সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে সম্মত ফিলিপাইনের মুসলিম বিদ্রোহীরা
ফিলিপাইনে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত অবসানে অবশেষে আশার আলো দেখা গেছে। সরকার ও দেশের সবচেয়ে বড় মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠী গতকাল রবিবার জানিয়েছে, একটি শান্তিচুক্তি সইয়ে একমত হয়েছে তারা। এই সংঘাতে এ যাবৎ দেড় লাখেরও বেশি লোক মারা গেছে।
চুক্তিতে দক্ষিণাঞ্চলীয় খনিসমৃদ্ধ মিন্দানাও এলাকায় মুসলমানদের জন্য একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠনের কথা বলা হয়েছে। মিন্দানাও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা। মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠী মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট (এমআইএলএফ) মিন্দানাওয়ের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। সংগঠনটির ১২ হাজারের মতো সক্রিয় সদস্য রয়েছে। নতুন এই চুক্তিতে এমআইএলএফ স্বাধীন দেশের দাবি থেকে সরে এসেছে। তাদের এক মুখপাত্র জানান, চুক্তিটি নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
প্রেসিডেন্ট বেনিনো অ্যাকুইনো গতকাল টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, 'এই কাঠামোগত চুক্তি মিন্দানাওয়ে চূড়ান্ত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। সাবেক সব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এর আওতাভুক্ত হবে। এমআইএলএফও আর পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানাবে না।' প্রতিবেশী মালয়েশিয়ায় কয়েক দফা আলোচনার পর চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হলো। আগামী ১৫ অক্টোবর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সই হবে।
মিন্দানাওয়ে অবস্থানকারী এমআইএলএফের ভাইস চেয়ারম্যান ঘাজালি জাফর বার্তা সংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে জানান, চুক্তির সম্ভাবনায় তাঁরা খুশি। প্রেসিডেন্টের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে এই চুক্তি কবে বাস্তবায়ন হবে সে সম্পর্কে কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট বেনিনো ক্ষমতা ছাড়ার আগেই অর্থাৎ ২০১৬ সালের মধ্যেই তা কার্যকর হবে। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের অস্ত্র ত্যাগ নিয়েও কোনো ঘোষণা আসেনি।
তবে বেনিনো ও জাফর স্বীকার করেছেন, চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবন্ধতা এখনো রয়ে গেছে। চুক্তি নিয়ে গণভোটের আয়োজন করা হবে। ক্যাথলিক খ্রিস্টানপ্রধান দেশে এ জাতীয় অনুমোদন পাওয়া সহজ হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০০৮ সালে গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল অ্যারোইয়ো সরকারও একবার বিদ্রোহীদের সঙ্গে চুক্তি করে। পরে সুপ্রিম কোর্ট চুক্তিকে 'অসাংবিধানিক' বলে বাতিল করে দেন।
সাত হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত ফিলিপাইন এক সময় মুসলিম সাম্রাজ্য ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে স্প্যানিশ খ্রিস্টানরা এ দেশে আসে। এরপর থেকে তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। মুসলমানরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়। সাড়ে ৯ কোটি জনসংখ্যার ফিলিপাইনে বর্তমানে শুধু মিন্দানাওয়ে মুসলমানদের সংখ্যা ৪০ লাখ। এই এলাকাটিতেই স্বাধীন দেশের দাবিতে ১৯৭০ সাল থেকে আন্দোলন শুরু করে তারা। ফিলিপাইন সরকার মুসলমানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করে ১৯৭৫ সালে। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পর গত রবিবার আবারও একটি শান্তি সমঝোতায় পেঁৗছানোর কথা জানাল দুই পক্ষ। সূত্র : বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট বেনিনো অ্যাকুইনো গতকাল টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, 'এই কাঠামোগত চুক্তি মিন্দানাওয়ে চূড়ান্ত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। সাবেক সব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এর আওতাভুক্ত হবে। এমআইএলএফও আর পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানাবে না।' প্রতিবেশী মালয়েশিয়ায় কয়েক দফা আলোচনার পর চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হলো। আগামী ১৫ অক্টোবর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সই হবে।
মিন্দানাওয়ে অবস্থানকারী এমআইএলএফের ভাইস চেয়ারম্যান ঘাজালি জাফর বার্তা সংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে জানান, চুক্তির সম্ভাবনায় তাঁরা খুশি। প্রেসিডেন্টের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে এই চুক্তি কবে বাস্তবায়ন হবে সে সম্পর্কে কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট বেনিনো ক্ষমতা ছাড়ার আগেই অর্থাৎ ২০১৬ সালের মধ্যেই তা কার্যকর হবে। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের অস্ত্র ত্যাগ নিয়েও কোনো ঘোষণা আসেনি।
তবে বেনিনো ও জাফর স্বীকার করেছেন, চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবন্ধতা এখনো রয়ে গেছে। চুক্তি নিয়ে গণভোটের আয়োজন করা হবে। ক্যাথলিক খ্রিস্টানপ্রধান দেশে এ জাতীয় অনুমোদন পাওয়া সহজ হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০০৮ সালে গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল অ্যারোইয়ো সরকারও একবার বিদ্রোহীদের সঙ্গে চুক্তি করে। পরে সুপ্রিম কোর্ট চুক্তিকে 'অসাংবিধানিক' বলে বাতিল করে দেন।
সাত হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত ফিলিপাইন এক সময় মুসলিম সাম্রাজ্য ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে স্প্যানিশ খ্রিস্টানরা এ দেশে আসে। এরপর থেকে তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। মুসলমানরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়। সাড়ে ৯ কোটি জনসংখ্যার ফিলিপাইনে বর্তমানে শুধু মিন্দানাওয়ে মুসলমানদের সংখ্যা ৪০ লাখ। এই এলাকাটিতেই স্বাধীন দেশের দাবিতে ১৯৭০ সাল থেকে আন্দোলন শুরু করে তারা। ফিলিপাইন সরকার মুসলমানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করে ১৯৭৫ সালে। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পর গত রবিবার আবারও একটি শান্তি সমঝোতায় পেঁৗছানোর কথা জানাল দুই পক্ষ। সূত্র : বিবিসি।
No comments