ঈদঃ কোনো আনন্দই স্পর্শ করে না ওদের! by শরীফ সুমন
প্রতি বছর ঈদ আসে। মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। খুশির জোয়ারে অন্য সব পরিবারের বাচ্চারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠলেও বোবা কান্নায় ওদের বুকটা কেঁপে ওঠে। নিজেরা আপন ভূবনে হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করলেও কাউকে দেখলেই মুখটা আড়ালে লুকিয়ে নেয়।
কারণ, ঈদ কেন, কোনো বিশেষ দিনের আনন্দই স্পর্শ করে না ওদের।
সমাজে ওরা ছিন্নমূল শিশু বলেই পরিচিত। তবে লোকজন নাম দিয়েছে ‘টোকাই’। কেউ বস্তিতে থাকে। কারও অবার ফুটপাতের ওপরই রাত কাটে। সবাই ওদের চোখে-মুখে অসহায়ত্বের ছাপ দেখে নিজের মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে কেবল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পাশ দিয়ে হেঁটে যায়।
ওরা যেখানে ছিল সেখানেই পড়ে থাকে। এভাবে একদিন বস্তি এলাকায় বড় হয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী বনে যায়। কালের চক্রে এভাবেই ঘুরছে ওদের ভাগ্যচক্র। এদের কারও বাবা-মা থেকেও নেই। আবার কেউ কেউ জানেই না, কে তাদের বাবা-মা। ঠিকানা নেই, পথই ওদের ঠিকানা। দিনভর পথে পথে ঘুরে বেড়ায়, রাতেও পথেই ঘুমায়। পথে এটা-ওটা কুড়িয়েই জীবন চলে ওদের।
ওদের এ ছোট্ট জীবনে ঈদ নেই। নেই ঈদের নতুন জামা-কাপড়, নেই কোনো আনন্দ। কোরবানির মাংসের স্বাদ নেওয়া তো অনেক দূরের কথা। অন্যান্য দিনও যেমন ঈদের দিনও তেমনই ওদের কাছে। কোনো পার্থক্য নেই, নেই কোনো বাড়তি আয়োজন। রাজশাহী মহানগরীর প্রায় সব ছিন্নমূল শিশুরই একই ভাগ্য।
এদেরই কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়, মহানগরীর রেলওয়ে বস্তি পাড়া এলাকায়।
এরা হচ্ছে- ফজলু (৬), পিচ্চি সুবজ (৯), রহমত (৮) ও মান্না (৭)। এদের মধ্যে কেবল পিচ্চি সবুজই তার ঠিকানা জানে। বাড়ি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরে। সেখানে মা আছেন। বাকিদের কোনো ঠিকানা নেই। নেই বাবা-মায়ের পরিচয়। রহমত ও মান্না জানায়, বাবা-মা কে তা জানা নেই তাদের।
পথেই বড় হয়েছে। কবে কোথায় থেকে কিভাবে পথে এসেছে তাও মনে নেই ওদের। মনে নেই ফজলুরও। ফজলু, রহমত ও মান্না জানায়, তাদের বাবা-মা নেই বলে পথে যাকে পায় তাকেই ওরা আপন করে নেয়। একত্রে থাকে, খায়, ঘুমায়। সুযোগ পেলে ‘পাঁচগুটি’ খেলে।
দিনভর কাগজ কুড়ায়। তা বিক্রি করে যা পায় সবাই ভাগ করে খায়। আবার কখনো কখনো আশপাশের দোকান থেকে কিছু খাবার দেয়। ও খেয়েই দিন কেটে যায়। ওরা জানে না ‘ঈদ’ কি। আর ঈদের আনন্দ কি। দুঃখ, যন্ত্রণা আর বেদনায় ভরা সব দিনই ওদের জন্য সমান।
নতুন জামা পরার কথা জানতে চাইলে ফজলু নামের ওই ছোট্ট শিশুটি বলে ‘‘আমাদের ঈদ নেই। আর নতুন জামা কে দেবে?’’ মান্না বলে, ‘‘গেল বছর একটি জামা পেয়েছিলাম। এবার কেউ দেয়নি।’’ তবে মান্নার কথা হচ্ছে, ‘‘নতুন জামা দিয়ে কি হবে? রাস্তায় ঘুমালে জামা তো আর নতুন থাকে না।’’
ওরা জানায়, কবে কে কোথায় থেকে এখানে এসেছে বলতে পারবে না। তবে একই স্থানে না থাকলেও এখন তারা সবাই একত্রেই থাকে। রাতে ফুটপাথে বা রোড ডিভাইডারের ওপর ঘুমায়। কখনো কখনো পুলিশের ঝামেলায় তাও পারে না। কাঁচা ঘুম থেকে তুলে দেওয়া হয় তাদের।
বৃষ্টি হলে কোথাও গুটিশুটি হয়ে সবাই একত্রে বসে থাকে। এভাবেই খালি পেটে বা আধাপেটে দিন-রাত কাটে ওদের। ঈদ বা অন্য কোনো উৎসবের উত্তাল আনন্দের আলোকিত দিন নয়। সব সময়ই এ মহানগরের পথে পথে দেখা মেলে তাদের। সবাই দুঃখ করে, কিন্তু কেউ দাঁড়ান না ওদের পাশে।
ওরা যেখানে ছিল সেখানেই পড়ে থাকে। এভাবে একদিন বস্তি এলাকায় বড় হয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী বনে যায়। কালের চক্রে এভাবেই ঘুরছে ওদের ভাগ্যচক্র। এদের কারও বাবা-মা থেকেও নেই। আবার কেউ কেউ জানেই না, কে তাদের বাবা-মা। ঠিকানা নেই, পথই ওদের ঠিকানা। দিনভর পথে পথে ঘুরে বেড়ায়, রাতেও পথেই ঘুমায়। পথে এটা-ওটা কুড়িয়েই জীবন চলে ওদের।
ওদের এ ছোট্ট জীবনে ঈদ নেই। নেই ঈদের নতুন জামা-কাপড়, নেই কোনো আনন্দ। কোরবানির মাংসের স্বাদ নেওয়া তো অনেক দূরের কথা। অন্যান্য দিনও যেমন ঈদের দিনও তেমনই ওদের কাছে। কোনো পার্থক্য নেই, নেই কোনো বাড়তি আয়োজন। রাজশাহী মহানগরীর প্রায় সব ছিন্নমূল শিশুরই একই ভাগ্য।
এদেরই কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়, মহানগরীর রেলওয়ে বস্তি পাড়া এলাকায়।
এরা হচ্ছে- ফজলু (৬), পিচ্চি সুবজ (৯), রহমত (৮) ও মান্না (৭)। এদের মধ্যে কেবল পিচ্চি সবুজই তার ঠিকানা জানে। বাড়ি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরে। সেখানে মা আছেন। বাকিদের কোনো ঠিকানা নেই। নেই বাবা-মায়ের পরিচয়। রহমত ও মান্না জানায়, বাবা-মা কে তা জানা নেই তাদের।
পথেই বড় হয়েছে। কবে কোথায় থেকে কিভাবে পথে এসেছে তাও মনে নেই ওদের। মনে নেই ফজলুরও। ফজলু, রহমত ও মান্না জানায়, তাদের বাবা-মা নেই বলে পথে যাকে পায় তাকেই ওরা আপন করে নেয়। একত্রে থাকে, খায়, ঘুমায়। সুযোগ পেলে ‘পাঁচগুটি’ খেলে।
দিনভর কাগজ কুড়ায়। তা বিক্রি করে যা পায় সবাই ভাগ করে খায়। আবার কখনো কখনো আশপাশের দোকান থেকে কিছু খাবার দেয়। ও খেয়েই দিন কেটে যায়। ওরা জানে না ‘ঈদ’ কি। আর ঈদের আনন্দ কি। দুঃখ, যন্ত্রণা আর বেদনায় ভরা সব দিনই ওদের জন্য সমান।
নতুন জামা পরার কথা জানতে চাইলে ফজলু নামের ওই ছোট্ট শিশুটি বলে ‘‘আমাদের ঈদ নেই। আর নতুন জামা কে দেবে?’’ মান্না বলে, ‘‘গেল বছর একটি জামা পেয়েছিলাম। এবার কেউ দেয়নি।’’ তবে মান্নার কথা হচ্ছে, ‘‘নতুন জামা দিয়ে কি হবে? রাস্তায় ঘুমালে জামা তো আর নতুন থাকে না।’’
ওরা জানায়, কবে কে কোথায় থেকে এখানে এসেছে বলতে পারবে না। তবে একই স্থানে না থাকলেও এখন তারা সবাই একত্রেই থাকে। রাতে ফুটপাথে বা রোড ডিভাইডারের ওপর ঘুমায়। কখনো কখনো পুলিশের ঝামেলায় তাও পারে না। কাঁচা ঘুম থেকে তুলে দেওয়া হয় তাদের।
বৃষ্টি হলে কোথাও গুটিশুটি হয়ে সবাই একত্রে বসে থাকে। এভাবেই খালি পেটে বা আধাপেটে দিন-রাত কাটে ওদের। ঈদ বা অন্য কোনো উৎসবের উত্তাল আনন্দের আলোকিত দিন নয়। সব সময়ই এ মহানগরের পথে পথে দেখা মেলে তাদের। সবাই দুঃখ করে, কিন্তু কেউ দাঁড়ান না ওদের পাশে।
No comments