দুদককে ধরা হবেঃ খালেদা
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)ধরা হবে বলে ঘোষণা দিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জের নিউফিল্ডে ১৮ দল আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা শুরুর পরপরই তিনি এ ঘোষণা দেন।
দুদককে হুঁশিয়ার করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, “দুদক বিরোধী দলকে নানাভাবে হয়রানি করছে। কিন্তু ক্ষমতাবান মন্ত্রী-এমপিদের ধরছে না। আর কিছু দিন পর বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তখন দুদককে ধরা হবে। কাউকেই ছাড়া হবে না।”
বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে শুরু করা বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, “কানাডা থেকে জামাইবাবুকে (শেখ হাসিনার জামাই) বের করে দিয়েছে। তার দুর্নীতিবাজ আত্মীয়-স্বজনের বিচার না করায় বিশ্বব্যাংক লোন দিচ্ছে না।”
“মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় তাদের ধরা হয় না” বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয় না। সদ্য মন্ত্রী হওয়া বাম নেতার ছেলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।”
“হলমার্ক থেকে কতো টাকা গেছে সরকার ও সোনালী ব্যাংকের তা জানার কথা” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে ধরা হয়নি। এরা হলো কুমির-হাঙর, এদের ধরা কঠিন।”
“এ সরকার কি পদ্মাসেতু করতে পেরেছে?” প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “এর আগেই দুর্নীতি করেছে। পদ্মাসেতু দুর্নীতিতে সরকারের সবাই জড়িত। পদ্মাসেতু হচ্ছে না, দেশের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। হবিগঞ্জের সব উন্নতি বিএনপির সময় হয়েছে। রাস্তা-ঘাট সব কিছু। এই সরকারের আমলে কিছু হবে না। হয়নি। তাদের ভোট দেবেন কি না?”
তিনি বলেন, “আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। আমাদের ভোট দিলে দেশের উন্নতি দেখবেন।”
খালেদা জিয়া বলেন, “যতো বড় ব্রিজ দেখবেন, আমাদের করা। যমুনা ব্রিজ সম্পূর্ণ বিএনপির করা। মেঘনা ব্রিজ আমাদের করা। যমুনা ব্রিজ আমরা করতে গেছি, আ.লীগ হরতাল দিলো। কাজে যোগদান না করে তারা হরতাল দেয়।”
তিনি বলেন, “আ.লীগ দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করেনি। তারা করেছে শুধু দুর্নীতি।
খালেদা জিয়া বলেন, “বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কিছুদিন আগে দিনাজপুর গিয়েছিলাম। সেখানে কৃষক ধান ফলায়, কিন্তু দাম পায় না। সার পায় না। সরকারের মূলনীতির জন্য শিল্প কল কারখানা একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষের জন্য বিদ্যুতের কথা বলে তারা দিতে পারেনি। উল্টো দাম বাড়িয়ে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। মানুষ এই সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”
“এ সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে” অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া বলেন, “ইলিয়াসের কিছু হলে সরকার রক্ষা পাবে না। এর শাস্তি আপনাদের পেতে হবে।”
“প্রতিদিন মানুষ আতংকে থাকে” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বেডরুম পাহারা দিতে পারবেন না বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তালা লাগাতে বলেন। এই দুর্নীতিবাজ সরকার মানুষ হত্যা করে।”
খালেদা জিয়া বলেন, “রামুর ঘটনায় সরকার জড়িত। কিন্তু তারা বিরোধীদলকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। যে কারণে আ.লীগ নেতারা ঘটনাস্থলে সাহায্যের জন্য গেলে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।”
“বিএনপি সন্ত্রাস-অরাজকতায় বিশ্বাস করে না” বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ মু. ফয়সলের সভাপতিত্বে মঞ্চে আরো ছিলেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মসলিশ সভাপতি মওলানা মুহাম্মদ ইসাহাক, কল্যাণ পার্টি সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মোবিন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, জামায়াতের মজিবুর রহমান, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন প্রমুখ।
“মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় তাদের ধরা হয় না” বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয় না। সদ্য মন্ত্রী হওয়া বাম নেতার ছেলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।”
“হলমার্ক থেকে কতো টাকা গেছে সরকার ও সোনালী ব্যাংকের তা জানার কথা” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে ধরা হয়নি। এরা হলো কুমির-হাঙর, এদের ধরা কঠিন।”
“এ সরকার কি পদ্মাসেতু করতে পেরেছে?” প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “এর আগেই দুর্নীতি করেছে। পদ্মাসেতু দুর্নীতিতে সরকারের সবাই জড়িত। পদ্মাসেতু হচ্ছে না, দেশের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। হবিগঞ্জের সব উন্নতি বিএনপির সময় হয়েছে। রাস্তা-ঘাট সব কিছু। এই সরকারের আমলে কিছু হবে না। হয়নি। তাদের ভোট দেবেন কি না?”
তিনি বলেন, “আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। আমাদের ভোট দিলে দেশের উন্নতি দেখবেন।”
খালেদা জিয়া বলেন, “যতো বড় ব্রিজ দেখবেন, আমাদের করা। যমুনা ব্রিজ সম্পূর্ণ বিএনপির করা। মেঘনা ব্রিজ আমাদের করা। যমুনা ব্রিজ আমরা করতে গেছি, আ.লীগ হরতাল দিলো। কাজে যোগদান না করে তারা হরতাল দেয়।”
তিনি বলেন, “আ.লীগ দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করেনি। তারা করেছে শুধু দুর্নীতি।
খালেদা জিয়া বলেন, “বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কিছুদিন আগে দিনাজপুর গিয়েছিলাম। সেখানে কৃষক ধান ফলায়, কিন্তু দাম পায় না। সার পায় না। সরকারের মূলনীতির জন্য শিল্প কল কারখানা একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষের জন্য বিদ্যুতের কথা বলে তারা দিতে পারেনি। উল্টো দাম বাড়িয়ে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। মানুষ এই সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”
“এ সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে” অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া বলেন, “ইলিয়াসের কিছু হলে সরকার রক্ষা পাবে না। এর শাস্তি আপনাদের পেতে হবে।”
“প্রতিদিন মানুষ আতংকে থাকে” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বেডরুম পাহারা দিতে পারবেন না বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তালা লাগাতে বলেন। এই দুর্নীতিবাজ সরকার মানুষ হত্যা করে।”
খালেদা জিয়া বলেন, “রামুর ঘটনায় সরকার জড়িত। কিন্তু তারা বিরোধীদলকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। যে কারণে আ.লীগ নেতারা ঘটনাস্থলে সাহায্যের জন্য গেলে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।”
“বিএনপি সন্ত্রাস-অরাজকতায় বিশ্বাস করে না” বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ মু. ফয়সলের সভাপতিত্বে মঞ্চে আরো ছিলেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মসলিশ সভাপতি মওলানা মুহাম্মদ ইসাহাক, কল্যাণ পার্টি সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মোবিন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, জামায়াতের মজিবুর রহমান, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন প্রমুখ।
মান্নান মারুফ, সাজেদা সুইটি ও জিয়াউদ্দিন দুলাল
No comments