রপ্তানিকারকেরা উৎসে কর হ্রাসের সুপারিশ করেছে
আগামী ২০১১-১২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে রপ্তানি-আয়ের ওপর বিদ্যমান উৎসে করের হার দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশে নির্ধারণের সুপারিশ করেছে দেশের রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। একই সঙ্গে সংগঠনটি ব্যাংকঋণের সুদের হার কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁরা ক্যাপটিভ জেনারেটরে ব্যবহূত ডিজেল ও বয়লারে ব্যবহূত ফার্নেস অয়েল শুল্কমুক্তভাবে আমদানির সুযোগসহ মোট ১৫টি সুপারিশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বক্তব্য দেন। এ সময় সমিতির ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিটিএমএ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন, বিজিএমইএর সহসভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল এবং লিনেন প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সালাম মুর্শেদী বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, চট্টগ্রাম বন্দরের অব্যবস্থাপনা, ব্যাংকঋণের সুদের হার বৃদ্ধিসহ নানা কারণে রপ্তানিকারকদের ব্যবসায়িক ব্যয় বেড়েছে। সম্মিলিতভাবে এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে রপ্তানিকারকদের এই সংগঠন ঢেলে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে ৩৫টির বেশি সংগঠন এ সমিতির সদস্য হয়েছে।
মুর্শেদী আরও বলেন, বিশ্বমন্দা, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক কর্মকাণ্ডের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই উৎসে কর আগের বছরগুলোর মতো দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
তিনি অফিস ও কারখানার ভাড়া এবং জাহাজভাড়ার ক্ষেত্রে ভ্যাট শতভাগ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনে পরিদর্শন ফি, ব্যাংকের সব সেবা মাশুল ও উপযোগ বিলের বিপরীতে ভ্যাট রহিত করার সুপারিশ করেন।
ইএবি সভাপতি জানান, বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে অনেক শিল্পকারখানা ডিজেলচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটর ও বয়লারে ফার্নেস অয়েল ব্যবহার করে। ব্যয়সাশ্রয় ও মূল্য প্রতিযোগিতাসক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে এসব কাজে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের আমদানি শুল্কমুক্ত করারও সুপারিশ করেন তিনি।
মুর্শেদী আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে শিল্প স্থাপন করার পর অনেককেই গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়নি। তাই তাঁরা কারখানা চালু করতে পারেননি। অথচ ব্যাংকঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে। গ্যাসের সংযোগ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকঋণের সুদ মওকুফ করার সুপারিশ করেন তিনি।
সমিতি ইতিমধ্যে স্থাপিত শিল্পকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ প্রদানের এবং নতুন স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ শিল্পকারখানার জন্য বরাদ্দ রাখারও দাবি জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁরা ক্যাপটিভ জেনারেটরে ব্যবহূত ডিজেল ও বয়লারে ব্যবহূত ফার্নেস অয়েল শুল্কমুক্তভাবে আমদানির সুযোগসহ মোট ১৫টি সুপারিশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বক্তব্য দেন। এ সময় সমিতির ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিটিএমএ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন, বিজিএমইএর সহসভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল এবং লিনেন প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সালাম মুর্শেদী বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, চট্টগ্রাম বন্দরের অব্যবস্থাপনা, ব্যাংকঋণের সুদের হার বৃদ্ধিসহ নানা কারণে রপ্তানিকারকদের ব্যবসায়িক ব্যয় বেড়েছে। সম্মিলিতভাবে এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে রপ্তানিকারকদের এই সংগঠন ঢেলে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে ৩৫টির বেশি সংগঠন এ সমিতির সদস্য হয়েছে।
মুর্শেদী আরও বলেন, বিশ্বমন্দা, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক কর্মকাণ্ডের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই উৎসে কর আগের বছরগুলোর মতো দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
তিনি অফিস ও কারখানার ভাড়া এবং জাহাজভাড়ার ক্ষেত্রে ভ্যাট শতভাগ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনে পরিদর্শন ফি, ব্যাংকের সব সেবা মাশুল ও উপযোগ বিলের বিপরীতে ভ্যাট রহিত করার সুপারিশ করেন।
ইএবি সভাপতি জানান, বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে অনেক শিল্পকারখানা ডিজেলচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটর ও বয়লারে ফার্নেস অয়েল ব্যবহার করে। ব্যয়সাশ্রয় ও মূল্য প্রতিযোগিতাসক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে এসব কাজে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের আমদানি শুল্কমুক্ত করারও সুপারিশ করেন তিনি।
মুর্শেদী আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে শিল্প স্থাপন করার পর অনেককেই গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়নি। তাই তাঁরা কারখানা চালু করতে পারেননি। অথচ ব্যাংকঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে। গ্যাসের সংযোগ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকঋণের সুদ মওকুফ করার সুপারিশ করেন তিনি।
সমিতি ইতিমধ্যে স্থাপিত শিল্পকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ প্রদানের এবং নতুন স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ শিল্পকারখানার জন্য বরাদ্দ রাখারও দাবি জানিয়েছে।
No comments