দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হবে পিপিপির আওতায়
বিদেশি ঋণের আশায় বছর তিনেক ঘুরে অবশেষে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) মাধ্যমে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ে বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নুরুল করিম সাংবাদিকদের জানান, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ স্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি আগেই পিপিপির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রকল্পটি পিপিপির প্রকল্প হিসেবেই থাকবে। দ্বিতীয় পদ্মা বহুমুখী সেতু নকশা প্রণয়ন (ডিজাইন বিল্ট) পদ্ধতিতে নির্মাণ এবং নির্বাচিত দরদাতার সহজ শর্তে ঋণের (সফট লোন) ব্যবস্থা রেখে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি। তিনি জানান, পিপিপি প্রকল্প হিসেবে এটি নির্মাণ, মালিকানা, পরিচালনা ও হস্তান্তর (বিওওটি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চীন ও মালয়েশিয়ার একাধিক প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রকল্পের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে আগামী তিন মাসের মধ্যেই। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে এ-সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে ২০০৫ সালে প্রাক্কলন করা প্রকল্প-ব্যয় ১৩০০০ কোটি থেকে বেড়ে এখন হতে পারে ২১০০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া দরপত্র আহ্বানের আগে আরো একটি বিস্তারিত সমীক্ষা করা হতে পারে।
এই সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, যশোর ও মাদারীপুর জেলার অংশবিশেষের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে।
জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুইয়া গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আমরা তিন মাসের মধ্যেই দরপত্র আহ্বান করতে পারব বলে আশা করছি। সেতু নির্মাণের পর নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত সেতুর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান। তারা যানবাহন থেকে টোল আদায় করবে।'
পদ্মা নদীর ওপর দুটি সেতু নির্মাণের অঙ্গীকার ছিল বর্তমান সরকারের। এর একটি হবে নদীর মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে। অন্যটি হবে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে। মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে প্রথম পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণকাজের দরপত্র এখনো হয়নি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রথম পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকায় পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ স্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রকল্পটি নিয়ে এখনো কোনো কাজ শুরু করতে পারেনি সরকার।
পিপিপির আওতায় আরো দুটি প্রকল্প
পিপিপির আওতায় আরো দুটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রকল্প দুটি হলো মংলা বন্দরে দুটি জেটির উন্নয়ন এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশ্বমানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তার মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পিপিপির অধীনে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আইসিএও এবং টিএসএর মানসম্মত করার জন্য ভিডিআই-আইএটিএ-সিএএবি'র সমন্বয়ে প্রস্তাবিত বিএমটির (বিল্ড-মেইনটেইন-ট্রান্সফার) অধীনে স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটিকে পিপিপির গাইড লাইন অনুযায়ী প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। এরপর প্রকল্পটি আবারও কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানান নুরুল করিম।
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চীন ও মালয়েশিয়ার একাধিক প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রকল্পের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে আগামী তিন মাসের মধ্যেই। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে এ-সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে ২০০৫ সালে প্রাক্কলন করা প্রকল্প-ব্যয় ১৩০০০ কোটি থেকে বেড়ে এখন হতে পারে ২১০০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া দরপত্র আহ্বানের আগে আরো একটি বিস্তারিত সমীক্ষা করা হতে পারে।
এই সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, যশোর ও মাদারীপুর জেলার অংশবিশেষের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে।
জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুইয়া গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আমরা তিন মাসের মধ্যেই দরপত্র আহ্বান করতে পারব বলে আশা করছি। সেতু নির্মাণের পর নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত সেতুর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান। তারা যানবাহন থেকে টোল আদায় করবে।'
পদ্মা নদীর ওপর দুটি সেতু নির্মাণের অঙ্গীকার ছিল বর্তমান সরকারের। এর একটি হবে নদীর মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে। অন্যটি হবে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে। মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে প্রথম পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণকাজের দরপত্র এখনো হয়নি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রথম পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকায় পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ স্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রকল্পটি নিয়ে এখনো কোনো কাজ শুরু করতে পারেনি সরকার।
পিপিপির আওতায় আরো দুটি প্রকল্প
পিপিপির আওতায় আরো দুটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রকল্প দুটি হলো মংলা বন্দরে দুটি জেটির উন্নয়ন এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশ্বমানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তার মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পিপিপির অধীনে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আইসিএও এবং টিএসএর মানসম্মত করার জন্য ভিডিআই-আইএটিএ-সিএএবি'র সমন্বয়ে প্রস্তাবিত বিএমটির (বিল্ড-মেইনটেইন-ট্রান্সফার) অধীনে স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটিকে পিপিপির গাইড লাইন অনুযায়ী প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। এরপর প্রকল্পটি আবারও কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানান নুরুল করিম।
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments