অনশন নাটক করে জনগণের অর্থ নষ্ট করছেন মোদিঃ কংগ্রেস
ভারতের ক্ষমতাসীন ইউপিএ জোটের প্রধান শরিক দল কংগ্রেস বলেছে, অনশন নাটক করার মাধ্যমে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনগণের অর্থ নষ্ট করছেন। বিজেপি যদি তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়, তবে তা হবে ধ্বংসাত্মক। গুজরাটের ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোহন প্রকাশ পিটিআইকে এসব কথা বলেছেন।মোহন প্রকাশ অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদি অনশন করে তাঁর অতীত অপরাধ মুছে ফেলতে চান। তিনি মোদির বিরুদ্ধে অনশনের ধারণাকে কলুষিত করার অভিযোগ এনে বলেন, মোদি অনশনের নাটক করে বিজয় উদযাপন করছেন।
সমাজে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদার করতে গতকাল শনিবার থেকে তিন দিনের ‘সদ্ভাবনা’ উপবাস শুরু করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকতে নিজের 'ইমেজ উজ্জ্বল করতেই' 'সদভাবনা' নামে এই নবধারার আন্দোলন শুরু করেছেন বিজেপির এই নেতা। আর রাজ্যের বিরোধী কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাজনৈতিক চমক সৃষ্টির জন্যই তিনি এই 'তামাশা' শুরু করেছেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে অনশন শুরু করেছেন রাজ্য কংগ্রেস নেতারাও।
রাজ্যের বৃহত্তম শহর আহমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনকেন্দ্রে গতকাল অনশনের শুরুতে মোদি বলেন, 'শুভেচ্ছা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়িয়ে দেওয়াই আমার লক্ষ্য।' এল কে আদভানি, অরুন জেটলিসহ বিজেপির শীর্ষস্থনীয় নেতারা অনশনস্থলে ছিলেন। ভারতের রাজনীতিতে মোদি অবশ্য সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই বেশি পরিচিত। ২০০২ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় তাঁর বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও দাঙ্গায় কোনো 'ভুল' করার বিষয়টি সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, ৬১ বছর বয়সী এই পক্বকেশী রাজনীতিক ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় নিজের সাম্প্রদায়িক ইমেজে চুনকাম করতেই অনশন করছেন। এ উপলক্ষে গতকাল ভারতের পত্রিকাগুলোতে পূর্ণ পৃষ্ঠাজুড়ে তাঁর একটি চিঠি ছাপা হয়। এতে তিনি বলেন, 'কোনো রাজ্য, সমাজ বা ব্যক্তি নিজেকে নিখুঁত বলে দাবি করতে পারে না। আমার সত্যিকারের ভুলগুলো যাঁরা ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।'
অনশনের শুরুতে দর্শকসারিতে উপস্থিত রাজনীতিক, ধর্মীয় নেতা ও মুসলিম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ওই দাঙ্গায় যাঁরা স্বজনদের হারিয়েছেন 'তাঁদের জন্য আমি ব্যথিত'। তবে ওই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি দুঃখ প্রকাশ করেননি বা ক্ষমাও চাননি। মোদির অনশনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে রাজ্য কংগ্রেসের নেতারাও গতকাল থেকে তিন দিনের অনশন শুরু করেছেন। মোদির অনশনকে 'পাঁচ তারকা' হোটেলের আয়েশের সঙ্গে তুলনা করেন কংগ্রেস নেতা শংকরসিন ভাঘেলা। কেননা মোদি অনশন করছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে। আর কংগ্রেস নেতারা অনশনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন ফুটপাতকে। শংকরসিন বলেন, 'জনগণের কয়েক কোটি রুপি খরচ করে এই অনশনের প্রয়োজন কী? তিনি চাইলে বাড়িতে বসেও অনশন করতে পারতেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই তামাশা করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।' কংগ্রেস নেতাদের অনশনস্থল শহরের সবরমতি আশ্রমের সামনের ফুটপাত।
মোদির শাসনামলে অবশ্য গুজরাটের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশের ওপরে। কেন্দ্র সরকার যখন নানামুখী দুর্নীতির অভিযোগে বিপর্যস্ত-পর্যুদস্ত সেখানে দুর্নীতিবিরোধী হিসেবে মোদির সুনাম ক্রমাগত তাঁর জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে চলেছে। সম্প্রতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুই দফায় ১৭ দিন অনশন করেন সমাজকর্মী আনা হাজারে। যোগ ব্যায়ামের গুরু রামদেবও একই দাবিতে অনশন করেন।
২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় হিন্দু তীর্থযাত্রীদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্রর মোদির নিষ্ক্রিয়তা দায়ী করা হয়। তবে এই অভিযোগে বিচার থেকে চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ায় তিনি বিরাট স্বস্তি পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশকে বিজেপি ও মোদি তাঁদের বিজয় বলে অভিহিত করেন।
সমাজে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদার করতে গতকাল শনিবার থেকে তিন দিনের ‘সদ্ভাবনা’ উপবাস শুরু করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকতে নিজের 'ইমেজ উজ্জ্বল করতেই' 'সদভাবনা' নামে এই নবধারার আন্দোলন শুরু করেছেন বিজেপির এই নেতা। আর রাজ্যের বিরোধী কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাজনৈতিক চমক সৃষ্টির জন্যই তিনি এই 'তামাশা' শুরু করেছেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে অনশন শুরু করেছেন রাজ্য কংগ্রেস নেতারাও।
রাজ্যের বৃহত্তম শহর আহমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনকেন্দ্রে গতকাল অনশনের শুরুতে মোদি বলেন, 'শুভেচ্ছা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়িয়ে দেওয়াই আমার লক্ষ্য।' এল কে আদভানি, অরুন জেটলিসহ বিজেপির শীর্ষস্থনীয় নেতারা অনশনস্থলে ছিলেন। ভারতের রাজনীতিতে মোদি অবশ্য সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই বেশি পরিচিত। ২০০২ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় তাঁর বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও দাঙ্গায় কোনো 'ভুল' করার বিষয়টি সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, ৬১ বছর বয়সী এই পক্বকেশী রাজনীতিক ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় নিজের সাম্প্রদায়িক ইমেজে চুনকাম করতেই অনশন করছেন। এ উপলক্ষে গতকাল ভারতের পত্রিকাগুলোতে পূর্ণ পৃষ্ঠাজুড়ে তাঁর একটি চিঠি ছাপা হয়। এতে তিনি বলেন, 'কোনো রাজ্য, সমাজ বা ব্যক্তি নিজেকে নিখুঁত বলে দাবি করতে পারে না। আমার সত্যিকারের ভুলগুলো যাঁরা ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।'
অনশনের শুরুতে দর্শকসারিতে উপস্থিত রাজনীতিক, ধর্মীয় নেতা ও মুসলিম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ওই দাঙ্গায় যাঁরা স্বজনদের হারিয়েছেন 'তাঁদের জন্য আমি ব্যথিত'। তবে ওই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি দুঃখ প্রকাশ করেননি বা ক্ষমাও চাননি। মোদির অনশনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে রাজ্য কংগ্রেসের নেতারাও গতকাল থেকে তিন দিনের অনশন শুরু করেছেন। মোদির অনশনকে 'পাঁচ তারকা' হোটেলের আয়েশের সঙ্গে তুলনা করেন কংগ্রেস নেতা শংকরসিন ভাঘেলা। কেননা মোদি অনশন করছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে। আর কংগ্রেস নেতারা অনশনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন ফুটপাতকে। শংকরসিন বলেন, 'জনগণের কয়েক কোটি রুপি খরচ করে এই অনশনের প্রয়োজন কী? তিনি চাইলে বাড়িতে বসেও অনশন করতে পারতেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই তামাশা করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।' কংগ্রেস নেতাদের অনশনস্থল শহরের সবরমতি আশ্রমের সামনের ফুটপাত।
মোদির শাসনামলে অবশ্য গুজরাটের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশের ওপরে। কেন্দ্র সরকার যখন নানামুখী দুর্নীতির অভিযোগে বিপর্যস্ত-পর্যুদস্ত সেখানে দুর্নীতিবিরোধী হিসেবে মোদির সুনাম ক্রমাগত তাঁর জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে চলেছে। সম্প্রতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুই দফায় ১৭ দিন অনশন করেন সমাজকর্মী আনা হাজারে। যোগ ব্যায়ামের গুরু রামদেবও একই দাবিতে অনশন করেন।
২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় হিন্দু তীর্থযাত্রীদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্রর মোদির নিষ্ক্রিয়তা দায়ী করা হয়। তবে এই অভিযোগে বিচার থেকে চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ায় তিনি বিরাট স্বস্তি পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশকে বিজেপি ও মোদি তাঁদের বিজয় বলে অভিহিত করেন।
No comments