আবারও বড় দরপতনঃ বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ
সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে আবারও দরপতনের ধারায় ঢুকে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বাজার স্থিতিশীল করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের উদ্যোগে সপ্তাহের শুরুতে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব শুরু হলেও তা ছিল ক্ষণস্থায়ী। বরং বিনিয়োগকারীদের হতাশা বাড়িয়ে শেয়ারের দর আবার কমতে শুরু করেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার হিসেবে পরিচিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার সাধারণ মূল্যসূচক ১০৩ পয়েন্ট বা প্রায় দুই শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে স্টক এক্সচেঞ্জটির সাধারণ সূচক কমেছে ২৪৬ পয়েন্টের মতো।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, পুঁজিবাজার নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নেতিবাচক পর্যবেক্ষণের ফলে নতুন করে পতনের ধারা শুরু হয়েছে। বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ যখন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন সংস্থা দুটির কিছু নেতিবাচক মন্তব্য বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আবার চির ধরিয়েছে।
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের উদ্যোগে ‘বিশেষ তহবিল গঠন’ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে এর ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এ দুটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আর আইএমএফ ‘শেয়ারবাজার এখনো অস্থিতিশীল’ উল্লেখ করে বলছে, ‘বড় ধরনের দরপতনের সম্ভাবনা এখনো রয়ে গেছে।’ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় এগিয়ে আসার প্রয়াসকেও আইএমএফ ‘তাদের সঠিক ভূমিকা নয়’ বলে মন্তব্য করেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের এসব মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ: রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বেলা সোয়া একটার দিকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা বাজার স্থিতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ, সরকারের সব প্রণোদনা বাস্তবায়ন ও ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাংক-আইএমএফবিরোধী স্লোগান দেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের এ বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ চলাকালীন ডিএসইর সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।
ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী বলেন, পত্রপত্রিকায় পুঁজিবাজার নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের খবর এসেছে। যেগুলো কার্যকর হলে বাজার দিনের পর দিন কমত না। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা না করে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
সাইফুল আলম নামের অপর একজন বিনিয়োগকারী বলেন, দেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে সংবেদনশীল বক্তব্য দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দুটি সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে আইএমএফ বড় ধরনের দরপতনের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা আইনবিরুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য নয়।
আমাদের চট্টগ্রাম অফিস জানায়, সেখানকার বিনিয়োগকারীরাও শেয়ারবাজার সম্পর্কে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে নগরের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিইসি) সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। পরে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসংক্রান্ত খবর ছাপানোয় প্রথম আলো পত্রিকার কয়েকটি কপি পোড়ায়।
তবে ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগাংয়ের আহ্বায়ক আছলাম মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পত্রিকা পোড়ানোর সঙ্গে ফোরামের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বিক্ষুব্ধ কিছু বিনিয়োগকারী এটা করেছে বলে আমাদের ধারণা।’
এর আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরোজ চৌধুরী, এম এ কাদের, চন্দন চৌধুরী প্রমুখ। তাঁরা শেয়ারবাজার সম্পর্কে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের মন্তব্যের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসির সুস্পষ্ট বক্তব্য দাবি করেন।
বাজার পরিস্থিতি: ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল ডিএসইর দিনের লেনদেন। পাঁচ মিনিটের মাথায় সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে ১৫ মিনিট শেষে সূচকের তীর নিম্নমুখী হয়, যা সারা দিনই অব্যাহত ছিল। ডিএসইতে ৩৪৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ২৫১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ১৫ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে পাঁচ কোটি টাকা বেশি।
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের উদ্যোগে ‘বিশেষ তহবিল গঠন’ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে এর ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এ দুটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আর আইএমএফ ‘শেয়ারবাজার এখনো অস্থিতিশীল’ উল্লেখ করে বলছে, ‘বড় ধরনের দরপতনের সম্ভাবনা এখনো রয়ে গেছে।’ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় এগিয়ে আসার প্রয়াসকেও আইএমএফ ‘তাদের সঠিক ভূমিকা নয়’ বলে মন্তব্য করেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের এসব মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ: রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বেলা সোয়া একটার দিকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা বাজার স্থিতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ, সরকারের সব প্রণোদনা বাস্তবায়ন ও ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাংক-আইএমএফবিরোধী স্লোগান দেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের এ বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ চলাকালীন ডিএসইর সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।
ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী বলেন, পত্রপত্রিকায় পুঁজিবাজার নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের খবর এসেছে। যেগুলো কার্যকর হলে বাজার দিনের পর দিন কমত না। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা না করে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
সাইফুল আলম নামের অপর একজন বিনিয়োগকারী বলেন, দেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে সংবেদনশীল বক্তব্য দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দুটি সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে আইএমএফ বড় ধরনের দরপতনের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা আইনবিরুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য নয়।
আমাদের চট্টগ্রাম অফিস জানায়, সেখানকার বিনিয়োগকারীরাও শেয়ারবাজার সম্পর্কে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে নগরের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিইসি) সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। পরে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসংক্রান্ত খবর ছাপানোয় প্রথম আলো পত্রিকার কয়েকটি কপি পোড়ায়।
তবে ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগাংয়ের আহ্বায়ক আছলাম মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পত্রিকা পোড়ানোর সঙ্গে ফোরামের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বিক্ষুব্ধ কিছু বিনিয়োগকারী এটা করেছে বলে আমাদের ধারণা।’
এর আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরোজ চৌধুরী, এম এ কাদের, চন্দন চৌধুরী প্রমুখ। তাঁরা শেয়ারবাজার সম্পর্কে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের মন্তব্যের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসির সুস্পষ্ট বক্তব্য দাবি করেন।
বাজার পরিস্থিতি: ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল ডিএসইর দিনের লেনদেন। পাঁচ মিনিটের মাথায় সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে ১৫ মিনিট শেষে সূচকের তীর নিম্নমুখী হয়, যা সারা দিনই অব্যাহত ছিল। ডিএসইতে ৩৪৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ২৫১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ১৫ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে পাঁচ কোটি টাকা বেশি।
No comments