‘ড্রিম টিমে’র হ্যাটট্রিক
‘আগডুম বাগডুম’ খেলাটা যে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের এত পছন্দ, জানা ছিল না। যেমন জানা ছিল না, বার্সার রিজার্ভ গোলরক্ষক হোসে ম্যানুয়েল পিন্টো ‘ঘোড়াডুম’ সাজতে খুব পছন্দ করেন। পরশু রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতে না বাজাতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনার টানা তৃতীয় লিগ শিরোপা জয়ের উৎসব। পিন্টোর কাঁধে তখন সওয়ার হচ্ছেন কখনো ডেভিড ভিয়া, কখনো জাভি, কখনো বা ইনিয়েস্তা।
আনন্দ এতটাই লাগাম ছাড়িয়ে গিয়েছিল, আর কাউকে কাছেপিঠে না পেয়ে দানি আলভেজ এক সাংবাদিকেরই পিঠে চড়লেন। বেচারা সাংবাদিক ওই অবস্থাতেও মাইক্রোফোন বাগিয়ে জানতে চাইছেন প্রতিক্রিয়া। অনেক দিক দিয়েই লেভান্তের মাঠে ফিরে এসেছিল ছয় বছর আগের স্মৃতি। ২০০৫ সালে এই মাঠেই ১-১ গোলে ড্র করে শিরোপা নিশ্চিত করেছিল ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের বার্সেলোনা।
পরশুও তা-ই হলো। গোলমুখের সামনে জনা আষ্টেক খেলোয়াড়ের জঙ্গল তৈরি করে রাখা লেভান্তের জালে অনেক কষ্টে একটা গোল বার্সেলোনা ঢোকাল ঠিকই, কিন্তু জাভির অনেক দূর থেকে বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া বলে হেড করে সেইডু কেইটার করা ২৮ মিনিটের গোলটি প্রথমার্ধের শেষ প্রান্তে ঠিকই শোধ করে দিল লেভান্তে। বার্সা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেজ ও ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে। আরও স্পষ্ট করে বললে ভুলটা জেরার্ড পিকের। ঠিকমতো বলটা ক্লিয়ার করতে পারেননি এই সেন্টার ব্যাক।
অনেক চেষ্টাচরিত্র করেও আর গোল করতে পারেননি মেসি-ভিয়ারা। মেসির একটা শট অবশ্য পোস্টে লেগেছিল। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে লিগে গোল-ব্যবধানটি পাঁচ থেকে আর কমাতে পারলেন না। তা না পারুন। রোনালদো পিচিচি ট্রফিটা নিয়ে উৎসবে মাতুন। আরও বড় ট্রফি তো হাতে তুলতে পারছেন মেসি। টানা তৃতীয়বার রিয়ালকে দর্শক বানিয়ে লিগ শিরোপা জিততে পারার চেয়ে বড় আনন্দ আর হয় নাকি!
হয় না বলেই কাল আসল উৎসবটা হলো বার্সেলোনা শহরে। রাতভর গান, নাচ, ড্রামের বাদ্য বাজল। আতশবাজি পুড়ল। ‘পুড়ন্ত’ উড়ন্ত সেই উৎসবে মাতোয়ারা গোটা কাতালোনিয়া রাজ্য। কিন্তু চাইলেও সেই উৎসবে যোগ দিতে পারলেন না বার্সার খেলোয়াড়েরা।
লিগের এখনো দুটো ম্যাচ বাকি। তার চেয়েও বড় কথা, সত্যিকারের ম্যাচটি তো ২৮ মে, ওয়েম্বলিতে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাভিকে তাই কষ্টটা বুকচাপা দিয়েই রাখতে হলো, ‘শিরোপা জেতার আনন্দ সব সময়ই অন্য রকম। এই শিরোপার আসল দাবিদার আসলে আমাদের সমর্থকেরা। আমি কল্পনা করে নিচ্ছি, বার্সেলোনার পথে আজ (গত পরশু) রাতে আমরাও তাদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দিয়েছি।’
শিষ্যদের উৎসব করতে দিলেও তাতে খুব একটা যোগ দেননি পেপ গার্দিওলা। দ্রুতই আবেগের দরজায় খিল এঁটে দিয়েছেন। তাঁর মাথাতেও ঘুরছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। খুব সংক্ষেপে নিজের প্রতিক্রিয়া সারলেন, ‘লিগ শিরোপা জেতা সব সময়ই কঠিন ছিল। এবারেরটিও জিততে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এখন আমরা মুহূর্তটা উপভোগ করতেই পারি। এরপর আমাদের সবচেয়ে সুন্দর খেলাটি—চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
গত দশ বছরে এটি বার্সার পঞ্চম লিগ শিরোপা। তার চেয়েও বড় কথা, ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম টানা তিনটি শিরোপা জিতল তারা। সেবার ১৯৯১-১৯৯৪ পর্যন্ত টানা চারটি লিগ জিতেছিল ইয়োহান ক্রুইফের ‘ড্রিম টিম’। গার্দিওলার ‘ড্রিম টিমে’র সামনে এখন সেই সম্ভাবনার হাতছানি।
আনন্দ এতটাই লাগাম ছাড়িয়ে গিয়েছিল, আর কাউকে কাছেপিঠে না পেয়ে দানি আলভেজ এক সাংবাদিকেরই পিঠে চড়লেন। বেচারা সাংবাদিক ওই অবস্থাতেও মাইক্রোফোন বাগিয়ে জানতে চাইছেন প্রতিক্রিয়া। অনেক দিক দিয়েই লেভান্তের মাঠে ফিরে এসেছিল ছয় বছর আগের স্মৃতি। ২০০৫ সালে এই মাঠেই ১-১ গোলে ড্র করে শিরোপা নিশ্চিত করেছিল ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের বার্সেলোনা।
পরশুও তা-ই হলো। গোলমুখের সামনে জনা আষ্টেক খেলোয়াড়ের জঙ্গল তৈরি করে রাখা লেভান্তের জালে অনেক কষ্টে একটা গোল বার্সেলোনা ঢোকাল ঠিকই, কিন্তু জাভির অনেক দূর থেকে বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া বলে হেড করে সেইডু কেইটার করা ২৮ মিনিটের গোলটি প্রথমার্ধের শেষ প্রান্তে ঠিকই শোধ করে দিল লেভান্তে। বার্সা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেজ ও ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে। আরও স্পষ্ট করে বললে ভুলটা জেরার্ড পিকের। ঠিকমতো বলটা ক্লিয়ার করতে পারেননি এই সেন্টার ব্যাক।
অনেক চেষ্টাচরিত্র করেও আর গোল করতে পারেননি মেসি-ভিয়ারা। মেসির একটা শট অবশ্য পোস্টে লেগেছিল। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে লিগে গোল-ব্যবধানটি পাঁচ থেকে আর কমাতে পারলেন না। তা না পারুন। রোনালদো পিচিচি ট্রফিটা নিয়ে উৎসবে মাতুন। আরও বড় ট্রফি তো হাতে তুলতে পারছেন মেসি। টানা তৃতীয়বার রিয়ালকে দর্শক বানিয়ে লিগ শিরোপা জিততে পারার চেয়ে বড় আনন্দ আর হয় নাকি!
হয় না বলেই কাল আসল উৎসবটা হলো বার্সেলোনা শহরে। রাতভর গান, নাচ, ড্রামের বাদ্য বাজল। আতশবাজি পুড়ল। ‘পুড়ন্ত’ উড়ন্ত সেই উৎসবে মাতোয়ারা গোটা কাতালোনিয়া রাজ্য। কিন্তু চাইলেও সেই উৎসবে যোগ দিতে পারলেন না বার্সার খেলোয়াড়েরা।
লিগের এখনো দুটো ম্যাচ বাকি। তার চেয়েও বড় কথা, সত্যিকারের ম্যাচটি তো ২৮ মে, ওয়েম্বলিতে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাভিকে তাই কষ্টটা বুকচাপা দিয়েই রাখতে হলো, ‘শিরোপা জেতার আনন্দ সব সময়ই অন্য রকম। এই শিরোপার আসল দাবিদার আসলে আমাদের সমর্থকেরা। আমি কল্পনা করে নিচ্ছি, বার্সেলোনার পথে আজ (গত পরশু) রাতে আমরাও তাদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দিয়েছি।’
শিষ্যদের উৎসব করতে দিলেও তাতে খুব একটা যোগ দেননি পেপ গার্দিওলা। দ্রুতই আবেগের দরজায় খিল এঁটে দিয়েছেন। তাঁর মাথাতেও ঘুরছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। খুব সংক্ষেপে নিজের প্রতিক্রিয়া সারলেন, ‘লিগ শিরোপা জেতা সব সময়ই কঠিন ছিল। এবারেরটিও জিততে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এখন আমরা মুহূর্তটা উপভোগ করতেই পারি। এরপর আমাদের সবচেয়ে সুন্দর খেলাটি—চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
গত দশ বছরে এটি বার্সার পঞ্চম লিগ শিরোপা। তার চেয়েও বড় কথা, ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম টানা তিনটি শিরোপা জিতল তারা। সেবার ১৯৯১-১৯৯৪ পর্যন্ত টানা চারটি লিগ জিতেছিল ইয়োহান ক্রুইফের ‘ড্রিম টিম’। গার্দিওলার ‘ড্রিম টিমে’র সামনে এখন সেই সম্ভাবনার হাতছানি।
No comments