এবার মুখ খুলল অস্ট্রেলিয়াও
ইংল্যান্ডের পর এবার সরব হলো অস্ট্রেলিয়াও। ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ইংল্যান্ড যেমন রাশিয়ার কাছে হেরেছিল; অস্ট্রেলিয়ার ‘অপ্রত্যাশিত’ পরাজয় ঘটেছে কাতারের কাছে, ২০২২-এর আয়োজক হওয়ার দৌড়ে। ইংল্যান্ডেরই সানডে টাইমস সম্প্রতি ব্রিটেনের সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে, আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কাতারকে জেতাতে ফিফার নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য ১৫ লাখ পাউন্ড ঘুষ খেয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তাঁরা কোনো নালিশ জানাবেন না। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল সংস্থার প্রধান ফ্রাঙ্ক লোয়ি কাল মন্তব্য করলেন, বিশ্বকাপের আয়োজক বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। লোয়ি পরোক্ষে এমন অভিযোগ করলেন, ভোট দেওয়ার বিনিময়ে ভোটাররা দেনদরবারের সুযোগ পেয়েছেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। একই সময়ে দুটো আয়োজক নির্বাচন করার ফলে লোকজন এ নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সুযোগ পেয়েছে।’
‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ছিল না মন্তব্য করে লোয়ি বলেছেন, ‘কোনো কোনো দেশের সরকার বিষয়টিকে ফুটবল সংস্থাগুলোর বাইরে নিয়ে গিয়ে দেনদরবার করেছে। কেউ কেউ তাদের পুরো অর্থ এর পেছনেই ঢেলেছে। সেটি না করায় আমরা কি ভুল করেছি? হ্যাঁ করেছি। দুটো আসরের জন্য মোট ৪৪ ভোটের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর যুক্তরাষ্ট্র মিলে মাত্র চারটি ভোট পেয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, সংখ্যায় কম হলেও আমাদের পক্ষে ভালো লোকগুলোই আছেন।’
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ডেভিড ট্রাইজম্যানের অভিযোগ ভালোই তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে। ১ জুন ফিফার নির্বাচনের আগে হুট করে দুর্নীতি হয়ে গেছে প্রধান ইস্যু। খোদ সেপ ব্ল্যাটারও তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় দুর্নীতি সমূলে উচ্ছেদের কথা বলছেন। এ নিয়ে দেখা দেওয়া অচলাবস্থা নিরসনেও উদ্যোগী হয়েছেন ফিফার বর্তমান সভাপতি। এএফপি, রয়টার্স।
ফিফার মহাসচিব জেরম ভালক ইংলিশ ফুটবল সংস্থা ও সানডে টাইমস-এর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অভিযোগ প্রমাণের জন্য সব তথ্য-প্রমাণ ফিফার কাছে হস্তাস্তরের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ফিফার দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য যে এথিকস (নৈতিক) কমিটি আছে, তাদের তদন্ত শুরু করতে বলার নির্দেশ ভালকেই দেবেন। এই কমিটিই এর আগে দুর্নীতির অপরাধে নির্বাহী কমিটির দুই সদস্যকে নিষিদ্ধ করে। ২৪ জনের বদলে ভোট দিতে পেরেছিলেন ২২ জন।
এদিকে নতুন করে অভিযুক্ত ছয় নির্বাহী সদস্যের বাকিরাও আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। ইংল্যান্ডকে ভোট দেওয়ার বিনিময়ে প্যারাগুয়ের নিকোলাস লিওজ নাইটহুড উপাধি চেয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটিকে পুরোপুরি মিথ্যা বলেছেন লিওজের মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, লিওজ শুরু থেকেই খোলাখুলি বলে এসেছেন, তিনি ভোট দেবেন স্পেনকে। ফলে সমর্থন যেখানে প্রকাশ্য ছিল, সেখানে অন্য কারও কাছে সুবিধা দাবি করার প্রশ্নই আসে না।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তাঁরা কোনো নালিশ জানাবেন না। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল সংস্থার প্রধান ফ্রাঙ্ক লোয়ি কাল মন্তব্য করলেন, বিশ্বকাপের আয়োজক বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। লোয়ি পরোক্ষে এমন অভিযোগ করলেন, ভোট দেওয়ার বিনিময়ে ভোটাররা দেনদরবারের সুযোগ পেয়েছেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। একই সময়ে দুটো আয়োজক নির্বাচন করার ফলে লোকজন এ নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সুযোগ পেয়েছে।’
‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ছিল না মন্তব্য করে লোয়ি বলেছেন, ‘কোনো কোনো দেশের সরকার বিষয়টিকে ফুটবল সংস্থাগুলোর বাইরে নিয়ে গিয়ে দেনদরবার করেছে। কেউ কেউ তাদের পুরো অর্থ এর পেছনেই ঢেলেছে। সেটি না করায় আমরা কি ভুল করেছি? হ্যাঁ করেছি। দুটো আসরের জন্য মোট ৪৪ ভোটের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর যুক্তরাষ্ট্র মিলে মাত্র চারটি ভোট পেয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, সংখ্যায় কম হলেও আমাদের পক্ষে ভালো লোকগুলোই আছেন।’
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ডেভিড ট্রাইজম্যানের অভিযোগ ভালোই তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে। ১ জুন ফিফার নির্বাচনের আগে হুট করে দুর্নীতি হয়ে গেছে প্রধান ইস্যু। খোদ সেপ ব্ল্যাটারও তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় দুর্নীতি সমূলে উচ্ছেদের কথা বলছেন। এ নিয়ে দেখা দেওয়া অচলাবস্থা নিরসনেও উদ্যোগী হয়েছেন ফিফার বর্তমান সভাপতি। এএফপি, রয়টার্স।
ফিফার মহাসচিব জেরম ভালক ইংলিশ ফুটবল সংস্থা ও সানডে টাইমস-এর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অভিযোগ প্রমাণের জন্য সব তথ্য-প্রমাণ ফিফার কাছে হস্তাস্তরের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ফিফার দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য যে এথিকস (নৈতিক) কমিটি আছে, তাদের তদন্ত শুরু করতে বলার নির্দেশ ভালকেই দেবেন। এই কমিটিই এর আগে দুর্নীতির অপরাধে নির্বাহী কমিটির দুই সদস্যকে নিষিদ্ধ করে। ২৪ জনের বদলে ভোট দিতে পেরেছিলেন ২২ জন।
এদিকে নতুন করে অভিযুক্ত ছয় নির্বাহী সদস্যের বাকিরাও আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। ইংল্যান্ডকে ভোট দেওয়ার বিনিময়ে প্যারাগুয়ের নিকোলাস লিওজ নাইটহুড উপাধি চেয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটিকে পুরোপুরি মিথ্যা বলেছেন লিওজের মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, লিওজ শুরু থেকেই খোলাখুলি বলে এসেছেন, তিনি ভোট দেবেন স্পেনকে। ফলে সমর্থন যেখানে প্রকাশ্য ছিল, সেখানে অন্য কারও কাছে সুবিধা দাবি করার প্রশ্নই আসে না।
No comments