আজমকে কস্মিনকালে দেখিনি, চিনিও না
সাবেক রেলমন্ত্রী ও বর্তমানে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘আমি নিষ্পাপ, নিষ্কলঙ্ক। ছয় মাস আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে আমার বিরুদ্ধে আজগুবি গল্প হাজির করা হয়েছিল। আজ সেই ষড়যন্ত্রকারীরা আবার সরব হয়েছে।
কোথাকার কোন আজম, আমি তাঁকে কস্মিনকালে কখনো দেখিনি, চিনিও না। তাঁকে দিয়ে আবারও চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ছয় মাস আগের সেই আজগুবি গল্প সব তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলি, সরকারি-বেসরকারি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো তদন্ত হোক, আমি বারবার নিষ্পাপ, নিষ্কলঙ্ক হয়ে মানুষের কাছে ফিরে আসব।’
রেলের বহুল আলোচিত অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুকের গাড়ির চালক আজম খান বলেছেন, ‘টাকা তো সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাড়িতে যাচ্ছিল। ওদিকে যাওয়ার পথেই আমি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলি। এর আগেও কয়েকবার টাকা গেছে।’ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এসব কথা বলেন।
এরই প্রতিক্রিয়ায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, ‘দুই দিন ধরে মিডিয়া আমার পিছনে পিছনে ঘুরছে। আমি জানি, তারা আমার কাছ থেকে কী জানতে চায়। আমি ১০ তারিখ ঢাকায় গিয়ে সব পরিষ্কার করব।’ তিনি বলেন, ‘মিডিয়া তখন নানাভাবে আমার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরভাবে লিখেছে এবং প্রচার করেছে। আমরা গন্ডারের চামড়া নিয়ে রাজনীতি করি; সবকিছুই সইতে হয় আমাদের।’
গত ৯ এপ্রিল রাতে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ একটি গাড়ি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঝিগাতলা গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। গাড়িটি ওমর ফারুকের আর সেটি চালাচ্ছিলেন আজম খান। গাড়ির যাত্রী ছিলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধা, তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তা রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক ও রেলমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার। তাঁরা কেউই এখন স্বপদে নেই।
আজম খান দাবি করেন, রেলের নিয়োগের ৭৪ লাখ টাকা মন্ত্রীর বাড়িতেই নেওয়া হচ্ছিল। টাকা বস্তায় ভরে চালক তা নিজেই গাড়িতে তোলেন। ওমর ফারুক রেলের নিয়োগ-বাণিজ্য সিন্ডিকেটের মূল হোতা বলেও দাবি করেন আজম খান।
No comments