শিরোপা ওয়েস্ট ইন্ডিজের
ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে চেনাই গেল না! ১৬ বলে ৩ রান করেই আউট ওয়েস্ট ইন্ডিজের 'ডেমোলিশন ম্যান'। তবে কাল রাতে ফিল্ডিংয়ে একটু পরপরই তাঁর বিখ্যাত 'গ্যাংন্যাম স্টাইল' উদ্যাপন দেখল ক্রিকেট বিশ্ব, যা দেখতে দেখতে একদা উৎসবমুখর প্রেমাদাসার গ্যালারির নীল বেদনায় হয়েছে আরো নীল।
তবে ক্রিকেট রোমান্টিকরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন শ্রীলঙ্কাকে ২০ রানে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। জেতার পর গেইলদের মাতিয়ে তোলা উদ্যাপনের সময়টায় কে মনে রাখে যে এ নিয়ে টানা চারটি বিশ্বকাপ ফাইনালে হারল লঙ্কানরা!
অবশ্য ব্যাটে ব্যর্থ হলেও ক্যারিবীয়দের উদ্দাম উৎসবের মধ্যমণি ক্রিস গেইল কিন্তু 'স্মরণ' করেছেন স্বাগতিকদের, 'আমি আগেই টুইট করেছিলাম যে শ্রীলঙ্কানরা ভালো খেলবে, কিন্তু জিতব আমরাই। মনে মনে চাচ্ছিলাম শ্রীলঙ্কার বাজে দিনটা যেন আজ আসে। তা-ই হয়েছে।' শ্রীলঙ্কা কতটা বাজে ক্রিকেট খেলেছে? জেতার জন্য টার্গেট মাত্র ১৩৮ রান। উইকেট যতই স্লো হোক না কেন, চেনা উইকেটে নাগালের মধ্যে থাকা লক্ষ্যে দল পৌঁছাবেই জেনে উৎসবের সব রংই ছড়িয়ে পড়েছিল প্রেমাদাসার গ্যালারিতে। কিন্তু ম্যাচের স্ক্রিপ্টটা যে উল্টো লিখে রেখেছিলেন ভাগ্যদেবী! রবি রামপালের প্রথম বলটাই ছিল মরণঘাতী। তিলকরত্নে দিলশানের পা নড়েনি বটে, তবে অফ-মিডলে পিচ করে বেরিয়ে যাওয়া ওই বল ধোঁকা দিতে পারে যেকোনো ব্যাটসম্যানকেই। ৬ রানে ১ উইকেটও গ্যালারিকে ভড়কে দেওয়ার মতো নয়। দিলশানের বিদায়ে তো আরো যোগ্য সঙ্গী পেয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা। দুজনের মনেই আগের বিশ্বকাপ ফাইনালগুলোয় হারের দগদগে ক্ষত আছে। এ দুজনই যদি ফাইনালের 'শাপমোচন' হয়, ক্রিকেট সাহিত্যের খোরাক তখন প্রেমাদাসায়। সাবেক এবং বর্তমান অধিনায়কের ব্যাটে ৪২ রানের জুটি দেখে অনেকের ইনট্রোও লেখা সারা। কিন্তু ক্যারিবীয় লেগস্পিনার স্যামুয়েল বদ্রির লং হপটা দেখে আর লোভ সামলাতে পারেননি সাঙ্গাকারা। কিন্তু পুল শটটা ঠিকভাবে না হওয়ায় তা গিয়ে জমা পড়ে কাইরন পোলার্ডের হাতে। বিপর্যয় শ্রীলঙ্কাকে জাপটে ধরে তখনই। সুনামির ক্ষত এখনো আছে লঙ্কা দ্বীপের আনাচ-কানাচে। কাল রাতে মিডল অর্ডারের ধসটাও মনে থাকবে লঙ্কানদের!
ড্যারেন স্যামি কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক? পরিচয়ে অলরাউন্ডার। কিন্তু তাঁকে কে কবে দেখেছেন ব্যাটে-বলে কী করে দেখাতে? এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য স্যামি যেন ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচটিকেই বেছে নিয়েছিলেন। সাঙ্গাকারার বিদায় যে কত বড় ক্ষতি, সেটি ধরিয়ে দেওয়ার পর দ্রুত আরেকটি আঘাতের দরকার ছিল। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফিরিয়ে সেটি করেছেন স্যামি। এরপর হঠাৎ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর তাতে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে জয়াবর্ধনের বিদায়ে স্তব্ধ দর্শক, যে সারিতে বসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসেও। এতে অবশ্য নিরপেক্ষ দর্শকদের লাভই হয়েছে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল ক্যারিবীয়দের উইকেটপ্রাপ্তির উল্লাস। নুয়ান কুলাসেকেরার ১৩ বলে ২৬ রানের ক্ষণিকের ঝড়ে অবশ্য শেষবার নড়াচড়া দেখা গেছে গ্যালারিতে। কিন্তু তিনি ৩ উইকেট নেওয়া নারাইনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হতেই আবার চারদিক সুনসান নীরবতা। প্রেমাদাসা তখন গেইল-স্যামুয়েলস-ব্রাভোদের গ্যাংন্যাম স্টাইলের মঞ্চ।
অথচ টস জিতে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ে নামার পর উল্টোটা দেখা গেছে গ্যালারিতে। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান গেইল। তাই সেমিফাইনালে শুরুতে কিছুটা সতর্ক ছিলেন। কালও তা-ই। নাহ্, অন্য কিছু। ম্যাথিউসের প্রথম চারটা বলের আগামাথা কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না চার্লস। তাই টি-টোয়েন্টির দাবি মেটাতে গিয়ে পঞ্চম বল মাঠের বাইরে পাঠাতে গিয়ে ফিরে যেতে হয় ক্যারিবীয় এই ওপেনারকেই। একদিকে সঙ্গী হারিয়েছেন, তার ওপর ম্যাথিউস-কুলাসেকেরা-মালিঙ্গারা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছিলেন বলেই কি বাক্সবন্দি হয়ে পড়েছিলেন গেইল? বল ছাড়ছেন ঠিক আছে, কিন্তু অজন্তা মেন্ডিস আক্রমণে আসতেই যেন পাড়ার ব্যাটসম্যান গেইল। একবার এলবিডাবি্লউয়ের আবেদন থেকে রেহাই পাওয়ার পরের বলেই মেন্ডিস এবং শ্রীলঙ্কাকে আনন্দে ভাসিয়ে বিদায় নেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটিং স্তম্ভ। গেইল শেষ তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ- এই ধারণারও যে 'শেষ' হবে ফাইনালে, তা কে জানত! ২০০০ সালে 'নতুন ভিভ রিচার্ডস' খ্যাতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত মারলন স্যামুয়েলস প্রয়োজনে রান করছেন ঠিকই, তাই বলে গেইলের বিদায় এবং টেস্ট সুলভ রান রেটটাকে বাড়িয়ে তিনি কি আর পারবেন লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে?
কিন্তু মারলন স্যামুয়েলস পেরেছেন। পাশে পেয়ে যান 'বার্থ ডে বয়' ডোয়েন ব্রাভোকে। একদিকে দল বিপর্যয়ে, অন্যদিকে প্রায় দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে মেন্ডিস ও আকিলা ধনঞ্জয়ের স্পিন। তাই শুরুতে সতর্কতা, এরপর সেই খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে আসেন স্যামুয়েলস। ব্রাভোর সঙ্গে ৬৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির ৫০ রানই তাঁর। বেচারা লাসিথ মালিঙ্গা! এই ফাস্ট বোলারের ওপর অনেক আশা ছিল স্বাগতিকদের। প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে প্রত্যাশা মেটানোর অঙ্গীকারও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরের ২ ওভারে যে দুঃস্বপ্নে ডুবিয়ে দেবেন স্যামুয়েলস, তা কি আর জানতেন মালিঙ্গা? ওই ২ ওভারে ৪০ রান গুনেছেন তিনি। শেষ ওভারে আরো ১০ রান দিয়ে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৪- আরেকটি ফাইনালে হারের দুঃখের সঙ্গে নিজের বোলিং ফিগারটাও সম্ভবত বাকি জীবন মনে রাখবেন মালিঙ্গা। তাঁর এই 'সর্বনাশের' কারণ স্যামুয়েলস। মালিঙ্গার ১১ বলে পাঁচ ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে ৩৯ রান নিয়েছেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। অবশ্য ১৮তম ওভারের প্রথম বলে স্যামুলেস ফিরে যাওয়ার পর হয়তো দলীয় সাফল্যে ব্যক্তিগত হতাশা ভোলার পথ দেখতে পাচ্ছিলেন মালিঙ্গা। স্যামুয়েলস যতই ৫৬ বলে ৭৮ রান করুন, ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর বিদায়ের ১০৮ থেকে আর কত দূরই বা যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ? কিন্তু সেটিও গেল ব্যাটে প্রায় 'অক্ষম' বলে সমালোচিত স্যামির ব্যাটসম্যানশিপে। ১৫ বলে অপরাজিত ২৬ রান সম্ভবত ক্যারিবীয় অধিনায়কের করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রান। এরপর ৪ ওভারে ১৫ রানে ১ উইকেটের সঙ্গে একটি ক্যাচ নেওয়ার দিনে বিশ্বজয়- ড্যারেন স্যামি শুধুই নেতৃত্বগুণে নেতা নন, পারফরমারও।
ক্রিসে গেইল ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে পারে- ফাইনালের এটাও একটা বার্তা।
অবশ্য ব্যাটে ব্যর্থ হলেও ক্যারিবীয়দের উদ্দাম উৎসবের মধ্যমণি ক্রিস গেইল কিন্তু 'স্মরণ' করেছেন স্বাগতিকদের, 'আমি আগেই টুইট করেছিলাম যে শ্রীলঙ্কানরা ভালো খেলবে, কিন্তু জিতব আমরাই। মনে মনে চাচ্ছিলাম শ্রীলঙ্কার বাজে দিনটা যেন আজ আসে। তা-ই হয়েছে।' শ্রীলঙ্কা কতটা বাজে ক্রিকেট খেলেছে? জেতার জন্য টার্গেট মাত্র ১৩৮ রান। উইকেট যতই স্লো হোক না কেন, চেনা উইকেটে নাগালের মধ্যে থাকা লক্ষ্যে দল পৌঁছাবেই জেনে উৎসবের সব রংই ছড়িয়ে পড়েছিল প্রেমাদাসার গ্যালারিতে। কিন্তু ম্যাচের স্ক্রিপ্টটা যে উল্টো লিখে রেখেছিলেন ভাগ্যদেবী! রবি রামপালের প্রথম বলটাই ছিল মরণঘাতী। তিলকরত্নে দিলশানের পা নড়েনি বটে, তবে অফ-মিডলে পিচ করে বেরিয়ে যাওয়া ওই বল ধোঁকা দিতে পারে যেকোনো ব্যাটসম্যানকেই। ৬ রানে ১ উইকেটও গ্যালারিকে ভড়কে দেওয়ার মতো নয়। দিলশানের বিদায়ে তো আরো যোগ্য সঙ্গী পেয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা। দুজনের মনেই আগের বিশ্বকাপ ফাইনালগুলোয় হারের দগদগে ক্ষত আছে। এ দুজনই যদি ফাইনালের 'শাপমোচন' হয়, ক্রিকেট সাহিত্যের খোরাক তখন প্রেমাদাসায়। সাবেক এবং বর্তমান অধিনায়কের ব্যাটে ৪২ রানের জুটি দেখে অনেকের ইনট্রোও লেখা সারা। কিন্তু ক্যারিবীয় লেগস্পিনার স্যামুয়েল বদ্রির লং হপটা দেখে আর লোভ সামলাতে পারেননি সাঙ্গাকারা। কিন্তু পুল শটটা ঠিকভাবে না হওয়ায় তা গিয়ে জমা পড়ে কাইরন পোলার্ডের হাতে। বিপর্যয় শ্রীলঙ্কাকে জাপটে ধরে তখনই। সুনামির ক্ষত এখনো আছে লঙ্কা দ্বীপের আনাচ-কানাচে। কাল রাতে মিডল অর্ডারের ধসটাও মনে থাকবে লঙ্কানদের!
ড্যারেন স্যামি কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক? পরিচয়ে অলরাউন্ডার। কিন্তু তাঁকে কে কবে দেখেছেন ব্যাটে-বলে কী করে দেখাতে? এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য স্যামি যেন ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচটিকেই বেছে নিয়েছিলেন। সাঙ্গাকারার বিদায় যে কত বড় ক্ষতি, সেটি ধরিয়ে দেওয়ার পর দ্রুত আরেকটি আঘাতের দরকার ছিল। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফিরিয়ে সেটি করেছেন স্যামি। এরপর হঠাৎ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর তাতে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে জয়াবর্ধনের বিদায়ে স্তব্ধ দর্শক, যে সারিতে বসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসেও। এতে অবশ্য নিরপেক্ষ দর্শকদের লাভই হয়েছে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল ক্যারিবীয়দের উইকেটপ্রাপ্তির উল্লাস। নুয়ান কুলাসেকেরার ১৩ বলে ২৬ রানের ক্ষণিকের ঝড়ে অবশ্য শেষবার নড়াচড়া দেখা গেছে গ্যালারিতে। কিন্তু তিনি ৩ উইকেট নেওয়া নারাইনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হতেই আবার চারদিক সুনসান নীরবতা। প্রেমাদাসা তখন গেইল-স্যামুয়েলস-ব্রাভোদের গ্যাংন্যাম স্টাইলের মঞ্চ।
অথচ টস জিতে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ে নামার পর উল্টোটা দেখা গেছে গ্যালারিতে। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান গেইল। তাই সেমিফাইনালে শুরুতে কিছুটা সতর্ক ছিলেন। কালও তা-ই। নাহ্, অন্য কিছু। ম্যাথিউসের প্রথম চারটা বলের আগামাথা কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না চার্লস। তাই টি-টোয়েন্টির দাবি মেটাতে গিয়ে পঞ্চম বল মাঠের বাইরে পাঠাতে গিয়ে ফিরে যেতে হয় ক্যারিবীয় এই ওপেনারকেই। একদিকে সঙ্গী হারিয়েছেন, তার ওপর ম্যাথিউস-কুলাসেকেরা-মালিঙ্গারা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছিলেন বলেই কি বাক্সবন্দি হয়ে পড়েছিলেন গেইল? বল ছাড়ছেন ঠিক আছে, কিন্তু অজন্তা মেন্ডিস আক্রমণে আসতেই যেন পাড়ার ব্যাটসম্যান গেইল। একবার এলবিডাবি্লউয়ের আবেদন থেকে রেহাই পাওয়ার পরের বলেই মেন্ডিস এবং শ্রীলঙ্কাকে আনন্দে ভাসিয়ে বিদায় নেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটিং স্তম্ভ। গেইল শেষ তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ- এই ধারণারও যে 'শেষ' হবে ফাইনালে, তা কে জানত! ২০০০ সালে 'নতুন ভিভ রিচার্ডস' খ্যাতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত মারলন স্যামুয়েলস প্রয়োজনে রান করছেন ঠিকই, তাই বলে গেইলের বিদায় এবং টেস্ট সুলভ রান রেটটাকে বাড়িয়ে তিনি কি আর পারবেন লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে?
কিন্তু মারলন স্যামুয়েলস পেরেছেন। পাশে পেয়ে যান 'বার্থ ডে বয়' ডোয়েন ব্রাভোকে। একদিকে দল বিপর্যয়ে, অন্যদিকে প্রায় দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে মেন্ডিস ও আকিলা ধনঞ্জয়ের স্পিন। তাই শুরুতে সতর্কতা, এরপর সেই খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে আসেন স্যামুয়েলস। ব্রাভোর সঙ্গে ৬৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির ৫০ রানই তাঁর। বেচারা লাসিথ মালিঙ্গা! এই ফাস্ট বোলারের ওপর অনেক আশা ছিল স্বাগতিকদের। প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে প্রত্যাশা মেটানোর অঙ্গীকারও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরের ২ ওভারে যে দুঃস্বপ্নে ডুবিয়ে দেবেন স্যামুয়েলস, তা কি আর জানতেন মালিঙ্গা? ওই ২ ওভারে ৪০ রান গুনেছেন তিনি। শেষ ওভারে আরো ১০ রান দিয়ে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৪- আরেকটি ফাইনালে হারের দুঃখের সঙ্গে নিজের বোলিং ফিগারটাও সম্ভবত বাকি জীবন মনে রাখবেন মালিঙ্গা। তাঁর এই 'সর্বনাশের' কারণ স্যামুয়েলস। মালিঙ্গার ১১ বলে পাঁচ ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে ৩৯ রান নিয়েছেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। অবশ্য ১৮তম ওভারের প্রথম বলে স্যামুলেস ফিরে যাওয়ার পর হয়তো দলীয় সাফল্যে ব্যক্তিগত হতাশা ভোলার পথ দেখতে পাচ্ছিলেন মালিঙ্গা। স্যামুয়েলস যতই ৫৬ বলে ৭৮ রান করুন, ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর বিদায়ের ১০৮ থেকে আর কত দূরই বা যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ? কিন্তু সেটিও গেল ব্যাটে প্রায় 'অক্ষম' বলে সমালোচিত স্যামির ব্যাটসম্যানশিপে। ১৫ বলে অপরাজিত ২৬ রান সম্ভবত ক্যারিবীয় অধিনায়কের করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রান। এরপর ৪ ওভারে ১৫ রানে ১ উইকেটের সঙ্গে একটি ক্যাচ নেওয়ার দিনে বিশ্বজয়- ড্যারেন স্যামি শুধুই নেতৃত্বগুণে নেতা নন, পারফরমারও।
ক্রিসে গেইল ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে পারে- ফাইনালের এটাও একটা বার্তা।
No comments