চরাচর-পদ্মটুনার অপার সৌন্দর্য বাইক্কা বিলে by বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন
পদ্ম ফুল ফোটার পর তার অবশিষ্ট অংশটিকে স্থানীয় ভাষায় টুনা বলে। পদ্ম ও টুনা মিলেই নাম হয়েছে 'পদ্মটুনা'। স্থানীয়ভাবে সবার কাছেই এটি সমাদৃত একটি সুস্বাদু পদ্মফল হিসেবে। পদ্মটুনা দেখতে অনেকটা হালকা সবুজ। এর ফলগুলো পরিপূর্ণ হয়ে উঠলে তা কিছুটা হলুদবর্ণ ধারণ করে।
আর ফলের ধারক হয় পেস্ট রঙের। পদ্মটুনার বীজগুলো চক্রাকারে সুসজ্জিত থাকে এবং এর আকৃতি অনেকটাই গোলাকার। পদ্মটুনার বীজ খেতে সুস্বাদু। স্থানীয় লোকজন পানিতে নেমে পদ্মটুনা সংগ্রহ ও বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বাইক্কা বিলে হাজার হাজার পদ্মটুনার একত্রে ফুটে ওঠার সৌন্দর্যে চোখ নিমেষেই ভরে যায়। জলজ উদ্ভিদ পদ্মফুল থেকে এর জন্ম। হাইল হাওরের অন্যান্য অংশে কখনো কখনো এই পদ্মটুনা দেখা গেলেও বাইক্কা বিলে তা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। শুধু পদ্ম বা পদ্মটুনাই নয়- বাইক্কা বিলে এখন নানা বৈচিত্র্যের জলজ ফুল ফুটে রয়েছে। বিচিত্র তাদের রং। বিচিত্র তাদের আকার। ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে চারদিক। ওপরে নীলাকাশ আর নিচে দিগন্তবিস্তৃত ফুলের বর্ণিল শোভা। শারদ প্রকৃতির এই স্নিগ্ধ সতেজ সৌন্দর্যের মাঝে জলজ ফুলের এমন শোভায় চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রস্ফুটিত বিরল প্রজাতির পদ্ম এবং শাপলা-শালুক এ বিলের রূপকে পাল্টে দিয়েছে দারুণভাবে। কয়েক বছর ধরে বাইক্কা বিল লাল আর সাদা পদ্মে ভরে উঠছে। সাধারণত মার্চ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এখানে পদ্মসহ নানা জলজ ফুল দেখা যায়। শুধু বাইক্কা বিলই বা কেন? দেশের ছোট-বড় সব জলাশয়ের ওপর ফুটে থাকা জলজ ফুলের সৌন্দর্যের তুলনা মেলা ভার।
মৌলভীবাজার জেলার কিছু অংশ এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার বৃহদাংশ নিয়ে বিস্তৃত হাইল হাওর পাখি, মাছ আর প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার হিসেবে আজ সুপরিচিত। এ হাওরটি সিলেটের মেঘনা-কুশিয়ারা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। ১৯৯৯ সালে সরকারের পক্ষ থেকে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলকে স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণার পর এর জলাভূমি সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। অতীতে সব ধরনের প্রাকৃতিক জলজ সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহার এবং অতিমাত্রায় আহরণ এ হাওরকে একসময় হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল। আইপ্যাক প্রকল্পের ক্লাস্টার পরিচালক মলয় কুমার সরকার বলেন, 'পদ্মসহ নানা প্রজাতির জলজ ফুল এখন বাইক্কা বিলের প্রধান সৌন্দর্য হয়ে ফুটে রয়েছে। জলাভূমিগুলোর সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করে জলাভূমির মূল্যবান সম্পদগুলোকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।' প্রসিদ্ধ এই হাইল হাওরের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ভিত্তি করে এখানে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ ইতিপূর্বে শোনা গেলেও তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন
মৌলভীবাজার জেলার কিছু অংশ এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার বৃহদাংশ নিয়ে বিস্তৃত হাইল হাওর পাখি, মাছ আর প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার হিসেবে আজ সুপরিচিত। এ হাওরটি সিলেটের মেঘনা-কুশিয়ারা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। ১৯৯৯ সালে সরকারের পক্ষ থেকে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলকে স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণার পর এর জলাভূমি সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। অতীতে সব ধরনের প্রাকৃতিক জলজ সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহার এবং অতিমাত্রায় আহরণ এ হাওরকে একসময় হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল। আইপ্যাক প্রকল্পের ক্লাস্টার পরিচালক মলয় কুমার সরকার বলেন, 'পদ্মসহ নানা প্রজাতির জলজ ফুল এখন বাইক্কা বিলের প্রধান সৌন্দর্য হয়ে ফুটে রয়েছে। জলাভূমিগুলোর সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করে জলাভূমির মূল্যবান সম্পদগুলোকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।' প্রসিদ্ধ এই হাইল হাওরের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ভিত্তি করে এখানে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ ইতিপূর্বে শোনা গেলেও তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন
No comments