জঙ্গি হামলার আশঙ্কা শামীম ওসমানের by দিলীপ কুমার মণ্ডল
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান তাঁর ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, এর আগেও ২০০১ সালে তাঁর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। জঙ্গিদের ছোড়া সেই গ্রেনেডের ৫০-৬০টা স্প্লিন্টার এখনো তাঁর শরীরে রয়ে গেছে। ব্যথায় এখনো তিনি হাঁটতে পারেন না। আবারও সে রকম হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, 'এ হামলার ব্যাপারে আমি ৯৯ ভাগ নিশ্চিত যে একটি চক্র এ ধরনের হামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।' গতকাল নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা এলাকায় নিজ শ্বশুরালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, এক বা একাধিক প্রার্থী একটি সাজানো নাটক মঞ্চায়নের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ নাটক হলো, 'একটি চক্র নারায়ণগঞ্জের বস্তিতে ভোট কেনার জন্য টাকা বিলাতে থাকবে। তাদের পকেটে থাকবে শামীম ওসমানের নির্বাচনী লিফলেট। যারা লিফলেট বিতরণ করবে, তাদের কয়েকজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করবে ওই চক্র। বিনিময়ে আটককৃতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবে চক্রটি।'
সাংবাদিকদের শামীম ওসমান বলেন, 'এ নাটক যে মঞ্চস্থ হবে, সে ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত। একটি গোয়েন্দা সংস্থাও আমাকে এ ধরনের খবর দিয়েছে।'
অন্য দুই প্রধান মেয়র প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, 'এক বা একাধিক প্রার্থীর লোকজন শহরের কোনো এক জায়গায় বসে গোপন মিটিং করেছে। সেখানে কয়েকজন তরুণকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, দরিদ্র ও বস্তি এলাকায় কালো টাকা বিতরণের। যাদের পকেটে থাকবে শামীম ওসমানের দেয়ালঘড়ির প্রতীক-সংবলিত ব্যাজ ও লিফলেট। কালো টাকা বিতরণকালে ওই প্রার্থীর লোকজন ধরবে এবং মিডিয়াকর্মীদের সামনে হাজির করবে। বলবে, শামীম ওসমানের লোকজন কালো টাকা ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করছে। আমাকে হেয় ও তুচ্ছ করার জন্য তাদের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবে।'
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করে শামীম ওসমান বলেন, 'এই জঙ্গি হামলার মাধ্যমে আমি ও আমার নেতা-কর্মীদের জীবনহানির আশঙ্কা করছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নির্বাচনী পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে এটাকে ইস্যু বানিয়ে জাতীয় রাজনীতিকে ঘোলাটে করার পরিকল্পনা করছে।' তিনি বলেন, 'আগামী ৩০ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার শুরু হচ্ছে। ওই দিনই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ কারণেই আমার মধ্যেও আশঙ্কা দৃঢ় হয়েছে। এর সঙ্গে বিএনপিরও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।' এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগও জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন যা ভালো মনে করবে, যেসব পদক্ষেপ নেবে, প্রতিটির সঙ্গেই তিনি একমত হবেন এবং সমর্থন করবেন। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, 'আমি ছাত্ররাজনীতি দিয়ে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম। নতুন ভোটার, বিশেষ করে যাঁরা ছাত্র, তাঁদের আমি বন্ধু মনে করি। আমি নিশ্চিত, তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন।' অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী পরিবেশ এখনো সুন্দর ও সুষুম আছে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ ব্যাপারে মিডিয়াকর্মীদের সহযোগিতা চাই।'
অভিযোগ সম্পর্কে আইভী : এ কে এম শামীম ওসমানের অভিযোগ সম্পর্কে অন্য মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি গরিব মানুষ। আমি এত টাকা পাব কোথায় যে আরেকজনের পক্ষে টাকা ছড়িয়ে নাটক সাজাব। কাজেই এ ধরনের টাকা ছড়ানোর নাটক সাজানোর প্রশ্নই আসে না। কেউ এ ধরনের পরিকল্পনা করে থাকলে সেটা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জানার কথা। উঁনি জানলেন কিভাবে সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। আসলে আমার পক্ষে একটি গণজোয়ার তৈরি হয়েছে, সেই গণজোয়ারে ভীত হয়ে তাঁরা এসব ছড়াচ্ছেন।'
সাংবাদিকদের শামীম ওসমান বলেন, 'এ নাটক যে মঞ্চস্থ হবে, সে ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত। একটি গোয়েন্দা সংস্থাও আমাকে এ ধরনের খবর দিয়েছে।'
অন্য দুই প্রধান মেয়র প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, 'এক বা একাধিক প্রার্থীর লোকজন শহরের কোনো এক জায়গায় বসে গোপন মিটিং করেছে। সেখানে কয়েকজন তরুণকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, দরিদ্র ও বস্তি এলাকায় কালো টাকা বিতরণের। যাদের পকেটে থাকবে শামীম ওসমানের দেয়ালঘড়ির প্রতীক-সংবলিত ব্যাজ ও লিফলেট। কালো টাকা বিতরণকালে ওই প্রার্থীর লোকজন ধরবে এবং মিডিয়াকর্মীদের সামনে হাজির করবে। বলবে, শামীম ওসমানের লোকজন কালো টাকা ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করছে। আমাকে হেয় ও তুচ্ছ করার জন্য তাদের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবে।'
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করে শামীম ওসমান বলেন, 'এই জঙ্গি হামলার মাধ্যমে আমি ও আমার নেতা-কর্মীদের জীবনহানির আশঙ্কা করছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নির্বাচনী পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে এটাকে ইস্যু বানিয়ে জাতীয় রাজনীতিকে ঘোলাটে করার পরিকল্পনা করছে।' তিনি বলেন, 'আগামী ৩০ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার শুরু হচ্ছে। ওই দিনই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ কারণেই আমার মধ্যেও আশঙ্কা দৃঢ় হয়েছে। এর সঙ্গে বিএনপিরও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।' এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগও জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন যা ভালো মনে করবে, যেসব পদক্ষেপ নেবে, প্রতিটির সঙ্গেই তিনি একমত হবেন এবং সমর্থন করবেন। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, 'আমি ছাত্ররাজনীতি দিয়ে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম। নতুন ভোটার, বিশেষ করে যাঁরা ছাত্র, তাঁদের আমি বন্ধু মনে করি। আমি নিশ্চিত, তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন।' অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী পরিবেশ এখনো সুন্দর ও সুষুম আছে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ ব্যাপারে মিডিয়াকর্মীদের সহযোগিতা চাই।'
অভিযোগ সম্পর্কে আইভী : এ কে এম শামীম ওসমানের অভিযোগ সম্পর্কে অন্য মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি গরিব মানুষ। আমি এত টাকা পাব কোথায় যে আরেকজনের পক্ষে টাকা ছড়িয়ে নাটক সাজাব। কাজেই এ ধরনের টাকা ছড়ানোর নাটক সাজানোর প্রশ্নই আসে না। কেউ এ ধরনের পরিকল্পনা করে থাকলে সেটা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জানার কথা। উঁনি জানলেন কিভাবে সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। আসলে আমার পক্ষে একটি গণজোয়ার তৈরি হয়েছে, সেই গণজোয়ারে ভীত হয়ে তাঁরা এসব ছড়াচ্ছেন।'
No comments