মিছিলের শহর নারায়ণগঞ্জ, রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে প্রচার by অমিতোষ পাল ও পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
দুই দিন পর আগামী রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। মোড়ে মোড়ে চলছে পুলিশি তল্লাশি। ইতিমধ্যে এসে পেঁৗছেছে ব্যালট বাঙ্। তারপরও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে রয়েছে অনেকের আশঙ্কা। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শাসক দল সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান।
অবশ্য এ দাবিকে কেউ কেউ নির্বাচনী কৌশল বলেও মন্তব্য করেছেন। রবিবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। বহিরাগতদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতার কারণে তিন প্রার্থীর প্রচারকাজে যোগ দিতে আসা দলীয় কেন্দ্রীয় নেতারা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই নারায়ণগঞ্জ ত্যাগ করেছেন।
প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জ এখন মিছিল, পোস্টার আর স্লোগানের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শামীম, আইভী ও তৈমূর_এই তিনটি শব্দ এখন নারায়ণগঞ্জে সর্বাধিক ব্যবহৃত হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ ছাপিয়ে সারা দেশে এখন উচ্চারিত তিনটি নাম_এ কে এম শামীম ওসমান, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। দেয়ালঘড়ি, আনারস এবং দোয়াত-কলমের পোস্টারে মোড়ানো গোটা সিটি করপোরেশন এলাকা। শহরের পশ্চিমে মাসদাইর, পূর্বে বন্দর, দক্ষিণে আল আমিননগর আর উত্তরে মিজমিজি এলাকার আকাশে-বাতাসে তাঁদের ছবি-প্রতীক। নবগঠিত সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র কে হবেন_এ জন্য নারায়ণগঞ্জসহ গোটা দেশবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে রবিবার রাত পর্যন্ত।
অনেকেই বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য এটা একটা অগি্নপরীক্ষা। সংবিধান সংশোধন করে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছে। তাই এই নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ছড়াবে। নির্বাচন কমিশনও চাইছে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে।
নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথম থেকেই শামীম ওসমানের সঙ্গে আছে তাঁর দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। একটু দেরিতে হলেও তৈমূরের নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দিয়েছে বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে দল পাশে না থাকলেও দলের কিছু নেতা এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। দল পাশে না থাকলেও পিছিয়ে নেই আইভী। নির্বাচনের মাঠে তিনজনই সমানে সমান। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার আত্মপ্রত্যয় তিন প্রার্থীরই।
এদিকে গতকাল তিন প্রার্থীই চষে বেড়িয়েছেন নির্বাচনী এলাকাগুলো। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গেছেন তাঁদের মন গলাতে। আইভি প্রচারণা চালিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জে, শামীম ওসমান শহর এলাকায়। অন্যদিকে তৈমূর আলম চষে বেড়িয়েছেন শহরের আমলাপাড়া ও কালীবাজার, চট্টগ্রাম রোড এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায়।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে প্রচারণা চলাতে গতকাল যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাফরউল্লাহ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মৃণাল কান্তি দাশ, সুজিত রায় নন্দী, চলচ্চিত্র অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান প্রমুখ।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালান আবদুল্লাহ আল নোমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আজিজুল বারী হেলালসহ আরো অনেকে।
আইভীর পক্ষে গতকাল প্রচারণায় নামেন জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এস এম আকরাম, সারাহ বেগম কবরী এমপি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম আরাফাত।
তবে শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করে নির্বাচনের মাঠে প্রচারণায় আইভীর স্বামীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রচারণার তুঙ্গে থাকা নির্বাচনের মাঠে স্বামী শামীম ওসমানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তাঁর সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি। তৈমূরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী হালিমা ফারজানা খন্দকার। কিন্তু এত বড় নির্বাচনে আইভীর স্বামী কাজী আহসান হায়াৎ-এর উপস্থিতি নেই। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি এখন আছেন নিউজিল্যান্ড।
প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জ এখন মিছিল, পোস্টার আর স্লোগানের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শামীম, আইভী ও তৈমূর_এই তিনটি শব্দ এখন নারায়ণগঞ্জে সর্বাধিক ব্যবহৃত হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ ছাপিয়ে সারা দেশে এখন উচ্চারিত তিনটি নাম_এ কে এম শামীম ওসমান, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। দেয়ালঘড়ি, আনারস এবং দোয়াত-কলমের পোস্টারে মোড়ানো গোটা সিটি করপোরেশন এলাকা। শহরের পশ্চিমে মাসদাইর, পূর্বে বন্দর, দক্ষিণে আল আমিননগর আর উত্তরে মিজমিজি এলাকার আকাশে-বাতাসে তাঁদের ছবি-প্রতীক। নবগঠিত সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র কে হবেন_এ জন্য নারায়ণগঞ্জসহ গোটা দেশবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে রবিবার রাত পর্যন্ত।
অনেকেই বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য এটা একটা অগি্নপরীক্ষা। সংবিধান সংশোধন করে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছে। তাই এই নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ছড়াবে। নির্বাচন কমিশনও চাইছে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে।
নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথম থেকেই শামীম ওসমানের সঙ্গে আছে তাঁর দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। একটু দেরিতে হলেও তৈমূরের নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দিয়েছে বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে দল পাশে না থাকলেও দলের কিছু নেতা এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। দল পাশে না থাকলেও পিছিয়ে নেই আইভী। নির্বাচনের মাঠে তিনজনই সমানে সমান। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার আত্মপ্রত্যয় তিন প্রার্থীরই।
এদিকে গতকাল তিন প্রার্থীই চষে বেড়িয়েছেন নির্বাচনী এলাকাগুলো। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গেছেন তাঁদের মন গলাতে। আইভি প্রচারণা চালিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জে, শামীম ওসমান শহর এলাকায়। অন্যদিকে তৈমূর আলম চষে বেড়িয়েছেন শহরের আমলাপাড়া ও কালীবাজার, চট্টগ্রাম রোড এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায়।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে প্রচারণা চলাতে গতকাল যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাফরউল্লাহ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মৃণাল কান্তি দাশ, সুজিত রায় নন্দী, চলচ্চিত্র অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান প্রমুখ।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালান আবদুল্লাহ আল নোমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আজিজুল বারী হেলালসহ আরো অনেকে।
আইভীর পক্ষে গতকাল প্রচারণায় নামেন জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এস এম আকরাম, সারাহ বেগম কবরী এমপি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম আরাফাত।
তবে শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করে নির্বাচনের মাঠে প্রচারণায় আইভীর স্বামীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রচারণার তুঙ্গে থাকা নির্বাচনের মাঠে স্বামী শামীম ওসমানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তাঁর সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি। তৈমূরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী হালিমা ফারজানা খন্দকার। কিন্তু এত বড় নির্বাচনে আইভীর স্বামী কাজী আহসান হায়াৎ-এর উপস্থিতি নেই। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি এখন আছেন নিউজিল্যান্ড।
No comments