অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই রামুর ঘটনা: প্রধানমন্ত্রী
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতেই রামুর ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, “বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি বিনষ্ট এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতেই রামুর ঘটনা ঘটানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশও এই সহিংসতার একটি কারণ।”
শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধামন্ত্রী বলেন, “দেশের বাইরে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুনাম গড়ে উঠেছে। বিগত সরকারের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছিল, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল।”
তিনি বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। জঙ্গিবাদের দুর্নাম ঘুঁচেছে। এই সম্প্রীতির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতেই এই ধরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’’
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা হবে বলেও এ সময় বৌদ্ধ সমাজের নেতৃবৃন্দদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হামলাকারীদের তালিকা করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ ধরণের ঘটনা আরো ঘটতে পারে। তারা যে খেলা শুরু করেছে তা তারা অনেকভাবেই খেলবে। সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।”
শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর নেতৃত্বে বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব অশোক বড়ুয়া, অধ্যাপক প্রণব কুমার বড়ুয়া, পিআর বড়ুয়া প্রমুখ।
রামুসহ কয়েকটি স্থানে বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ বসতিতে হামলার পর বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত করা হয়। তদন্তে পাওয়া তথ্য প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন তারা।
তাদের তথ্য অনুযায়ী রোহিঙ্গা ইস্যুকে উসকে দেয়া, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যই হামলা চালানো হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির সংস্কার ও ক্ষতিস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আগামী প্রবারণা পূর্ণিমার আগে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো উপাসনার জন্য প্রস্তু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পুরো এলাকায় জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, আফগানিস্তান থেকে জঙ্গিরা এসে ক্যাম্প করে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতো। তখন যৌথ অভিযান চালিয়ে এদেরকে উৎখাত করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে এই অভিযানের নেতৃত্বদানকারী পুলিশ কর্মকর্তা নারায়ণ পালিতকে চাকরিচ্যুত, গ্রেফতার ও তার ওপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতনে নারায়ণ পালিত মারা যান। বিএনপি-জামায়াতের সরকারের সময় জঙ্গিরা আবার ঘঁটি গাড়ে। এখন তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।”
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমরা কোনো অমানবিক আচরণ করিনি। তারা আসার পর আশ্রয় দিয়েছি, খাদ্য দিয়েছি। যারা রোহিঙ্গাদের পক্ষে নানা কথা বলছে, তাদের বলেছিলাম বিষয়টি মিয়ানমারকে বলতে। রোহিঙ্গারা অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা এখন মৌলবাদী চক্রের সঙ্গে ভিড়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।”
এদিকে বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “১/১১ এর পরে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিলো তারা দেশে অমানিশার অন্ধকার নিয়ে আসে। রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ছাত্র সবার ওপর তারা নির্যাতন চালায়। আমরা সেই অমানিশার সরকার চাই না। কিন্তু কারো কারো খায়েশ আছে। কারণ ওই ধরণের সরকার এলে তারা কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন। যাদের এই ধরণের খায়েশ আছে, তাদের বলবো, রাজনীতিতে আসতে, জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে।”
হাসিনা বলেন, “দেশে এই সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোই সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। আগামীতেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিছু লোকের খায়েশ পূরণ করতে গিয়ে দেশের গণতন্ত্র যাতে বিনষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সাম্প্রদায়িক সংঘাত চাই না। আমরা অসাম্প্রদায়িক নীতিতে বিশ্বাস করি। সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে।”
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দল বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। এটা তাদের খারাপ লাগছে। তাদের খারাপ লাগবে এটা খুবই স্বাভাবিক। এই বিচার বানচাল করতে তারা নানা ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী সকলের সহযোগীতা চেয়ে বলেন, “আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য আমরা সকলের সহযোগিতা চাই।”
ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধামন্ত্রী বলেন, “দেশের বাইরে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুনাম গড়ে উঠেছে। বিগত সরকারের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছিল, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল।”
তিনি বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। জঙ্গিবাদের দুর্নাম ঘুঁচেছে। এই সম্প্রীতির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতেই এই ধরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’’
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা হবে বলেও এ সময় বৌদ্ধ সমাজের নেতৃবৃন্দদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হামলাকারীদের তালিকা করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ ধরণের ঘটনা আরো ঘটতে পারে। তারা যে খেলা শুরু করেছে তা তারা অনেকভাবেই খেলবে। সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।”
শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর নেতৃত্বে বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব অশোক বড়ুয়া, অধ্যাপক প্রণব কুমার বড়ুয়া, পিআর বড়ুয়া প্রমুখ।
রামুসহ কয়েকটি স্থানে বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ বসতিতে হামলার পর বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত করা হয়। তদন্তে পাওয়া তথ্য প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন তারা।
তাদের তথ্য অনুযায়ী রোহিঙ্গা ইস্যুকে উসকে দেয়া, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যই হামলা চালানো হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির সংস্কার ও ক্ষতিস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আগামী প্রবারণা পূর্ণিমার আগে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো উপাসনার জন্য প্রস্তু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পুরো এলাকায় জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, আফগানিস্তান থেকে জঙ্গিরা এসে ক্যাম্প করে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতো। তখন যৌথ অভিযান চালিয়ে এদেরকে উৎখাত করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে এই অভিযানের নেতৃত্বদানকারী পুলিশ কর্মকর্তা নারায়ণ পালিতকে চাকরিচ্যুত, গ্রেফতার ও তার ওপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতনে নারায়ণ পালিত মারা যান। বিএনপি-জামায়াতের সরকারের সময় জঙ্গিরা আবার ঘঁটি গাড়ে। এখন তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।”
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমরা কোনো অমানবিক আচরণ করিনি। তারা আসার পর আশ্রয় দিয়েছি, খাদ্য দিয়েছি। যারা রোহিঙ্গাদের পক্ষে নানা কথা বলছে, তাদের বলেছিলাম বিষয়টি মিয়ানমারকে বলতে। রোহিঙ্গারা অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা এখন মৌলবাদী চক্রের সঙ্গে ভিড়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।”
এদিকে বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “১/১১ এর পরে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিলো তারা দেশে অমানিশার অন্ধকার নিয়ে আসে। রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ছাত্র সবার ওপর তারা নির্যাতন চালায়। আমরা সেই অমানিশার সরকার চাই না। কিন্তু কারো কারো খায়েশ আছে। কারণ ওই ধরণের সরকার এলে তারা কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন। যাদের এই ধরণের খায়েশ আছে, তাদের বলবো, রাজনীতিতে আসতে, জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে।”
হাসিনা বলেন, “দেশে এই সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোই সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। আগামীতেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিছু লোকের খায়েশ পূরণ করতে গিয়ে দেশের গণতন্ত্র যাতে বিনষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সাম্প্রদায়িক সংঘাত চাই না। আমরা অসাম্প্রদায়িক নীতিতে বিশ্বাস করি। সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে।”
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দল বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। এটা তাদের খারাপ লাগছে। তাদের খারাপ লাগবে এটা খুবই স্বাভাবিক। এই বিচার বানচাল করতে তারা নানা ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী সকলের সহযোগীতা চেয়ে বলেন, “আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য আমরা সকলের সহযোগিতা চাই।”
No comments