হলমার্কের তানভীর গ্রেপ্তার
অবশেষে ধরা পড়েছেন বহুল আলোচিত হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে র্যা ব গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির মূল হোতাকে।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের, ব্লক-সির ৮ নম্বর লেনের ১২ নম্বর বাড়ি থেকে তানভীর মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দুদকের করা মামলার অপর আসামি, হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদকেও গ্রেপ্তার করে র্যা ব। তুষার আহমেদ সম্পর্কে তানভীর মাহমুদের ভায়রা। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি ব্ল্যাকবেরি মুঠোফোন, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, চারটি গুলি এবং দুই লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে গতকাল ভোর ছয়টা পর্যন্ত সাভারের তেঁতুলঝড়ায় হলমার্কের স্থাপনায় তানভীরের খোঁজে অভিযান চালায় র্যা ব।
র্যা ব কর্মকর্তারা জানান, গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁরা নিশ্চিত হন মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ৮ নম্বর লেনের (ইনডোর স্টেডিয়ামের পেছনে) কোনো একটি বাড়িতে তানভীর রয়েছেন। এরপর তাঁরা ৮ নম্বর লেনের কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন। ১২ নম্বর বাড়িতেও তখন তল্লাশি হয়। কোথাও না পেয়ে কিছুক্ষণ পর আবারও ১২ নম্বর বাড়িতে তল্লাশি চালায় র্যা ব। এ সময় ওই বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ ছিল। র্যা ব সদস্যরা পঞ্চম তলায় বাড়ির মালিকের শ্যালিকার কাছে ওই ফ্ল্যাটের চাবি চান। তিনি প্রথমে দিতে অস্বীকার করলেও পরে দিতে বাধ্য হন। চাবি দিয়ে চতুর্থ তলার ওই ফ্ল্যাটের তালা খুলে ভেতরে তানভীর ও তুষারকে পাওয়া যায়। ছোট্ট ওই ফ্ল্যাটে তানভীর সাদা হাফশার্ট আর তুষার সাদা ফুলশার্ট পরে বসে ছিলেন। তানভীরকে কিছুটা ক্লান্ত দেখালেও তুষার ছিলেন স্বাভাবিক। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের গণমাধ্যমের সামনে আনা হলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক হায়দার আলী প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িটির মালিক প্রবাসী শামসুদ্দীন তোহা। চতুর্থ তলার ওই ফ্ল্যাটে থাকেন মালিকের শ্যালক পাভেল আর পঞ্চম তলায় থাকেন পাভেলের বড় বোন। পাভেল মিরপুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় বর্তমানে বোনের বাড়িতে রয়েছেন। ওই বাড়িতে তানভীর ও তুষার কীভাবে এলেন, তা বলতে পারেননি হায়দার আলী। তবে তাঁর ধারণা, রোববার বেলা আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে তানভীর ও তুষার এসেছেন।
পাভেলকে খুঁজে পায়নি র্যা ব। হায়দার আলী জানান, বিকেলে পাভেল বাসায় ফিরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বেরিয়ে গেছেন।
র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, তানভীর দাবি করেছেন শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর এক শ্রমিক তাঁকে ওই বাড়িতে নিয়ে আসেন। তবে র্যা বের ধারণা, র্যা বের ধাওয়া খেয়েই তিনি এ বাড়িতে উঠেছেন। তানভীরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি অবৈধ।
গ্রেপ্তারের পর তানভীরকে মিরপুরের পাইকপাড়ায় র্যা ব-৪-এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত একটার দিকে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। ওই মামলা করে তানভীরকে পল্লবী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র্যা ব-৪-এর সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর আহমদ।
র্যা ব কর্মকর্তারা জানান, ফোনে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তানভীর। তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন, এমন গুজবও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁর কারখানার কর্মীরা বলে বেড়াচ্ছেন, সরকারের সব মহলে টাকা দিয়ে ‘ম্যানেজ’ করা হয়েছে।
কয়েকজন র্যা ব কর্মকর্তাও তানভীরের ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টার কথা শুনেছেন বলে জানান।
তানভীর মাহমুদ সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ব্যাংকটির রূপসী বাংলা হোটেল (সাবেক শেরাটন হোটেল) শাখা থেকে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত পাঁচ মাস তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আবার কে মামলা করবে, এ নিয়েও সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে। ফৌজদারি মামলা না করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করেছেন তিনি। একাধিক মন্ত্রী ও উপদেষ্টার বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
গত ২৪ মে হলমার্ক গ্রুপের কারসাজি নিয়ে প্রথম আলোতে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে গণমাধ্যমে আলোচিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানভীরকে তলব করে। গত ২ সেপ্টেম্বর একটি নম্বর ছাড়া পাজেরো গাড়িতে দুদক কার্যালয়ে হাজির হন তানভীর। এরপর ২ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনে অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় উপকমিটির ডাকে হাজির হয়ে ঋণ-প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। ৪ অক্টোবর তানভীর ও তাঁর স্ত্রী ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
শনিবারের অভিযান: শনিবার গভীর রাতের অভিযান প্রসঙ্গে র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল প্রথম আলোকে বলেন, মূলত দুদককে সাহায্য করতে র্যা বের গোয়েন্দা শাখা ও র্যা ব-৪-এর একটি যৌথ দল এ অভিযান চালায়। অভিযানে দুদকের একজন উপপরিচালকও ছিলেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাহায্য নিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযানটি চালানো হয়। সাভারের তেঁতুলঝড়ায় একটি বিশাল এলাকাব্যাপী হলমার্কের স্থাপনাগুলোর অবস্থান। এখানে ঢোকার মুখেই হলমার্কের নিজস্ব তল্লাশি চৌকি ও টহল বাহিনী রয়েছে। ‘হলমার্ক পেট্রল’ লেখা পিকআপ নিয়ে পুরো এলাকায় টহল দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযান দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে নিজস্ব টহল বাহিনীর সহায়তায় পালিয়ে যান তানভীর।
শনিবারের অভিযান দলে নেতৃত্ব দেন র্যা বের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক জিয়াউল আহসান। তিনি বলেন, র্যা বের দলটি ভেতরে ঢুকে যে ভবনে তানভীর মাহমুদ ছিলেন বলে তথ্য রয়েছে, সেখানে তল্লাশি চালায়। ভবনের প্রবেশদ্বার পুরু ইস্পাত-কাঠ দিয়ে তৈরি। প্রায় ১০ মিনিট কথা বলে, অনুরোধ করার পরও ভেতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। এরপর র্যা ব সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিন তরুণীকে দেখতে পান। তাঁরা জানান, তানভীর পালিয়ে গেছেন।
জিয়াউল বলেন, তানভীর তাঁর কর্মীদের বলে রেখেছিলেন কোনো বাহিনী তাঁকে ধরতে এলে তাঁরা যেন মাইকে ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার দিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে যান। এ কারণে র্যা বকে খুব সাবধানে অভিযান চালিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।
র্যা ব কর্মকর্তারা জানান, গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁরা নিশ্চিত হন মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ৮ নম্বর লেনের (ইনডোর স্টেডিয়ামের পেছনে) কোনো একটি বাড়িতে তানভীর রয়েছেন। এরপর তাঁরা ৮ নম্বর লেনের কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন। ১২ নম্বর বাড়িতেও তখন তল্লাশি হয়। কোথাও না পেয়ে কিছুক্ষণ পর আবারও ১২ নম্বর বাড়িতে তল্লাশি চালায় র্যা ব। এ সময় ওই বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ ছিল। র্যা ব সদস্যরা পঞ্চম তলায় বাড়ির মালিকের শ্যালিকার কাছে ওই ফ্ল্যাটের চাবি চান। তিনি প্রথমে দিতে অস্বীকার করলেও পরে দিতে বাধ্য হন। চাবি দিয়ে চতুর্থ তলার ওই ফ্ল্যাটের তালা খুলে ভেতরে তানভীর ও তুষারকে পাওয়া যায়। ছোট্ট ওই ফ্ল্যাটে তানভীর সাদা হাফশার্ট আর তুষার সাদা ফুলশার্ট পরে বসে ছিলেন। তানভীরকে কিছুটা ক্লান্ত দেখালেও তুষার ছিলেন স্বাভাবিক। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের গণমাধ্যমের সামনে আনা হলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক হায়দার আলী প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িটির মালিক প্রবাসী শামসুদ্দীন তোহা। চতুর্থ তলার ওই ফ্ল্যাটে থাকেন মালিকের শ্যালক পাভেল আর পঞ্চম তলায় থাকেন পাভেলের বড় বোন। পাভেল মিরপুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় বর্তমানে বোনের বাড়িতে রয়েছেন। ওই বাড়িতে তানভীর ও তুষার কীভাবে এলেন, তা বলতে পারেননি হায়দার আলী। তবে তাঁর ধারণা, রোববার বেলা আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে তানভীর ও তুষার এসেছেন।
পাভেলকে খুঁজে পায়নি র্যা ব। হায়দার আলী জানান, বিকেলে পাভেল বাসায় ফিরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বেরিয়ে গেছেন।
র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, তানভীর দাবি করেছেন শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর এক শ্রমিক তাঁকে ওই বাড়িতে নিয়ে আসেন। তবে র্যা বের ধারণা, র্যা বের ধাওয়া খেয়েই তিনি এ বাড়িতে উঠেছেন। তানভীরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি অবৈধ।
গ্রেপ্তারের পর তানভীরকে মিরপুরের পাইকপাড়ায় র্যা ব-৪-এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত একটার দিকে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। ওই মামলা করে তানভীরকে পল্লবী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র্যা ব-৪-এর সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর আহমদ।
র্যা ব কর্মকর্তারা জানান, ফোনে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তানভীর। তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন, এমন গুজবও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁর কারখানার কর্মীরা বলে বেড়াচ্ছেন, সরকারের সব মহলে টাকা দিয়ে ‘ম্যানেজ’ করা হয়েছে।
কয়েকজন র্যা ব কর্মকর্তাও তানভীরের ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টার কথা শুনেছেন বলে জানান।
তানভীর মাহমুদ সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ব্যাংকটির রূপসী বাংলা হোটেল (সাবেক শেরাটন হোটেল) শাখা থেকে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত পাঁচ মাস তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আবার কে মামলা করবে, এ নিয়েও সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে। ফৌজদারি মামলা না করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করেছেন তিনি। একাধিক মন্ত্রী ও উপদেষ্টার বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
গত ২৪ মে হলমার্ক গ্রুপের কারসাজি নিয়ে প্রথম আলোতে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে গণমাধ্যমে আলোচিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানভীরকে তলব করে। গত ২ সেপ্টেম্বর একটি নম্বর ছাড়া পাজেরো গাড়িতে দুদক কার্যালয়ে হাজির হন তানভীর। এরপর ২ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনে অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় উপকমিটির ডাকে হাজির হয়ে ঋণ-প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। ৪ অক্টোবর তানভীর ও তাঁর স্ত্রী ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
শনিবারের অভিযান: শনিবার গভীর রাতের অভিযান প্রসঙ্গে র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল প্রথম আলোকে বলেন, মূলত দুদককে সাহায্য করতে র্যা বের গোয়েন্দা শাখা ও র্যা ব-৪-এর একটি যৌথ দল এ অভিযান চালায়। অভিযানে দুদকের একজন উপপরিচালকও ছিলেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাহায্য নিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযানটি চালানো হয়। সাভারের তেঁতুলঝড়ায় একটি বিশাল এলাকাব্যাপী হলমার্কের স্থাপনাগুলোর অবস্থান। এখানে ঢোকার মুখেই হলমার্কের নিজস্ব তল্লাশি চৌকি ও টহল বাহিনী রয়েছে। ‘হলমার্ক পেট্রল’ লেখা পিকআপ নিয়ে পুরো এলাকায় টহল দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযান দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে নিজস্ব টহল বাহিনীর সহায়তায় পালিয়ে যান তানভীর।
শনিবারের অভিযান দলে নেতৃত্ব দেন র্যা বের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক জিয়াউল আহসান। তিনি বলেন, র্যা বের দলটি ভেতরে ঢুকে যে ভবনে তানভীর মাহমুদ ছিলেন বলে তথ্য রয়েছে, সেখানে তল্লাশি চালায়। ভবনের প্রবেশদ্বার পুরু ইস্পাত-কাঠ দিয়ে তৈরি। প্রায় ১০ মিনিট কথা বলে, অনুরোধ করার পরও ভেতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। এরপর র্যা ব সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিন তরুণীকে দেখতে পান। তাঁরা জানান, তানভীর পালিয়ে গেছেন।
জিয়াউল বলেন, তানভীর তাঁর কর্মীদের বলে রেখেছিলেন কোনো বাহিনী তাঁকে ধরতে এলে তাঁরা যেন মাইকে ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার দিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে যান। এ কারণে র্যা বকে খুব সাবধানে অভিযান চালিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।
No comments