আগামী বছরই দিবা-রাত্রির টেস্ট
‘দুই দিনের সভায় এত্তগুলো সুপারিশ!’—টুইটারে লিখেছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। লর্ডসে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির সভা থেকে ‘এত্তগুলো সুপারিশ’-এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, টেস্ট ক্রিকেটে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) বাধ্যতামূলক করা। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও ডিআরএস থাকলে অসফল আবেদন দুটির পরিবর্তে একটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া দিবা-রাত্রি টেস্টের পথে এগোনোর জন্য কিছু প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট গোলাপি বলে খেলা, ব্যাটসম্যানদের রানার নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া, ওভার রেট ঠিক না থাকার শাস্তি আরও কঠিন করার সুপারিশ করা হয়েছে। আইসিসি ক্রিকেট কমিটি শুধু সুপারিশই করতে পারে। এগুলো মানা হবে কি হবে না, সেটা ঠিক করবে আইসিসি, আগামী ২৬ থেকে ৩০ জুন হংকংয়ে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাহী কমিটির সভায়।
সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বে আইসিসির ক্রিকেট কমিটিতে আছেন প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ার, প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত, মার্ক টেলর, ইয়ান বিশপ, রবি শাস্ত্রী, গ্যারি কারস্টেন, ক্লেয়ার কনর, রঞ্জন মাদুগালে, জাস্টিন ভন, ডেভিন কেনডিক্স, টিম মে (ফিকার প্রধান নির্বাহী), কুমার সাঙ্গাকারা (বর্তমান ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি), ট্রেন্ট জনস্টন (সহযোগী দেশগুলোর প্রতিনিধি) ও স্টিভ ডেভিস (আম্পায়ার প্রতিনিধি)।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কার টেস্ট সিরিজ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল ডিআরএসের ব্যবহার। তবে এটি এখনো বাধ্যতামূলক নয়। এর কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক আছে। শচীন টেন্ডুলকার ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বরাবরই এটির বিরোধিতা করে এসেছে। তবে সেটিকে কোনো সমস্যা বলে মনে করছেন না আইসিসির মহাব্যবস্থাপক ডেভ রিচার্ডসন, ‘বল ট্র্যাকিং পদ্ধতির বিশ্বাসযোগ্যতা আগের চেয়ে বেড়েছে। আমরা আশা করছি সদস্য দেশগুলোর বোর্ড, খোলামেলাভাবে বললে ভারতীয় বোর্ড এটা বুঝতে পারবে। আমাদের প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। এক সিরিজে ডিআরএস থাকে, আরেকটাতে থাকে না, এতে দর্শক ও ক্রিকেটাররা সংশয়ে পড়ে যায়।’ তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিসিসিআই বলেছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আগের মতোই থাকবে। নির্বাহী কমিটির সভায় এর বিরোধিতা করবে তারা।
ডিআরএস ব্যবহারের আরেকটি বড় সমস্যা অর্থ। উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরার জন্য সম্প্রচারকারী সংস্থাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়। অনেক বোর্ড এই বাড়তি খরচটা করতে চায় না। তবে রিচার্ডসন জানিয়েছেন, সব সিরিজে ডিআরএসের ব্যবহার সদস্য দেশগুলো মেনে নিলে এই অর্থ আইসিসি দিতে পারে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অসফল আবেদন একটিতে নামিয়ে আনার পেছনে রিচার্ডসনের যুক্তি, ‘আমরা ভুল সিদ্ধান্তগুলো কমাতে চাইছি, ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো নয়।’
দিবা-রাত্রি টেস্টের সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক দিন থেকেই। কৃত্রিম আলোয় লাল বল দেখতে অসুবিধা, সাদা বল বেশিক্ষণ টেকে না—এসব কারণে কমলা, হলুদ বল নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সর্বশেষ ‘গিনিপিগ’ গোলাপি বল। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ও আবুধাবিতে এমসিসির দুটি ম্যাচে গোলাপি বলের ব্যবহারে সন্তুষ্ট আইসিসি। ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ, প্রত্যেক দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ পরিসরের খেলায় অন্তত এক রাউন্ড এবং এ বছরের আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে যেন এই বল ব্যবহার করা হয়। এই পরীক্ষা সফল হলে আগামী বছরই হয়তো পরীক্ষামূলকভাবে আয়োজন করা হবে দিবা-রাত্রি টেস্ট ম্যাচ!
রানার নেওয়ার সুযোগের অপব্যবহার হয় বলে এই প্রথা তুলে দেওয়ার সুপারিশ ক্রিকেট কমিটির। ওয়ানডেতে ৩৪ ওভারের পর নতুন বল নেওয়ার পরিবর্তে দুই প্রান্ত থেকে দুই বলে বোলিং শুরু করা, ১৬ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ব্যাটিং ও বোলিং পাওয়ার প্লে নেওয়াকে বাধ্যতামূলক করারও সুপারিশ করা হয়েছে। ঘরোয়া ওয়ানডেতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষারও প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন বোলারদের কোনো কোটা না রাখা, ওভারে দুটি বাউন্সার, পাওয়ার প্লে ছাড়া অন্য সময়ে ৩০ গজি বৃত্তের বাইরে চারজন ফিল্ডার রাখা।
এ ছাড়া দিবা-রাত্রি টেস্টের পথে এগোনোর জন্য কিছু প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট গোলাপি বলে খেলা, ব্যাটসম্যানদের রানার নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া, ওভার রেট ঠিক না থাকার শাস্তি আরও কঠিন করার সুপারিশ করা হয়েছে। আইসিসি ক্রিকেট কমিটি শুধু সুপারিশই করতে পারে। এগুলো মানা হবে কি হবে না, সেটা ঠিক করবে আইসিসি, আগামী ২৬ থেকে ৩০ জুন হংকংয়ে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাহী কমিটির সভায়।
সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বে আইসিসির ক্রিকেট কমিটিতে আছেন প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ার, প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত, মার্ক টেলর, ইয়ান বিশপ, রবি শাস্ত্রী, গ্যারি কারস্টেন, ক্লেয়ার কনর, রঞ্জন মাদুগালে, জাস্টিন ভন, ডেভিন কেনডিক্স, টিম মে (ফিকার প্রধান নির্বাহী), কুমার সাঙ্গাকারা (বর্তমান ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি), ট্রেন্ট জনস্টন (সহযোগী দেশগুলোর প্রতিনিধি) ও স্টিভ ডেভিস (আম্পায়ার প্রতিনিধি)।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কার টেস্ট সিরিজ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল ডিআরএসের ব্যবহার। তবে এটি এখনো বাধ্যতামূলক নয়। এর কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক আছে। শচীন টেন্ডুলকার ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বরাবরই এটির বিরোধিতা করে এসেছে। তবে সেটিকে কোনো সমস্যা বলে মনে করছেন না আইসিসির মহাব্যবস্থাপক ডেভ রিচার্ডসন, ‘বল ট্র্যাকিং পদ্ধতির বিশ্বাসযোগ্যতা আগের চেয়ে বেড়েছে। আমরা আশা করছি সদস্য দেশগুলোর বোর্ড, খোলামেলাভাবে বললে ভারতীয় বোর্ড এটা বুঝতে পারবে। আমাদের প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। এক সিরিজে ডিআরএস থাকে, আরেকটাতে থাকে না, এতে দর্শক ও ক্রিকেটাররা সংশয়ে পড়ে যায়।’ তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিসিসিআই বলেছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আগের মতোই থাকবে। নির্বাহী কমিটির সভায় এর বিরোধিতা করবে তারা।
ডিআরএস ব্যবহারের আরেকটি বড় সমস্যা অর্থ। উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরার জন্য সম্প্রচারকারী সংস্থাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়। অনেক বোর্ড এই বাড়তি খরচটা করতে চায় না। তবে রিচার্ডসন জানিয়েছেন, সব সিরিজে ডিআরএসের ব্যবহার সদস্য দেশগুলো মেনে নিলে এই অর্থ আইসিসি দিতে পারে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অসফল আবেদন একটিতে নামিয়ে আনার পেছনে রিচার্ডসনের যুক্তি, ‘আমরা ভুল সিদ্ধান্তগুলো কমাতে চাইছি, ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো নয়।’
দিবা-রাত্রি টেস্টের সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক দিন থেকেই। কৃত্রিম আলোয় লাল বল দেখতে অসুবিধা, সাদা বল বেশিক্ষণ টেকে না—এসব কারণে কমলা, হলুদ বল নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সর্বশেষ ‘গিনিপিগ’ গোলাপি বল। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ও আবুধাবিতে এমসিসির দুটি ম্যাচে গোলাপি বলের ব্যবহারে সন্তুষ্ট আইসিসি। ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ, প্রত্যেক দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ পরিসরের খেলায় অন্তত এক রাউন্ড এবং এ বছরের আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে যেন এই বল ব্যবহার করা হয়। এই পরীক্ষা সফল হলে আগামী বছরই হয়তো পরীক্ষামূলকভাবে আয়োজন করা হবে দিবা-রাত্রি টেস্ট ম্যাচ!
রানার নেওয়ার সুযোগের অপব্যবহার হয় বলে এই প্রথা তুলে দেওয়ার সুপারিশ ক্রিকেট কমিটির। ওয়ানডেতে ৩৪ ওভারের পর নতুন বল নেওয়ার পরিবর্তে দুই প্রান্ত থেকে দুই বলে বোলিং শুরু করা, ১৬ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ব্যাটিং ও বোলিং পাওয়ার প্লে নেওয়াকে বাধ্যতামূলক করারও সুপারিশ করা হয়েছে। ঘরোয়া ওয়ানডেতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষারও প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন বোলারদের কোনো কোটা না রাখা, ওভারে দুটি বাউন্সার, পাওয়ার প্লে ছাড়া অন্য সময়ে ৩০ গজি বৃত্তের বাইরে চারজন ফিল্ডার রাখা।
No comments