গণহত্যাসহ ১৭ অভিযোগ আলীমের বিরুদ্ধে by গোলাম মর্তুজা
বিএনপির নেতা আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জয়পুরহাটে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৭টি অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে তিন হাজার ৯০৯ পৃষ্ঠার ১৫ খণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা এই তদন্ত প্রতিবেদন আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের কাছে জমা দেওয়া হবে। তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান গতকাল রোববার এসব কথা জানান।
তদন্ত সংস্থা জানায়, প্রতিবেদনে আলীমের বিরুদ্ধে তৎকালীন জয়পুরহাট মহকুমার (বর্তমানে জেলা) বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৭টি ঘটনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ, শারীরিক নির্যাতন, বাস্তুভিটা ছেড়ে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য করা ও অপহরণের অভিযোগও রয়েছে।
আবদুল হান্নান খান প্রথম আলোকে বলেন, আলীমের অপরাধগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর চারটি ধারায় পড়ে। এগুলো হলো: মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ (এ), গণহত্যা (সি), এই ধরনের অপরাধে সহায়তা করা (জি) এবং অপরাধ বন্ধ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা না করার অপরাধ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জেড এম আলতাফুর রহমান বলেন, আলীমের বিরুদ্ধে মামলার আলামত হিসেবে বেশকিছু পত্রিকার সংবাদ ও বই-পুস্তক উপস্থাপন করা হচ্ছে। সাক্ষী রয়েছেন ৫৪ জন। গত বছরের ৬ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। জয়পুরহাটে গিয়ে তদন্ত দল কয়েক দফায় তথ্য সংগ্রহ করে। ঢাকার বনানীতে ছেলের বাসায় আলীমকে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
গত বছরের ২৩ মার্চ আলীমকে গ্রেপ্তারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে তদন্ত সংস্থা। ২৭ মার্চ তাঁকে জয়পুরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পরদিন ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়। ২৯ ও ৩০ মার্চ তিনি কারাগারে ছিলেন। ৩১ মার্চ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
৬৮৪ জনকে হত্যা ও গণহত্যা: তদন্ত সংস্থার সূত্র জানায়, আলীমের বিরুদ্ধে ১৭টি অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: ডা. কাশেমসহ চারটি জায়গা থেকে ৪৫ জনকে ধরে এনে নির্যাতন ও হত্যা, জয়পুরহাট চিনিকলে ২৩ জনকে হত্যা, পাঁচবিবির নওদা গ্রাম থেকে ছয়জনকে ধরে নির্যাতন ও হত্যার পর কালি সাহার পুকুরে গণকবর দেওয়া, পেঁচুলিয়া গ্রামের ছয়জনকে ধরে এনে নির্যাতন ও হত্যা, নূরপুর গ্রাম থেকে ১০ জনকে ধরে এনে নির্যাতন ও নয়জনকে হত্যা, কড়ইকাদিপুর গ্রাম ও আশপাশের হিন্দুপাড়ায় অগ্নিসংযোগ ও ৩৭০ জনকে গণহত্যা, পাহুনন্দা গ্রামের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ২৮ জন মুসল্লিকে অপহরণ করে নির্যাতন ও পরে ২২ জনকে গণহত্যা করে গণকবর দেওয়া, কোকতারা পুকুরে ৮৪ জনকে গণহত্যা, জয়পুরহাট কলেজের সামনের পুকুরে দুটি ট্রাকে ১১ জনকে ধরে নির্যাতনের পর গণহত্যা, মঙ্গলবাড়ী এলাকা থেকে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে নির্যাতনের পর গণহত্যা ও গণকবর দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা খোকন পাইকারসহ ১৫ জনকে ধরে এনে নির্যাতনের পর গণহত্যা ও গণকবর দেওয়া এবং খাস পাহুনন্দা ও আশপাশের গ্রাম থেকে ৬৭ জনকে ধরে এনে নির্যাতনের পর গণহত্যা।
এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে আলীমের বিরুদ্ধে রামচন্দ্রপুর গ্রামে তিনজনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
আবদুল হান্নান খান প্রথম আলোকে বলেন, আলীমের অপরাধগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর চারটি ধারায় পড়ে। এগুলো হলো: মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ (এ), গণহত্যা (সি), এই ধরনের অপরাধে সহায়তা করা (জি) এবং অপরাধ বন্ধ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা না করার অপরাধ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জেড এম আলতাফুর রহমান বলেন, আলীমের বিরুদ্ধে মামলার আলামত হিসেবে বেশকিছু পত্রিকার সংবাদ ও বই-পুস্তক উপস্থাপন করা হচ্ছে। সাক্ষী রয়েছেন ৫৪ জন। গত বছরের ৬ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। জয়পুরহাটে গিয়ে তদন্ত দল কয়েক দফায় তথ্য সংগ্রহ করে। ঢাকার বনানীতে ছেলের বাসায় আলীমকে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
গত বছরের ২৩ মার্চ আলীমকে গ্রেপ্তারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে তদন্ত সংস্থা। ২৭ মার্চ তাঁকে জয়পুরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পরদিন ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়। ২৯ ও ৩০ মার্চ তিনি কারাগারে ছিলেন। ৩১ মার্চ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
৬৮৪ জনকে হত্যা ও গণহত্যা: তদন্ত সংস্থার সূত্র জানায়, আলীমের বিরুদ্ধে ১৭টি অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: ডা. কাশেমসহ চারটি জায়গা থেকে ৪৫ জনকে ধরে এনে নির্যাতন ও হত্যা, জয়পুরহাট চিনিকলে ২৩ জনকে হত্যা, পাঁচবিবির নওদা গ্রাম থেকে ছয়জনকে ধরে নির্যাতন ও হত্যার পর কালি সাহার পুকুরে গণকবর দেওয়া, পেঁচুলিয়া গ্রামের ছয়জনকে ধরে এনে নির্যাতন ও হত্যা, নূরপুর গ্রাম থেকে ১০ জনকে ধরে এনে নির্যাতন ও নয়জনকে হত্যা, কড়ইকাদিপুর গ্রাম ও আশপাশের হিন্দুপাড়ায় অগ্নিসংযোগ ও ৩৭০ জনকে গণহত্যা, পাহুনন্দা গ্রামের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ২৮ জন মুসল্লিকে অপহরণ করে নির্যাতন ও পরে ২২ জনকে গণহত্যা করে গণকবর দেওয়া, কোকতারা পুকুরে ৮৪ জনকে গণহত্যা, জয়পুরহাট কলেজের সামনের পুকুরে দুটি ট্রাকে ১১ জনকে ধরে নির্যাতনের পর গণহত্যা, মঙ্গলবাড়ী এলাকা থেকে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে নির্যাতনের পর গণহত্যা ও গণকবর দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা খোকন পাইকারসহ ১৫ জনকে ধরে এনে নির্যাতনের পর গণহত্যা ও গণকবর দেওয়া এবং খাস পাহুনন্দা ও আশপাশের গ্রাম থেকে ৬৭ জনকে ধরে এনে নির্যাতনের পর গণহত্যা।
এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে আলীমের বিরুদ্ধে রামচন্দ্রপুর গ্রামে তিনজনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
No comments