গাদ্দাফির ব্যক্তিগত গাড়ি চালকের সাক্ষাৎকার by জাহাঙ্গীর আলম
হুনেইশ নছর, যিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ব্যক্তিগত গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন শেষ দিনগুলোতে কতোটা বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন গাদ্দাফি। নছর সর্বশেষ তার মনিবকে দেখেন সিরতের ধ্বংস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে কেমন এক সিদ্ধান্তহীনতায় পড়া এক বিধ্বস্ত মানুষ। তার চারদিকে তখন শুধুই যেন ব্যর্থতার মন্যুমেন্ট।
সেই দিনের কথা স্মরণ করে নছর বলেন, ‘সবকিছুই বিস্ফোরণে উড়ে যাচ্ছিল। বিদ্রোহীরা আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। তিনি মোটেও ভীত ছিলেন না। কিন্তু তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, কী করতে হবে তা তিনি জানেন না। এর আগে আমি তাকে কখনও এমন অবস্থায় দেখিনি।’
কয়েক মিনিট পরই উল্লসিত বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির সর্বশেষ অবস্থানটিও গুঁড়িয়ে দিল। তারা তার জন্মস্থানের বিধ্বস্ত ভবনটি মাড়িয়ে গেলো। এই স্থানটি ছিল তার সর্বশেষ কলঙ্কিত আশ্রয়স্থল।
বন্দুকধারী বিদ্রোহীরা এগিয়ে আসতে থাকলে নছর হাত উঁচিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় চোখের কাছে রাইফেলের বাটের আঘাতে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
নছরের আত্মসমর্পণের একটু আগেই গাদ্দাফিকে পাইপের ভেতর থেকে টেনে বের করা হয়। তিনি তার মনিবকে সেই শেষবার দেখেন একদল বিদ্রোহী পরিবেষ্টিত অবস্থায়। এরপরই তাদের ওপর বৃষ্টির মতো কিলঘুষি পড়তে থাকে।
গত সপ্তাহে গাদ্দাফি বিদ্রোহীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর নছর এবং তৎকালীন নিরাপত্তা প্রধান মনছুর দাও বেচেঁ আছেন। গাদ্দাফির দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে সম্ভবত এই দু’জনই এখন বেঁচে আছেন।
মিসরাতার সামরিক ব্যারাকে আটক নছর বলেন, ‘ঘনিষ্ঠদের মধ্যে যদি কেউ বেঁচে থাকেন তবে তারা কোথায় আছেন, তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানি না।’
শেষ আশ্রয় সিরতে শহরকে বাঁচানোর লড়াইয়ে ডান কানের শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন নছর। ভবিষ্যৎ নিয়ে তাকে খুব উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। তিনি বলেন, বাকিরা হয়ত বিদ্রোহীদের সঙ্গে কোথাও আছেন অথবা মারা গেছেন।
অবরুদ্ধ হওয়ার শেষ পাঁচ দিন গাদ্দাফির সঙ্গেই ছিলেন নছর। বিদ্রোহীদের হাত থেকে বাঁচতে তারা এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
৬০ বছর বয়সী নছর বলেন, গাদ্দাফি তার চারপাশের ঘটনা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না বলে মনে হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘ বিস্ময়করভাবে তিনি সব সময় খুব দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং পশ্চিমের দিকে তাকাতেন। আমি কখনও তার মধ্যে কোনো আতঙ্ক দেখিনি।’
আমি তার সঙ্গে তিরিশটা বছর কাটিয়েছি। খোদার কসম করে বলতে পারি, তার মধ্যে কখনও কোনো খারাপ আচরণ দেখিনি। তিনি সব সময় শুধুই আমার বস ছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতেন।
প্রমাণ হিসেবে নছর জানান, প্রতি মাসে তিনি ৮০০ দিনার (৩০০ ডলারে বেশি) পেতেন। সিরতে তাকে একটি বাড়িও দেওয়া হয়েছিল।
অন্য অনেক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মতো নছরও গাদ্দাফির একই উপজাতির লোক। তিনি বলেন, গত ১৭ মার্চ আমাকে চাকরি ছাড়তে বললে আমি সিরতে চলে আসি।
ত্রিপোলি ছাড়ার আগে তিনি গাদ্দাফিকে সর্বশেষ দেখেছেন সেপ্টেম্বরে। তখন তার সঙ্গে ছিলেন, মনছুর দাও, মোহাম্মদ ফাহিম (গাড়ি চালক হিসেবে নছরের স্থলাভিষিক্ত), ইজ্জেদিন আল শিরা (একজন নিরাপত্তা প্রধান) এবং আবদুল্লাহ খামিস।
গাদ্দাফি সিরতে আসার পর ১০ অক্টোবরের দিকে তিনি তার সঙ্গে মিলিত হন। তিনি বলেন, সে সময় তার (গাদ্দাফি) কালো চোখগুলো একেবারে কোঠরাগত ছিল।
গত মঙ্গলবার সকালের দিকে নছরকে একটি ভ্যানে করে বিদ্রোহীরা এক বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি দেখেন, তার মনিবকে চিহ্ন বিহীন একটি সাধারণ কবরে সমাহিত করা হয়েছে। তিনি কখনও আশা করেননি, গাদ্দাফির মতো কোনো মানুষ যাকে তিনি সব সময় অভ্রান্ত বলেই ভাবতেন তার পরিণতি এই হবে।
তবে নছরের ভাগ্যে যে কী ঘটবে তাও কিন্তু অনিশ্চিত।
কয়েক মিনিট পরই উল্লসিত বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির সর্বশেষ অবস্থানটিও গুঁড়িয়ে দিল। তারা তার জন্মস্থানের বিধ্বস্ত ভবনটি মাড়িয়ে গেলো। এই স্থানটি ছিল তার সর্বশেষ কলঙ্কিত আশ্রয়স্থল।
বন্দুকধারী বিদ্রোহীরা এগিয়ে আসতে থাকলে নছর হাত উঁচিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় চোখের কাছে রাইফেলের বাটের আঘাতে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
নছরের আত্মসমর্পণের একটু আগেই গাদ্দাফিকে পাইপের ভেতর থেকে টেনে বের করা হয়। তিনি তার মনিবকে সেই শেষবার দেখেন একদল বিদ্রোহী পরিবেষ্টিত অবস্থায়। এরপরই তাদের ওপর বৃষ্টির মতো কিলঘুষি পড়তে থাকে।
গত সপ্তাহে গাদ্দাফি বিদ্রোহীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর নছর এবং তৎকালীন নিরাপত্তা প্রধান মনছুর দাও বেচেঁ আছেন। গাদ্দাফির দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে সম্ভবত এই দু’জনই এখন বেঁচে আছেন।
মিসরাতার সামরিক ব্যারাকে আটক নছর বলেন, ‘ঘনিষ্ঠদের মধ্যে যদি কেউ বেঁচে থাকেন তবে তারা কোথায় আছেন, তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানি না।’
শেষ আশ্রয় সিরতে শহরকে বাঁচানোর লড়াইয়ে ডান কানের শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন নছর। ভবিষ্যৎ নিয়ে তাকে খুব উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। তিনি বলেন, বাকিরা হয়ত বিদ্রোহীদের সঙ্গে কোথাও আছেন অথবা মারা গেছেন।
অবরুদ্ধ হওয়ার শেষ পাঁচ দিন গাদ্দাফির সঙ্গেই ছিলেন নছর। বিদ্রোহীদের হাত থেকে বাঁচতে তারা এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
৬০ বছর বয়সী নছর বলেন, গাদ্দাফি তার চারপাশের ঘটনা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না বলে মনে হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘ বিস্ময়করভাবে তিনি সব সময় খুব দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং পশ্চিমের দিকে তাকাতেন। আমি কখনও তার মধ্যে কোনো আতঙ্ক দেখিনি।’
আমি তার সঙ্গে তিরিশটা বছর কাটিয়েছি। খোদার কসম করে বলতে পারি, তার মধ্যে কখনও কোনো খারাপ আচরণ দেখিনি। তিনি সব সময় শুধুই আমার বস ছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতেন।
প্রমাণ হিসেবে নছর জানান, প্রতি মাসে তিনি ৮০০ দিনার (৩০০ ডলারে বেশি) পেতেন। সিরতে তাকে একটি বাড়িও দেওয়া হয়েছিল।
অন্য অনেক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মতো নছরও গাদ্দাফির একই উপজাতির লোক। তিনি বলেন, গত ১৭ মার্চ আমাকে চাকরি ছাড়তে বললে আমি সিরতে চলে আসি।
ত্রিপোলি ছাড়ার আগে তিনি গাদ্দাফিকে সর্বশেষ দেখেছেন সেপ্টেম্বরে। তখন তার সঙ্গে ছিলেন, মনছুর দাও, মোহাম্মদ ফাহিম (গাড়ি চালক হিসেবে নছরের স্থলাভিষিক্ত), ইজ্জেদিন আল শিরা (একজন নিরাপত্তা প্রধান) এবং আবদুল্লাহ খামিস।
গাদ্দাফি সিরতে আসার পর ১০ অক্টোবরের দিকে তিনি তার সঙ্গে মিলিত হন। তিনি বলেন, সে সময় তার (গাদ্দাফি) কালো চোখগুলো একেবারে কোঠরাগত ছিল।
গত মঙ্গলবার সকালের দিকে নছরকে একটি ভ্যানে করে বিদ্রোহীরা এক বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি দেখেন, তার মনিবকে চিহ্ন বিহীন একটি সাধারণ কবরে সমাহিত করা হয়েছে। তিনি কখনও আশা করেননি, গাদ্দাফির মতো কোনো মানুষ যাকে তিনি সব সময় অভ্রান্ত বলেই ভাবতেন তার পরিণতি এই হবে।
তবে নছরের ভাগ্যে যে কী ঘটবে তাও কিন্তু অনিশ্চিত।
No comments