প্রশাসন কঠোর হলে এমন ঘটতে পারত না

ফেসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধপল্লীতে ২৯ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১১টি বৌদ্ধ মন্দিরসহ ১৫টি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্ট। এ বিষয়ে টেলিফোনে মন্তব্য জানিয়েছেন পাঠকরা।


গ্রন্থনা :একরামুুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক

মো. সাবি্বর আহমেদ
শিক্ষার্থী, ঝিনাইদহ
রামুর ঘটনা সরকারের জন্য ব্যর্থতা। প্রশাসন যদি আগে থেকেই সতর্ক থাকত তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। রামুবাসীর প্রতি আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

মো. আবদুর রহিম
সহকারী শিক্ষক, নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিরোজপুর
উগ্রপন্থি ধর্মান্ধ লোকজন সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সরকার ও বিরোধী দল পরস্পরকে দোষারোপ করে উগ্রপন্থিদের ছাড় দিয়ে যাচ্ছে।

স্বপন মাহমুদ
চাকরিজীবী, সিলেট
রামুর ঘটনায় রাষ্ট্র, সমাজ সবাই ব্যর্থ।
আলমাসউদ্দীন আহমেদ
মিরপুর, ঢাকা
রামুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্টির কোনো আলামত পাওয়া যায় না।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
ইসলাম শান্তির ধর্ম। ধৈর্য ও সহিষ্ণুতাই ইসলামের শিক্ষা। ইসলাম অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। যারা ইসলামের নামে এসব করেছে, তারা আসলে প্রকৃত মুসলিম নয়। এ ঘটনার জন্য সরকারের কিছু ব্যর্থতা আছে, তবে পুরোটা নয়।
আবু মো. ইউসুফ
ব্যবসায়ী, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর
এ জঘন্যতম হামলায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নম্ন হয়েছে। ঘটনায় সরকার ও বিরোধী দল পরস্পরকে দোষারোপ করছে। এতে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে যাচ্ছে।
মো. আক্কাস শেখ
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
রামুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারকে সরাসরি দোষ দেওয়া যায় না। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা অবশ্যই রয়েছে।
ডা. ইব্রাহীম
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
এ ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকার সঠিক সময়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এখনই পদত্যাগ করা উচিত।
জুনাইদ আহমেদ
ব্যবসায়ী, সিলেট
রামুর ঘটনা পরিকল্পিত। সরকার এ ঘটনা আগে থেকে কেন টের পায়নি? সরকার এখানে ব্যর্থ।
ডা. আবদুুল আজীজ
ফরিদপুর
রামুর ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আসলে সরকারই এটা পরিকল্পিতভাবে করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
মো. কামাল পাশা
ব্যবসায়ী, ইমামগঞ্জ, ঢাকা
সরকার ও বিরোধী দলের মাঝে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। এটা খুবই দুঃখজনক। সরকার অপরাধীদের না খুঁজে এটা করছে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, তা উন্নয়নে কাজ করা উচিত।
মো. ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
দেশের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে হামলা করে সন্ত্রাসীরা সরকারকে ব্যর্থ করতে চেয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর ধর্ম-কর্ম বলতে কিছু নেই। বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণে চেষ্টা করছে। সরকার যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সচেষ্ট, তখন একটা চক্র এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও গোয়েন্দাদের এসব জানার কথা। এটা তাদের ব্যর্থতা।
জাহাঙ্গীর হোসেন
শিক্ষার্থী, যশোর
রামুর ঘটনা সরকারই ঘটিয়েছে। তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশের পরিচয়ে কালিমা লেপন করেছে।
শাহ আলম
শিক্ষক, সিরাজগঞ্জ
এ ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যর্থতায়ই এটা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
কবির খন্দকার
শিক্ষার্থী, বনানী, ঢাকা
রামুর ঘটনা কলঙ্কজনক। কোনো ধর্মাবলম্বী বা তাদের উপাসনালয়ে হামলা করা উচিত নয়। অপরাধীদের শাস্তি চাই।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ
গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এসে যখন সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করছে, ঠিক তখনই একটি চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
মো. হেলাল উদ্দিন
বাবুর্চি, মতিঝিল
সরকার এ ব্যাপারে ব্যর্থ। তাদের দলীয় লোক হামলার সময় ছিল।
মো. কিবরিয়া হোসেন বাপ্পি
শিক্ষার্থী, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
রামুর ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা দরকার।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
রামুর ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের মাধ্যমেই শাস্তি দেওয়া উচিত, ভবিষ্যতে যাতে এভাবে দেশের কোনো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়।
খসরু আহমদ
ব্যবসায়ী, গোলাপগঞ্জ, সিলেট
বৌদ্ধবিহারে হামলা, রেল কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি_ এসব দুর্নীতির পরও কি এই সরকারের ক্ষমতায় থাকা উচিত?
তাপস হালদার
কালুখালী, রাজবাড়ী
সম্প্রতি কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ার বৌদ্ধবিহারে হামলায় শুধু বৌদ্ধবিহারই নয়; দুষ্কৃৃতকারীরা প্রকৃতপক্ষে পুড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের হৃদয়। এ বিপজ্জনক নাশকতায় সভ্যতা কলুষিত হয়েছে। আমি এ ঘটনায় মর্মাহত, ব্যথিত। সরকার ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি নিয়ে চলেছে।
মোস্তফা কামাল
সমাজসেবী, কুমিল্লা
বাংলাদেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে, তখনই একটি গোষ্ঠী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইসলাম এসব জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। যারাই এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার করা হোক।
শরিফ
শিক্ষার্থী, ঢাকা
এ ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
তরিকুল ইসলাম রাসেল
শিক্ষার্থী, গাজীপুর
এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। অপরাধীদের শাস্তি চাই। সরকার যেন ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ মন্দির পুনর্নির্মাণে সহায়তা করে।
সৈয়দ রাজু আহমদ
চাকরিজীবী, টাঙ্গাইল
এটা আসলে বিরোধী দলকে ঘায়েল করার সরকারের নতুন কৌশল। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে ভরার জন্য এটা তারা করেছে। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
জাহাঙ্গীর আলম
ব্যবসায়ী, নেত্রকোনা
রামুর ঘটনায় সরকার ব্যর্থ। এত বড় একটা ঘটনায় সরকার কিছুই করতে পারেনি। এর দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
রুবেল
ব্যবসায়ী, মতিঝিল, ঢাকা।
এ ঘটনাসহ অনেক ঘটনাই দেশে ঘটছে। ঘটনার পর সরকারি ও বিরোধী দল কেবল বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। কাজের কাজ করছে না।
মো. আনিসুর রহমান বাবু
ব্যবসায়ী, গুলশান, ঢাকা
রামুর ঘটনাসহ সাম্প্রতিক অনেক ঘটনায়ই সরকার ব্যর্থ। সরকারের স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী রয়েছে জনগণের নিরাপত্তার জন্য। তারা এ ঘটনায় কিছু করতে পারেনি।
এমএ লতিফ মজুমদার
অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হয়েছে।
রেজ্জাজুল ইসলাম রাজ্জাক
মানবাধিকার কর্মী, রংপুর
রামুর ঘটনায় সরকার ও বিরোধী দল উভয়েরই ব্যর্থতা আছে। তবে সরাসরি প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে।
জওহর বণিক
ব্যবসায়ী, কুমিল্লা
রামুর ঘটনায় প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নিত, তাহলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। এ জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ওসি দায়ী। সামনে পূজা রয়েছে। সেখানে যেন নিরাপত্তা থাকে। ভবিষ্যতে যেন এ রকম ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
শেখ মোহাম্মদ আলী
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
এ ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাই। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া দরকার। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম নিয়ে যেন কেউ বাড়াবাড়ি না করে। সরকারকে ভবিষ্যতে আরও সচেতন থাকতে হবে।
মো. নাহিদ ইকবাল
ব্যবসায়ী, ভোলা
এ ঘটনায় সরকার কীভাবে ব্যর্থ হতে পারে! সরকার তো এটা ঘটায়নি।
কিশোর কুমার
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী
রামুর ঘটনায় সরকার ব্যর্থ। কারণ সরকার কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি।
আবদুুর রহিম
ব্যবসায়ী, কক্সবাজার
সরকারকে আসলে ব্যর্থ বলা যায় না। এ ঘটনাটি সুপরিকল্পিত। এখানে রোহিঙ্গারা জড়িত বলে মনে হয়। তবে প্রশাসনের উদাসীনতা অবশ্যই ছিল।
আবু তালেব
সাবেক মেয়র, পরশুরাম পৌরসভা
সরকার পরিকল্পিতভাবে রামুর ঘটনা ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা বৌদ্ধদের উপাসনালয় ও বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে অগি্নসংযোগ করেছে। সরকারের ব্যর্থতা থেকে জনগণের চোখ সরাতে এই হামলা হয়েছে। হামলা পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপগুলোও লোক দেখানো।
মো. মিজানুর রহমান
ব্যবসায়ী, বরিশাল
আসলে এখানে সম্পূর্ণ সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। না হলে এত বড় ঘটনা কীভাবে ঘটে?
মো. আরমান খান
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
আমরা বিভিন্ন পত্রিকায় যেভাবে পড়েছি তাতে সরকারের ব্যর্থতা দেখছি না। বরঞ্চ সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এসব করা হচ্ছে। জামায়াতপন্থি ও রোহিঙ্গারা এমন করছে। এখন বিভিন্ন পক্ষ এ নিয়ে এক ধরনের ব্যবসা শুরু করেছে।
কিশোর
চাকরিজীবী, ওয়ারী, ঢাকা
আসলে সরকারের ব্যর্থতা বলব না, বলব প্রশাসনের দুর্বলতা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে।
মো. কামরুজ্জামান
ব্যবসায়ী, ফরিদপুর
সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার মন্তব্য, সরকারে যারাই থাকে দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হলে তার দায়দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। বিরোধী দলেরও যে দায় নেই তা নয়। কারণ বিরোধী দলেরও সংসদে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এত বড় একটা ঘটনা ঘটল কিন্তু গোয়েন্দারা জানল না! এমনকি তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হলো না। পুলিশ প্রশাসনকে এসব ব্যাপারে আরও সজাগ থেকে মোকাবেলা করতে হবে।
মো. রফিকুল ইসলাম মাসুম
আমেরিকা প্রবাসী, বরিশাল
এটা সরকারের ব্যর্থতা। তদন্ত করে দায়ীদের খুঁজে বের করা উচিত।
মো. শেখ জামাল
দোকানদার, ফেনী
এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। আমার ধারণা, জামায়াত জোটের হাত ছিল। দেশে ঝামেলা বাধানোর জন্য এসব করেছে।
মো. ইসমাইল হোসেন
কলেজ শিক্ষক, বাগেরহাট
রামুর ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা। গোয়েন্দা বিভাগ নিষ্ক্রিয় ছিল।
ড. রফিকুল ইসলাম মোল্লা
এনজিও কর্মকর্তা, সাভার
রামুর ঘটনায় দেশবাসী বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। কাগজপত্রে অসাম্প্রদায়িক সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তার মধ্যে এই ঘটনা, এর দায় অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে। কঠোর বিচার না হলে মনে করতে হবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগ সবাই এক।
বিশ্বজিৎ দেবনাথ
শিক্ষার্থী, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম
আমার মনে হয় রামুর ঘটনায় সরকারের হস্তক্ষেপ নেই।
মো. শাহজালাল সুমন
শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
রামুতে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তাতে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে। সরকার বলছে, এটি পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্ত। তাহলে আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কী করল? তাদের কাজ তো আগে থেকে সরকারকে সতর্ক করা।
মহসিন জমাদ্দার
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি
রামুর ঘটনা প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে হয়েছে। গোয়েন্দারা আগে থেকে কঠোর নজরদারি রাখলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। রোহিঙ্গারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমার মনে হয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের যেন খুঁজে বের করা হয়। বিষয়টিকে যাতে দলীয়ভাবে না দেখা হয়।
তারিকুল ইসলাম অভি
শিক্ষার্থী, রংপুর
রামুর ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের ব্যর্থতা থাকতে পারে, তবে এর মানে এই নয় যে সরকারের লোকজন এতে জড়িত। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এখানে বিরোধী দলের কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
পরেশ
চাকরিজীবী, ময়মনসিংহ
সরকারকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে। সাম্প্রদায়িক হামলা এই গণতান্ত্রিক দেশে আর চাই না।
এমএ আজিজ সবুজ
ব্যবসায়ী, হবিগঞ্জ
রামুর ঘটনায় সরকার ব্যর্থ। এখন সরকারের দায়িত্ব দায়ীদের খুঁজে বের করা।
মো. নুরুল হক
চাকরিজীবী, আগারগাঁও, ঢাকা
রামুর ঘটনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতা সরকারের। পুলিশ প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়নি। সঙ্গে সঙ্গে অপারেশনে গেলে এত ক্ষতি হতো না।
সুনীতি শিকদার
ব্যবসায়ী, মাগুরা
প্রশাসন কী করল? প্রশাসনের শক্ত ভূমিকা রাখা দরকার ছিল।
মো. খুরশিদ আলম সোহেল
ব্যবসায়ী, ফেনী
গোয়েন্দা সংস্থা কী করল? প্রশাসন শক্ত হাতে মোকাবেলা করলে এত বড় ঘটনা ঘটত না।
মো. আমির হোসেন
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
রামুর ঘটনা দুঃখজনক। এর সঠিক তদন্ত করে বিচার করা হোক।
মনির আহমেদ
এনজিওকর্মী, বাগেরহাট
এটি সরকারের ব্যর্থতা। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী পাঠালে অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসত।
জামাল
ব্যবসায়ী, টঙ্গী
রামুর ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা তো আছেই। তবে বাইরের লোকেরা এর সঙ্গে জড়িত। সরকারকে তা দেখতে হবে। এত বড় একটা ঘটনা ঘটেছে, স্থানীয় প্রশাসন কী করেছে? বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
শঙ্কর বড়ূয়া
ব্যবসায়ী, কুমিল্লা
রামুর ঘটনায় সরকারের কোনো উদ্বেগ দেখছি না। এতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
সৈয়দ আহমেদ খান
চাকরিজীবী, চাঁদপুর
দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনার জন্য সরকার দায়ী। তবে রামুর ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা এমনটা বলা যায় না।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
প্রথমেই রামুতে ঘটে যাওয়া অমানবিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। সে সঙ্গে কবি নজরুলের অমোঘ বাণী উচ্চারণ করি_ 'কাণ্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার'। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ যে ধর্মের মানুষ আক্রান্ত হোক না কেন আমরা সেটিকে মানবতার অপরাধ বলে মনে করি। সে জন্য রামুতে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করি। প্রশ্ন থেকে যায়, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসন কী করল? সংখ্যালঘু মানুষরা যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগে সে জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। জাতিগত এবং ধর্মগত বিভেদ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে কেউ পার পাবে না।

No comments

Powered by Blogger.