা গেছে যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশই দুর্নীতিগ্রস্ত, এমনকি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। কিন্তু সেখানকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত অনেক শক্ত।
আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলা রাষ্ট্রের ব্যর্থতার একটা কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রেও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা একটি জরুরি বিষয়। প্রেসিডেন্ট মুগাবে-শাসিত জিম্বাবুয়েকে আফ্রিকার অন্যতম ব্যর্থ রাষ্ট্র বলে ধরা হয়। ১৯৯৯ সালে সে দেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে বড় অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে একটি লটারির আয়োজন করে। কী আশ্চর্য! দেখা গেল, লটারির ড্রতে হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে পুরস্কারটি জিতে নিলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট মুগাবে। ঘটনাটি সামান্য হলেও ইঙ্গিতবহ। এর থেকে অনুমান করা যায়, প্রেসিডেন্ট মুগাবে মূল্যস্ফীতি ঠেকানোর জন্য ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্বাধীন করার ঘোষণা দিলেও তা কেন কাজে আসেনি। বরং পরবর্তী ১০ বছরে মূল্যস্ফীতি অকল্পনীয় হারে বেড়ে সে দেশের মুদ্রাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। এর আগে আফ্রিকার অন্য একটি দেশ সিয়েরা লিয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সে দেশের তদানীন্তন স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট সিয়াকা স্টিভেনসের আর্থিক যথেচ্ছাচারের বিরোধিতা করায় আততায়ীরা তাঁকে হত্যা করে তাঁর মৃতদেহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনের ওপরতলা থেকে নিচের রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। জিম্বাবুয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সে কাহিনিটি নিশ্চয়ই জানা ছিল।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে জিম্বাবুয়ের মতো বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। আমাদের মূল্যস্ফীতির হার বা বাজেট ঘাটতি কখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি।
একসময় বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে বড় ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি ছিল, কিন্তু কার্যকর সংস্কারের ফলে এখন সে অবস্থা নেই। তবে রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোয় অবস্থার উন্নতি না হয়ে বরং অবনতি হয়েছে এবং এগুলো ব্যাংকিং খাতের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে আছে। সাম্প্রতিক কালের শেয়ারবাজারের কারসাজি ও সোনালী ব্যাংকের হল-মার্কসংক্রান্ত অর্থ জালিয়াতির ঘটনা পুরো আর্থিক খাতের নৈতিক ভিত্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটি বড় অশনিসংকেত।
সুশাসনের ঘাটতি থাকলেও যে সফল প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যায়, বাংলাদেশে তার বেশ কিছু উদাহরণ আছে, যেমনটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। অবশ্য এসব প্রতিষ্ঠান টেকসই হয় কি না, তা নিয়ে উন্নয়ন গবেষণায় বিতর্ক আছে। সরকারি সংস্থা হয়েও একসময় আমাদের দেশে পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড (আরইবি) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উদ্ভাবনশীলতা ও গতিশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছিল। অবশ্য শেষ পর্যন্ত সংস্থা দুটি চারপাশের দুর্নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প একটি অনুকূল সরকারি ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সমর্থন পেয়েছে বলেই বড় সাফল্য লাভ করতে পেরেছে। এ দেশে ব্র্যাকের মতো বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানসহ একটি গতিশীল এনজিও খাতও বিকাশ লাভ করতে পেরেছে। এ ছাড়া নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের উদাহরণ তো আছেই।
সুশাসন-সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সূচকগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতেই সুশাসনের ঘাটতি বেশি। আবার সুশাসন ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনও কঠিন। এ কারণেই নিম্ন আয়ের দেশগুলো একধরনের দুষ্টচক্রের মধ্যে আটকে থাকে এবং কোনো কোনোটি ক্রমান্বয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। বিশ্বব্যাংকের ‘বিশ্ব সুশাসন সূচক’ (ওয়ার্ল্ড গভর্নেন্স ইন্ডিকেটরস) অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্থান নিচের এক-চতুর্থাংশে। কিন্তু গত তিন দশকে আমাদের মাথাপিছু আয় প্রকৃত অর্থে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বার্ষিক গড় হারের থেকেও বেশ কিছুটা দ্রুত বেড়েছে। তা ছাড়া সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করার মতো অর্থনীতির হঠাৎ ওঠানামা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তার ওপর সামাজিক উন্নয়নের বেশ কিছু সূচকে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও অনেক এগিয়ে আছে।
সুশাসনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সূচকগুলোর যথার্থতা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি কেমন, এই সূচকগুলো থেকে সে বিষয়ে অন্তত ধারণা পাওয়া যায়। বিশ্বব্যাংকের সুশাসনের সূচকগুলোর মধ্যে দুটিতে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ খারাপ; তার একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সহিংসতার অনুপস্থিতি, অন্যটি দুর্নীতি প্রতিরোধ। ইদানীং দুর্নীতির শীর্ষ অবস্থান থেকে আমরা বেশ কিছুটা নিচে নেমে আসতে পারলেও পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের কারণে এ ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। যে সূচকটিতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো, সেটি হলো নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমে জবাবদিহি। বলা বাহুল্য, আমাদের এই সুবিধার জায়গাটি ধরে রাখা খুব জরুরি। প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ের পরিবেশ-সংক্রান্ত সূচকগুলোর মধ্যে একটিতে আমাদের স্থান শুধু ভালোই নয়, একেবারে উন্নত বিশ্বের সমপর্যায়ে। সেটি হলো বিনিয়োগের সুরক্ষা। এখানেও একটি নতুন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কারণে ব্যাংকটির ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক গরিব নারীদের অধিকার ক্ষুণ্নের আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে নানা মহল থেকে। এই আশঙ্কাটি অমূলক প্রমাণ করা দরকার।
দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার কোনো অপরিহার্য কারণ নেই, বরং সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। মূল চ্যালেঞ্জ একটিই, তাহলো রাজনৈতিক বিরোধকে আয়ত্তের মধ্যে রেখে অন্তত একটি চলনসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষা। তা সম্ভব হলে আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতি বেগবান হওয়ার পথে বড় কোনো বাধা থাকবে না।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ: অর্থনীতিবিদ।
No comments