নিরাপত্তা চান সুরঞ্জিতের এপিএসের ড্রাইভার
বাংলাদেশের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে কথিত ঘুষের টাকাসহ ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন যে গাড়িচালক, বহু মাস আত্মগোপনে থাকার পর এই প্রথম তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারীর গাড়িচালক আজম খান গত এপ্রিল মাসে বস্তা ভর্তি ৭০ লক্ষ টাকা এবং কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে বহনকারী একটি গাড়ি ঢাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।
তার অভিযোগ ছিল, গাড়ির আরোহীরা রেলওয়েতে লোক নিয়োগের জন্য এই অর্থ ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন এবং ঘুষের অর্থ রেলমন্ত্রীর বাড়িতে নেয়া হচ্ছিল।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি শুক্রবার আবার এসব অভিযোগ সবিস্তারে জানিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে আজম খান আবার দাবি করেন, গত ৯ এপ্রিল বিজিবি কার্যালয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ার আগে তিনি টাকা নিয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসার উদ্দেশ্যেই যাচ্ছিলেন।
রেলওয়ের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর থেকে আজম খানের নিখোঁজ থাকা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।
রেলওয়ের আলোচিত সেই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করেন সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
৯ এপ্রিল রাতের সেই ঘটনার মূল একটি চরিত্র ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী ওমর ফারুকের গাড়িচালক আজম খান, যিনি বিজিবি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাবার সময় টাকাসহ গাড়িটি নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন। তবে বেশ আশ্চর্যজনকভাবেই সেই রাতের থেকে আজম খানের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ছয় মাস পর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি বলছে, তারা আজম খানের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং এ নিয়ে দু পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনও প্রচার করছে তারা, যার প্রথমটি ইতোমধ্যেই প্রচারিত হয়েছে।
প্রতিবেদক বায়েজিদ আহমেদ বলছিলেন, আজম খান তাকে বলেছেন যে, ঘটনাটি ঘটার পর জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
“আজম আমাকে বলেছেন যে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং তার সাবেক এপিএসের লোকজন বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, বাবা-মা এবং ভাইকে হুমকি দিত যে কেন সে এই কাজ করেছে এবং সে কেন সমঝোতায় আসছে না। এই ভয়েই সে লুকিয়ে থেকেছে বিভিন্ন জায়গায়। এখন সে প্রধানমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশন এবং দুদকের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে।" বলেন বায়েজিদ আহমেদ।
নিরাপত্তা পেলে আজম খান দুদক এবং গণমাধ্যমের কাছে সব তথ্য দিতে চান বলে বায়েজিদ আহমেদকে জানিয়েছেন।
তবে বাংলাদেশে এ ধরনের দুর্নীতির ঘটনা ফাঁসের পর কোনো ব্যক্তির নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
আজম খান নিখোঁজ থাকার কারণে, এ ঘটনার পর নানা সময়ে অভিযুক্তদের সবার বক্তব্য জানা গেলেও, এরপর গাড়িচালকের বক্তব্য আর জানা যায়নি। তবে আরটিভির সাক্ষাৎকারে আজম খান দাবি করছেন, তিনি সেদিন গাড়িটি নিয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসার দিকেই যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, “টাকা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসার দিকেই যাচ্ছিল। এর আগেও কয়েকবার টাকা গেছে।”
বিবেকের তাড়নায়ই এই কাজটি তিনি করেছেন বলে দাবি করেন গাড়িচালক আজম খান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতরা তাকে নানাসময় ভয় দেখিয়ে এসেছে।
“ঘটনা করেছে মন্ত্রী, তার এপিএস, আর সিন্ডিকেট আছে, রেলের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আছে। আমাকে এখন পলিটিক্যালভাবে এমনভাবে ভয় দেখাতে চায় যে সরকার এটার সাথে জড়িত আছে। এমনভাবে ভয় দেখায় যাতে আমি সেটা প্রকাশ না করি।” বলেছেন আজম খান।
আরটিভি প্রতিবেদক বায়েজিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনার পর দুদকের পক্ষ থেকে আজম খানকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হলেও, তার পরিবারের সাথে দুদক বা পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি বলে দাবি করেন আজম খান।
সাক্ষাৎকারে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ রেলের আরো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বেশ বড় অংকের অর্থের দুর্নীতির অভিযোগ আনেন এই গাড়িচালক।
তবে এবিষয়ে মিঃ সেনগুপ্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিবিসিকে বলেন, তিনি প্রতিবেদনটি দেখেননি এবং এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্যও তিনি এখন করবেন না। সূত্র: বিবিসি।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি শুক্রবার আবার এসব অভিযোগ সবিস্তারে জানিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে আজম খান আবার দাবি করেন, গত ৯ এপ্রিল বিজিবি কার্যালয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ার আগে তিনি টাকা নিয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসার উদ্দেশ্যেই যাচ্ছিলেন।
রেলওয়ের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর থেকে আজম খানের নিখোঁজ থাকা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।
রেলওয়ের আলোচিত সেই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করেন সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
৯ এপ্রিল রাতের সেই ঘটনার মূল একটি চরিত্র ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী ওমর ফারুকের গাড়িচালক আজম খান, যিনি বিজিবি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাবার সময় টাকাসহ গাড়িটি নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন। তবে বেশ আশ্চর্যজনকভাবেই সেই রাতের থেকে আজম খানের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ছয় মাস পর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি বলছে, তারা আজম খানের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং এ নিয়ে দু পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনও প্রচার করছে তারা, যার প্রথমটি ইতোমধ্যেই প্রচারিত হয়েছে।
প্রতিবেদক বায়েজিদ আহমেদ বলছিলেন, আজম খান তাকে বলেছেন যে, ঘটনাটি ঘটার পর জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
“আজম আমাকে বলেছেন যে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং তার সাবেক এপিএসের লোকজন বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, বাবা-মা এবং ভাইকে হুমকি দিত যে কেন সে এই কাজ করেছে এবং সে কেন সমঝোতায় আসছে না। এই ভয়েই সে লুকিয়ে থেকেছে বিভিন্ন জায়গায়। এখন সে প্রধানমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশন এবং দুদকের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে।" বলেন বায়েজিদ আহমেদ।
নিরাপত্তা পেলে আজম খান দুদক এবং গণমাধ্যমের কাছে সব তথ্য দিতে চান বলে বায়েজিদ আহমেদকে জানিয়েছেন।
তবে বাংলাদেশে এ ধরনের দুর্নীতির ঘটনা ফাঁসের পর কোনো ব্যক্তির নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
আজম খান নিখোঁজ থাকার কারণে, এ ঘটনার পর নানা সময়ে অভিযুক্তদের সবার বক্তব্য জানা গেলেও, এরপর গাড়িচালকের বক্তব্য আর জানা যায়নি। তবে আরটিভির সাক্ষাৎকারে আজম খান দাবি করছেন, তিনি সেদিন গাড়িটি নিয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসার দিকেই যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, “টাকা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসার দিকেই যাচ্ছিল। এর আগেও কয়েকবার টাকা গেছে।”
বিবেকের তাড়নায়ই এই কাজটি তিনি করেছেন বলে দাবি করেন গাড়িচালক আজম খান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতরা তাকে নানাসময় ভয় দেখিয়ে এসেছে।
“ঘটনা করেছে মন্ত্রী, তার এপিএস, আর সিন্ডিকেট আছে, রেলের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আছে। আমাকে এখন পলিটিক্যালভাবে এমনভাবে ভয় দেখাতে চায় যে সরকার এটার সাথে জড়িত আছে। এমনভাবে ভয় দেখায় যাতে আমি সেটা প্রকাশ না করি।” বলেছেন আজম খান।
আরটিভি প্রতিবেদক বায়েজিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনার পর দুদকের পক্ষ থেকে আজম খানকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হলেও, তার পরিবারের সাথে দুদক বা পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি বলে দাবি করেন আজম খান।
সাক্ষাৎকারে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ রেলের আরো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বেশ বড় অংকের অর্থের দুর্নীতির অভিযোগ আনেন এই গাড়িচালক।
তবে এবিষয়ে মিঃ সেনগুপ্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিবিসিকে বলেন, তিনি প্রতিবেদনটি দেখেননি এবং এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্যও তিনি এখন করবেন না। সূত্র: বিবিসি।
No comments