দেশের সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্নঃ মির্জা ফখরুল

স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতানায় আন্দোলন শুরুর সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফর ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট আয়োজিত ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, ‘দেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দেশ আজ কোন দিকে যাচ্ছে তা আমরা কেউ জানি না। এদেশেরও কি সিকিম-নেপালের মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে?’তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে দাবি করে মহাজোট সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এমনকি মানুষের মৌলিক অধিকার টুকু কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এ সময় সরকারের এই সুগভীর ষড়যন্ত্র থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে নতুন করে আবার সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মনোবল নিয়ে নতুন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমার খুব দুঃখ হয়- যখন দেখি দেশের বিরুদ্ধে চুক্তি হয়, দেশের গণতন্ত্র লুট করে নেয়া হয় এবং দেশের একমাত্র দলিল সংবিধানকে কেটে তছনছ করে ফেলা হয়; অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে একটি মিছিলও বের হয় না।’

ফখরুল বলেন, সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকায় তার বিরুদ্ধে কিছু বুদ্ধিজীবী মানববন্ধন করেছে। অথচ দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাতে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন আর ঘরে বসে কথা বলার সময় নেই। রাজপথে নেমে এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। অন্যথায় গণতন্ত্রের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে-মেয়ে এবং তার বোনের ছেলে-মেয়ে পরিবার নিয়ে সবাই বিদেশে থাকেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণেই শুধু শেখ হাসিনা দেশে থাকেন। অন্যথায় তিনিও বাংলাদেশে থাকতেন না। এজন্য এ দেশ এবং দেশের জনগণের জন্য তার কোন মাথা ব্যথা নেই।

আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আ হ ম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) কোম্পানি শেয়ার বাজার থেকে শ’ শ’ কোটি টাকা লোপাট করেছে বলেও অভিযোগ করে তিনি। মাহমুদুর রহমান বলেন, অনুন্নয়ন খাতে বাজেট বৃদ্ধি করে দেশকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দারের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাবির অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, পররমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রকৌশলী হারুন-অর রশীদ, বুয়েটের অধ্যাপক সাব্বির মোস্তফা খান, বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম।

No comments

Powered by Blogger.