পাশ্চাত্যের অবরোধ আরোপের প্রস্তাবে নমনীয়তা আনা হয়েছে
সিরিয়ার ওপর অবিলম্বে অবরোধ আরোপের বিষয়ে পাঁচটি পশ্চিমা দেশ নমনীয় অবস্থান নিয়েছে। বর্তমান প্রস্তাব অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের ওপর সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন অব্যাহত থাকলেই কেবল অবরোধ আরোপ করা হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। নিষেধাজ্ঞার বিরোধী চীন ও রাশিয়ার সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যেই প্রস্তাবটি নমনীয় করা হয়।
পশ্চিমা কূটনীতিকেরা জানান, চলতি সপ্তাহের শেষে তাঁরা এ ব্যাপারে একটি ভোটের পরিকল্পনা করছেন। সংবাদমাধ্যমের সংগৃহীত নমুনায় দেখা গেছে, ওই খসড়া প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতার অবসান’ দাবি করা হয়েছে। সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ যদি ওই দাবিকে গুরুত্ব না দেয়, তাহলে দেশটির ওপর অবরোধ আরোপসহ শাস্তিমূলক অন্যান্য ব্যবস্থা নেবে নিরাপত্তা পরিষদ।
গত মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দেয় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও পর্তুগাল। এ প্রস্তাবে সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়া ও চীন এর বিরোধিতা করে ভেটো দেওয়ার হুমকি দেয়। সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের প্রস্তাবে বিরোধিতাকারী অন্য দেশগুলো হলো: ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল।
পশ্চিমা কূটনীতিকেরা মনে করেন, বর্তমান প্রস্তাবটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য হবে। ইউরোপীয় একজন কূটনীতিক বলেন, আসাদের প্রশাসন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবির প্রতি যেন উদাসীন থাকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তাঁরা একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ বার্তা পৌঁছে দিতে চান।
নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত: মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানায়, সিরিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’-এর মতে, গত মঙ্গলবার এক অভিযানে সরকারি বাহিনী বেসামরিক অন্তত ছয়জন নাগরিককে হত্যা করে। বায়াদার হোমস এলাকায় সেনা অভিযানে বেসামরিক তিনজন ব্যক্তি নিহত ও সাতজন আহত হয়। সরকারি বাহিনী ছেড়ে চলে আসা সেনা সদস্যরা ওই এলাকায় একটি ট্যাংক পুড়িয়ে দেওয়ার পর ওই হামলা চালানো হয়। এদিকে উত্তরাঞ্চলীয় জাবাল আল-জাউইয়া শহরে অভিযান চালিয়ে সরকারি বাহিনী বেসামরিক দুজন ব্যক্তিকে হত্যা করে। এ ছাড়া দক্ষিণের দারা প্রদেশে মঙ্গলবার ভোরে পরিচালিত এক অভিযানে বেসামরিক এক ব্যক্তি নিহত ও পাঁচজন আহত হয়। গত মার্চে ওই প্রদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় হোমস প্রদেশের রাস্তান, তালবিশেহ ও তিরমালা এলাকায় অভিযানে শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়, যাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। সেনারা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ও ট্যাংক নিয়ে এসব এলাকায় আক্রমণ চালায়।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০ লোক নিহত হয়েছে। সিরিয়ার সরকার বলছে, বিদেশি শক্তির মদদপ্রাপ্ত ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীর’ বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলছে।
পশ্চিমা কূটনীতিকেরা জানান, চলতি সপ্তাহের শেষে তাঁরা এ ব্যাপারে একটি ভোটের পরিকল্পনা করছেন। সংবাদমাধ্যমের সংগৃহীত নমুনায় দেখা গেছে, ওই খসড়া প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতার অবসান’ দাবি করা হয়েছে। সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ যদি ওই দাবিকে গুরুত্ব না দেয়, তাহলে দেশটির ওপর অবরোধ আরোপসহ শাস্তিমূলক অন্যান্য ব্যবস্থা নেবে নিরাপত্তা পরিষদ।
গত মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দেয় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও পর্তুগাল। এ প্রস্তাবে সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়া ও চীন এর বিরোধিতা করে ভেটো দেওয়ার হুমকি দেয়। সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের প্রস্তাবে বিরোধিতাকারী অন্য দেশগুলো হলো: ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল।
পশ্চিমা কূটনীতিকেরা মনে করেন, বর্তমান প্রস্তাবটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য হবে। ইউরোপীয় একজন কূটনীতিক বলেন, আসাদের প্রশাসন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবির প্রতি যেন উদাসীন থাকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তাঁরা একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ বার্তা পৌঁছে দিতে চান।
নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত: মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানায়, সিরিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’-এর মতে, গত মঙ্গলবার এক অভিযানে সরকারি বাহিনী বেসামরিক অন্তত ছয়জন নাগরিককে হত্যা করে। বায়াদার হোমস এলাকায় সেনা অভিযানে বেসামরিক তিনজন ব্যক্তি নিহত ও সাতজন আহত হয়। সরকারি বাহিনী ছেড়ে চলে আসা সেনা সদস্যরা ওই এলাকায় একটি ট্যাংক পুড়িয়ে দেওয়ার পর ওই হামলা চালানো হয়। এদিকে উত্তরাঞ্চলীয় জাবাল আল-জাউইয়া শহরে অভিযান চালিয়ে সরকারি বাহিনী বেসামরিক দুজন ব্যক্তিকে হত্যা করে। এ ছাড়া দক্ষিণের দারা প্রদেশে মঙ্গলবার ভোরে পরিচালিত এক অভিযানে বেসামরিক এক ব্যক্তি নিহত ও পাঁচজন আহত হয়। গত মার্চে ওই প্রদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় হোমস প্রদেশের রাস্তান, তালবিশেহ ও তিরমালা এলাকায় অভিযানে শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়, যাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। সেনারা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ও ট্যাংক নিয়ে এসব এলাকায় আক্রমণ চালায়।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০ লোক নিহত হয়েছে। সিরিয়ার সরকার বলছে, বিদেশি শক্তির মদদপ্রাপ্ত ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীর’ বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলছে।
No comments