কর প্রদানে গণসচেতনতা প্রয়োজনঃ এইচটি ইমাম
সবাই মিলে দিব কর দেশ হবে স্বনির্ভর এ স্লোগান নিয়ে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা ২০১১ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। রাজধানীর বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবে ৫ দিনব্যাপী কর মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেন কর প্রদানের ক্ষেত্রে গণসচেতনতাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তার জন্য আয়কর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আরও ভালো আচরণ করা দরকার। কর দাতার যেন না মনে করেন, তাদের উপর জোড় করে কর আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া আয়কর কর্মকর্তারা দুর্নীতি করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এইচ টি ইমামের বক্তব্যেই উঠে আসে তাদের দুর্নীতির বিষয়টি। এ সময় তিনি কর কর্মকর্তা সম্পর্কে জনমনের ভয় ভীতি দুর করার ওপরও গুরুত্ব দেন।
এইচটি ইমাম তার বক্তব্যে বলেন, আমি নিজেও ফরম কীভাবে পূরণ করতে হয় তা জানি না। কর প্রদানের প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে হবে। দেশের সব নাগরিককেই কর প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসাহ ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে বলেও মত দেন তিনি। এইচটি ইমাম বলেন, যে ব্যক্তির কর দেওয়ার অভ্যাস হবে তিনি সরকারের কাজে ভালোমন্দ বিষয়ে সচেতন থাকবেন। কর প্রদানের ক্ষেত্রে এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি রয়েছে। সেই ভীতি দূর করার জন্য রাজস্ব বোর্ডকে আরও বেশি করে সারাদেশব্যাপী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী কর প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকার তাদের সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে দেশব্যাপী সরকারের যেসব তথ্য কেন্দ্র রয়েছে তা কাজে লাগাতে পারে। দেশের যে কোনও স্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ট্যাক্স রিটার্নের বিষয়ে কর দাতারা জানতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।মেলার মোট ৮৭টি স্টলে আয়কর কর্মকর্তারা টিন সার্টিফিকেট ফর্ম পূরণ, আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ কর সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা দিচ্ছেন। ঢাকায় বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাব, চট্টগ্রামে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে জিমনেশিয়াম, রাজশাহীতে জাফর ইমাম টেনিস কমপ্রেক্স, খুলনায় করভবন, সিলেটে স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম, বরিশালে বরিশাল ক্লাব ও রংপুরে জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে বেলা ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে, দেশে কর সনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা ২৬ লাখ। এর মধ্যে করদাতার সংখ্যা ৯ লাখ।
No comments