নানা উদ্যোগেও ঠেকানো যাচ্ছে না দরপতন
দেশের শেয়ারবাজার আলোচিত আরেকটি সপ্তাহ পার করল। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নানা সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও সপ্তাহজুড়েই ছিল দরপতন। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৩১৪ পয়েন্ট কমেছে। এ ছাড়া ওই সপ্তাহে বড় ধরনের দুটি দরপতন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা, যদিও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহজুড়েই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বড় ধরনের দরপতন দিয়ে গত রোববার সপ্তাহটি শুরু হয়েছিল। ওই দিন ডিএসইর মূল্যসূচক পড়ে যায় ১৬৬ পয়েন্ট। ওই অবস্থায় দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুপারিশে পরদিন সোমবার আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর একক গ্রাহক ঋণসীমা ও অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ের সময় এক বছর বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়, যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির আগেই সেদিন দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলের রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বেশকিছু গাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবনের কাচ ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় কয়েকজন বিনিয়োগকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এত সব ঘটনার পর সোমবার দিনশেষে বাজার ইতিবাচক আচরণ করে। তার প্রধান কারণ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন দুটি। একই দিন বাংলাদেশ ফান্ডের ইউনিট বিক্রি শুরুর কথা জানায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
পাশাপাশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের এখনই উত্তম সময় বলে জানান আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইসিবির উদ্যোগের পর বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু তা হয়নি। মঙ্গলবারই বাজার ফিরে যায় আবার দরপতনের ধারায়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার আবারও বড় দরপতনের ঘটনা ঘটে।
এরপর ওই দিনই তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসইসি। পাশাপাশি সাধারণ শেয়ারধারীদের মধ্যে কারও হাতে যদি কোনো কোম্পানির পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার থাকে তাও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া ওই দিনই তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি সালমান এফ রহমান।
বুধবারের এসব সিদ্ধান্তের পরদিনই বাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গত সপ্তাহে দরপতনের মধ্যেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর লেনদেন দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১০৬ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫২ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ বা ৩১৪ পয়েন্ট কম।
বড় ধরনের দরপতন দিয়ে গত রোববার সপ্তাহটি শুরু হয়েছিল। ওই দিন ডিএসইর মূল্যসূচক পড়ে যায় ১৬৬ পয়েন্ট। ওই অবস্থায় দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুপারিশে পরদিন সোমবার আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর একক গ্রাহক ঋণসীমা ও অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ের সময় এক বছর বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়, যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির আগেই সেদিন দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলের রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বেশকিছু গাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবনের কাচ ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় কয়েকজন বিনিয়োগকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এত সব ঘটনার পর সোমবার দিনশেষে বাজার ইতিবাচক আচরণ করে। তার প্রধান কারণ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন দুটি। একই দিন বাংলাদেশ ফান্ডের ইউনিট বিক্রি শুরুর কথা জানায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
পাশাপাশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের এখনই উত্তম সময় বলে জানান আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইসিবির উদ্যোগের পর বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু তা হয়নি। মঙ্গলবারই বাজার ফিরে যায় আবার দরপতনের ধারায়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার আবারও বড় দরপতনের ঘটনা ঘটে।
এরপর ওই দিনই তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসইসি। পাশাপাশি সাধারণ শেয়ারধারীদের মধ্যে কারও হাতে যদি কোনো কোম্পানির পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার থাকে তাও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া ওই দিনই তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি সালমান এফ রহমান।
বুধবারের এসব সিদ্ধান্তের পরদিনই বাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গত সপ্তাহে দরপতনের মধ্যেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর লেনদেন দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১০৬ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫২ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ বা ৩১৪ পয়েন্ট কম।
No comments