বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ গড়পড়তা মানের নিচে
দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ খাতে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান গড়পড়তা মানের নিচে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে স্থানীয় একটি হোটেলে ‘টেলিকম রেগুলেটরি এনভায়রনমেন্ট সার্ভে’ (টিআরই সার্ভে) শীর্ষক একটি জরিপের ফলাফলে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। লার্ন এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোহান সমরজীব প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করেন।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রযুক্তিবিষয়ক নীতিনির্ধারণী গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়া আয়োজিত ও প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে একই সময়ে জরিপ চালানো হয়েছে। সময়কাল ছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ফিক্সড লাইন টেলিফোন খাতে বাংলাদেশের মান (স্কোর) সবচেয়ে কম—২ দশমিক ৩। তবে মোবাইল ফোন খাতে মান সর্বোচ্চ, যা ২ দশমিক ৯। আর ব্রডব্যান্ড খাতে মান ২ দশমিক ৫। তবে কোনো খাতেই মান ৩-এর ওপরে নয়। তাই সামগ্রিক অবস্থান গড়পড়তা মানে পড়েছে।
প্রতিটি খাতে বাজারে প্রবেশ, অপ্রতুল সম্পদ ব্যবহারের সুযোগ, আন্তসংযোগ, ট্যারিফ নিয়ন্ত্রণ, অপ্রতিযোগিতাপূর্ণ চর্চা, ইউনিভার্সাল সার্ভিস অবলিগেশন (ইউএসও) ও সেবার গুণগত মান—এই সাতটি মাত্রায় মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১ হচ্ছে খুবই অকার্যকরী এবং ৫ হচ্ছে খুবই কার্যকরী এবং ৩ হলে মাঝারি অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে লার্ন এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ফিক্সড ফোনের ব্যবহার কমে যাওয়া এবং শীর্ষ পাঁচ পিএসটিএন কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের কারণে এ খাতে মান কমেছে।
অন্যদিকে মোবাইল ফোন কোম্পানি খাতের মান সবচেয়ে বেশি হওয়ার পেছনে রয়েছে ছয় কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরিতে নিয়ন্ত্রণকারী কমিশনের ভূমিকা, কম ট্যারিফ (পৃথিবীর সর্বনিম্ন ট্যারিফসমৃদ্ধ দেশগুলোর একটি), দেশজুড়ে কভারেজ ও আন্তসংযোগের সুবিধা।
টেলিযোগাযোগ আইন ২০১০-এ স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনেক নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এভাবে আইন সংশোধনের কারণে টেলিযোগাযোগ বাজারে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও সম্প্রতি দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা নিয়ে অসামঞ্জস্যতায় মোবাইল ফোন খাতের মান কমেছে।
অনুষ্ঠানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সহকারী অধ্যাপক ফাহিম হোসেইন বলেন, এ প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কাউকে হেয় না করে কার্যকর দিকনির্দেশনা দেওয়া।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ-ব্যবস্থা উন্নয়নে লার্ন এশিয়ার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হেলেনি গ্যালপায়া কয়েকটি সুপারিশ উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো—বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে টুজি লাইসেন্স নবায়ন-প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, তরঙ্গ-মূল্য স্বচ্ছ ও যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ। এ ক্ষেত্রে বাজার নির্ধারণী ভিত্তিতে (নিলাম) বা নিলাম ও কমিশনের নির্ধারিত মূল্যের সমন্বয়ে জোর দেন গ্যালপায়া। এ ছাড়া মুঠোফোনের ব্যবহার বাড়াতে সংযোগ কর (সিমট্যাক্স) তুলে নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে স্থানীয় একটি হোটেলে ‘টেলিকম রেগুলেটরি এনভায়রনমেন্ট সার্ভে’ (টিআরই সার্ভে) শীর্ষক একটি জরিপের ফলাফলে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। লার্ন এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোহান সমরজীব প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করেন।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রযুক্তিবিষয়ক নীতিনির্ধারণী গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়া আয়োজিত ও প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে একই সময়ে জরিপ চালানো হয়েছে। সময়কাল ছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ফিক্সড লাইন টেলিফোন খাতে বাংলাদেশের মান (স্কোর) সবচেয়ে কম—২ দশমিক ৩। তবে মোবাইল ফোন খাতে মান সর্বোচ্চ, যা ২ দশমিক ৯। আর ব্রডব্যান্ড খাতে মান ২ দশমিক ৫। তবে কোনো খাতেই মান ৩-এর ওপরে নয়। তাই সামগ্রিক অবস্থান গড়পড়তা মানে পড়েছে।
প্রতিটি খাতে বাজারে প্রবেশ, অপ্রতুল সম্পদ ব্যবহারের সুযোগ, আন্তসংযোগ, ট্যারিফ নিয়ন্ত্রণ, অপ্রতিযোগিতাপূর্ণ চর্চা, ইউনিভার্সাল সার্ভিস অবলিগেশন (ইউএসও) ও সেবার গুণগত মান—এই সাতটি মাত্রায় মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১ হচ্ছে খুবই অকার্যকরী এবং ৫ হচ্ছে খুবই কার্যকরী এবং ৩ হলে মাঝারি অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে লার্ন এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ফিক্সড ফোনের ব্যবহার কমে যাওয়া এবং শীর্ষ পাঁচ পিএসটিএন কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের কারণে এ খাতে মান কমেছে।
অন্যদিকে মোবাইল ফোন কোম্পানি খাতের মান সবচেয়ে বেশি হওয়ার পেছনে রয়েছে ছয় কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরিতে নিয়ন্ত্রণকারী কমিশনের ভূমিকা, কম ট্যারিফ (পৃথিবীর সর্বনিম্ন ট্যারিফসমৃদ্ধ দেশগুলোর একটি), দেশজুড়ে কভারেজ ও আন্তসংযোগের সুবিধা।
টেলিযোগাযোগ আইন ২০১০-এ স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনেক নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এভাবে আইন সংশোধনের কারণে টেলিযোগাযোগ বাজারে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও সম্প্রতি দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা নিয়ে অসামঞ্জস্যতায় মোবাইল ফোন খাতের মান কমেছে।
অনুষ্ঠানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সহকারী অধ্যাপক ফাহিম হোসেইন বলেন, এ প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কাউকে হেয় না করে কার্যকর দিকনির্দেশনা দেওয়া।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ-ব্যবস্থা উন্নয়নে লার্ন এশিয়ার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হেলেনি গ্যালপায়া কয়েকটি সুপারিশ উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো—বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে টুজি লাইসেন্স নবায়ন-প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, তরঙ্গ-মূল্য স্বচ্ছ ও যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ। এ ক্ষেত্রে বাজার নির্ধারণী ভিত্তিতে (নিলাম) বা নিলাম ও কমিশনের নির্ধারিত মূল্যের সমন্বয়ে জোর দেন গ্যালপায়া। এ ছাড়া মুঠোফোনের ব্যবহার বাড়াতে সংযোগ কর (সিমট্যাক্স) তুলে নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
No comments