সংসদে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভঃ প্রধানমন্ত্রী সংসদে নেই, কোনো মন্ত্রীও নেই
মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ হঠাত্ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা অধিকাংশ মন্ত্রী সংসদে না থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে গোটা সংসদ টেবিল চাপড়ে সমর্থন ও সহমত প্রকাশ করেন। এ সময় সংসদে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও শেয়ারবাজার নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংসদদের তির্যক বাক্যবাণে তুলাধোনা হন।
মাগরিবের নামাজের বিরতির পর প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হয়। এর পরই তোফায়েল আহমেদ পয়েন্ট অব অর্ডারে মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনুপস্থিতি, শেয়ারবাজারে ধস ও লন্ডনে চিকিত্সারত প্রবীণ রাজনীতিক আবদুর রাজ্জাককে সে দেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার দেখতে না যাওয়ায় তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক ঘণ্টার অনির্ধারিত আলোচনায় শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিমও মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি এবং আবদুর রাজ্জাকের প্রতি লন্ডনে নিযুক্ত হাইকমিশনারের অবহেলার সমালোচনা করেন।
এ সময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্বে থাকা প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘অধিবেশনকক্ষে মন্ত্রীদের ফাঁকা চেয়ার ফ্যাল ফ্যাল করে হাসছে।’
বিকেল সোয়া চারটায় সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোরাম-সংকটের কারণে তা ২০ মিনিট দেরিতে বেলা ৪টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয়। এ সময় কেবল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। একটু পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক উপস্থিত হন। সন্ধ্যার পর অর্থমন্ত্রী ছাড়া কেবল খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, ভূমি প্রতিমন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া ও স্পিকার আবদুল হামিদ সৌদি আরব রয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী নিজ নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুরের নড়িয়া গেছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল মতিন খসরু অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও সংসদে ছিলেন না।
আলোচনার সূত্রপাত করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘উপদেষ্টাসহ ৫০ জনের মতো মন্ত্রী পদমর্যাদার সদস্য রয়েছেন। উপদেষ্টারা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। অর্থ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কে চালান, মন্ত্রী না উপদেষ্টা? জানি না। এতজন মন্ত্রীর মধ্যে সংসদে মাত্র ছয়জন উপস্থিত আছেন। বাতিল নোটিশের বক্তৃতা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে শুনতে হয়। কিন্তু কেউ নেই। কে শুনবেন কার কথা। মন্ত্রীদের আরও যত্নবান ও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ১০ ভাগের নয় ভাগ আসনে জয়ী হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সুন্দর মন্ত্রিসভা করেছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও সব কথা বলতে পারি না। কিছু কথা না বললেই নয়। তাই বলছি। আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নেই, সচিব নেই, বিসিআইসির চেয়ারম্যান নেই। সার কেনার জন্য সবাই বিদেশ গেছেন। আমিও মন্ত্রী ছিলাম। সার কেনার জন্য বিদেশ যাইনি।’
আবদুর রাজ্জাকের অসুস্থতার কথা তুলে ধরে তোফায়েল আহমেদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তিনি লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। পাঁচ সপ্তাহ পর তাঁর যকৃত্ ও কিডনি প্রতিস্থাপন হবে। কিন্তু লন্ডনে নিযুক্ত হাইকমিশনার তাঁকে দেখতে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ‘তিনি ব্যস্ত আছেন। মন্ত্রী সাহেবদের জন্য তাঁর বিমানবন্দরে যেতে হয়। আমি তাঁকে বললাম, রাজ্জাক ভাই কেবল একজন সাংসদ নন। মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। এ কথা বলার পর হাইকমিশনার তাঁকে দেখতে যান। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবদুর রাজ্জাকের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।’
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘সংবিধান অনুসারে মন্ত্রিসভা সংসদের কাছে যৌথভাবে দায়বদ্ধ। সাংসদদের কথা কে শুনবে? জনগণের কাছে আমরা কী বলব? তিনি বলেন, মন্ত্রীরা সংসদে আসেন না। তাঁদের বদলে প্রক্সি দেওয়া হয়। সংসদকে কার্যকর করতে হলে মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকতে হবে। স্বৈরাচার আমলেও দেখেছি, সরকারি কর্মকর্তাদের সংসদে বসে নোট নিতে।’ শেখ সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে ছিলেন। ওইদিন মন্ত্রীরা সব সেজেগুজে সংসদে এসে বসেছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রী সংসদে নেই। কোনো মন্ত্রীও নেই। এভাবে চলতে পারে না।
শেখ সেলিম অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ফাটকাবাজ বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অমানুষ। অর্থমন্ত্রী সাংসদ হওয়ায় তাঁকে আমরা ধরতে পারি। কিন্তু উপদেষ্টাকে ধরতে পারি না। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সরকারের নয়। কিন্তু তারা সব বিষয়ে কথা বলেন। এটা কোন ধরনের তামাশা?’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আবদুর রাজ্জাকের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘হাইকমিশনার দূরে থাক, তাঁকে একজন পিয়ন পর্যন্ত দেখতে যাননি। লন্ডনে অনেক মন্ত্রী-নেতা আবদুর রাজ্জাকের অসুস্থতার কথা শুনেও না শোনার ভান করে চলে এসেছেন। এ রকম অবস্থা চললে রাজনীতির প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকবে না। যেখানে প্রধানমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের খোঁজ নিয়েছেন, সেখানে মন্ত্রীরা তাঁকে দেখতে যেতে পারেন না। আমরা এ ঘটনায় মর্মাহত।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বক্তৃতা দিয়ে মন্ত্রীদের সংসদে আনা যাবে না, যদি না সংবিধান অনুসারে তারা কাজ না করেন। মন্ত্রীরা আজ বুকে হাত দিয়ে বলুক যে তাঁদের সংসদের প্রতি জবাবদিহি রয়েছে। মন্ত্রীরা মনে করেন, অন্য কোথাও জবাবদিহি থাকলে তাঁদের সংসদে না এলেও চলবে।’ শেয়ারবাজার সম্পর্কে তিনি বলেন, যে টাকা বিদেশে চলে গেছে যাক, কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকগুলো যে টাকাটা লাভ করেছে, তা বাজারে নিয়ে আসা হোক। তাহলে বাজার চাঙা হবে।
আবদুর রাজ্জাককে একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনৈতিক নেতা উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘মন্ত্রীদের সালাম দিয়েই রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের দায়িত্ব শেষ হয় না। জনগণের করের টাকায় তাঁদের ভরণ-পোষণ হয়। সুতরাং জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
চিফ হুইপ আবদুস শহীদ বলেন, মন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়েছে। সংসদ কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী এটা করা যায় না।
আলোচনা শেষে সংসদের বৈঠক আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
এ সময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্বে থাকা প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘অধিবেশনকক্ষে মন্ত্রীদের ফাঁকা চেয়ার ফ্যাল ফ্যাল করে হাসছে।’
বিকেল সোয়া চারটায় সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোরাম-সংকটের কারণে তা ২০ মিনিট দেরিতে বেলা ৪টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয়। এ সময় কেবল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। একটু পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক উপস্থিত হন। সন্ধ্যার পর অর্থমন্ত্রী ছাড়া কেবল খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, ভূমি প্রতিমন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া ও স্পিকার আবদুল হামিদ সৌদি আরব রয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী নিজ নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুরের নড়িয়া গেছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল মতিন খসরু অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও সংসদে ছিলেন না।
আলোচনার সূত্রপাত করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘উপদেষ্টাসহ ৫০ জনের মতো মন্ত্রী পদমর্যাদার সদস্য রয়েছেন। উপদেষ্টারা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। অর্থ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কে চালান, মন্ত্রী না উপদেষ্টা? জানি না। এতজন মন্ত্রীর মধ্যে সংসদে মাত্র ছয়জন উপস্থিত আছেন। বাতিল নোটিশের বক্তৃতা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে শুনতে হয়। কিন্তু কেউ নেই। কে শুনবেন কার কথা। মন্ত্রীদের আরও যত্নবান ও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ১০ ভাগের নয় ভাগ আসনে জয়ী হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সুন্দর মন্ত্রিসভা করেছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও সব কথা বলতে পারি না। কিছু কথা না বললেই নয়। তাই বলছি। আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নেই, সচিব নেই, বিসিআইসির চেয়ারম্যান নেই। সার কেনার জন্য সবাই বিদেশ গেছেন। আমিও মন্ত্রী ছিলাম। সার কেনার জন্য বিদেশ যাইনি।’
আবদুর রাজ্জাকের অসুস্থতার কথা তুলে ধরে তোফায়েল আহমেদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তিনি লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। পাঁচ সপ্তাহ পর তাঁর যকৃত্ ও কিডনি প্রতিস্থাপন হবে। কিন্তু লন্ডনে নিযুক্ত হাইকমিশনার তাঁকে দেখতে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ‘তিনি ব্যস্ত আছেন। মন্ত্রী সাহেবদের জন্য তাঁর বিমানবন্দরে যেতে হয়। আমি তাঁকে বললাম, রাজ্জাক ভাই কেবল একজন সাংসদ নন। মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। এ কথা বলার পর হাইকমিশনার তাঁকে দেখতে যান। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবদুর রাজ্জাকের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।’
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘সংবিধান অনুসারে মন্ত্রিসভা সংসদের কাছে যৌথভাবে দায়বদ্ধ। সাংসদদের কথা কে শুনবে? জনগণের কাছে আমরা কী বলব? তিনি বলেন, মন্ত্রীরা সংসদে আসেন না। তাঁদের বদলে প্রক্সি দেওয়া হয়। সংসদকে কার্যকর করতে হলে মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকতে হবে। স্বৈরাচার আমলেও দেখেছি, সরকারি কর্মকর্তাদের সংসদে বসে নোট নিতে।’ শেখ সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে ছিলেন। ওইদিন মন্ত্রীরা সব সেজেগুজে সংসদে এসে বসেছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রী সংসদে নেই। কোনো মন্ত্রীও নেই। এভাবে চলতে পারে না।
শেখ সেলিম অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ফাটকাবাজ বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অমানুষ। অর্থমন্ত্রী সাংসদ হওয়ায় তাঁকে আমরা ধরতে পারি। কিন্তু উপদেষ্টাকে ধরতে পারি না। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সরকারের নয়। কিন্তু তারা সব বিষয়ে কথা বলেন। এটা কোন ধরনের তামাশা?’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আবদুর রাজ্জাকের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘হাইকমিশনার দূরে থাক, তাঁকে একজন পিয়ন পর্যন্ত দেখতে যাননি। লন্ডনে অনেক মন্ত্রী-নেতা আবদুর রাজ্জাকের অসুস্থতার কথা শুনেও না শোনার ভান করে চলে এসেছেন। এ রকম অবস্থা চললে রাজনীতির প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকবে না। যেখানে প্রধানমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের খোঁজ নিয়েছেন, সেখানে মন্ত্রীরা তাঁকে দেখতে যেতে পারেন না। আমরা এ ঘটনায় মর্মাহত।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বক্তৃতা দিয়ে মন্ত্রীদের সংসদে আনা যাবে না, যদি না সংবিধান অনুসারে তারা কাজ না করেন। মন্ত্রীরা আজ বুকে হাত দিয়ে বলুক যে তাঁদের সংসদের প্রতি জবাবদিহি রয়েছে। মন্ত্রীরা মনে করেন, অন্য কোথাও জবাবদিহি থাকলে তাঁদের সংসদে না এলেও চলবে।’ শেয়ারবাজার সম্পর্কে তিনি বলেন, যে টাকা বিদেশে চলে গেছে যাক, কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকগুলো যে টাকাটা লাভ করেছে, তা বাজারে নিয়ে আসা হোক। তাহলে বাজার চাঙা হবে।
আবদুর রাজ্জাককে একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনৈতিক নেতা উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘মন্ত্রীদের সালাম দিয়েই রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের দায়িত্ব শেষ হয় না। জনগণের করের টাকায় তাঁদের ভরণ-পোষণ হয়। সুতরাং জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
চিফ হুইপ আবদুস শহীদ বলেন, মন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়েছে। সংসদ কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী এটা করা যায় না।
আলোচনা শেষে সংসদের বৈঠক আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
No comments