আশীর্বাদ আর আতঙ্কের নাম গেইল
‘বুলেটপ্রুফ চেস্ট গার্ড না নিয়ে আগামী মৌসুমে ফিরছি না’—ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য দেশ ছাড়ার আগে বলে গেছেন তিলকরত্নে দিলশান। ক্রিকেটারের কেন বুলেটপ্রুফ চেস্ট গার্ডের প্রয়োজন হলো বুঝতে পারছেন না? তাহলে বিরাট কোহলির কথা শুনুন, ‘নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে গেইলের ব্যাটিং দেখতে ভালো লাগে ঠিকই, ভয়ও কম লাগে না। ওর একেকটা শট যেন বুলেট...।’
সতীর্থদেরই যখন এই অবস্থা, তখন বোলারদের কথা চিন্তা করুন! বিস্ফোরক ইনিংস খেলার ক্ষমতা তাঁর আছে, সবাই জানত। কিন্তু এমন ধারাবাহিক ‘বিস্ফোরণ’ সম্ভবত আগে কখনো দেখা যায়নি। ক্রিস গেইল এখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আশীর্বাদ আর প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য আতঙ্কের নাম। বেঙ্গালুরুর জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল আসলে ডার্ক ন্যানেসের চোট। সুযোগটা কাজে লাগাল বিজয় মালিয়ার দল, বদলে গেল দলের ভাগ্যও। গেইল আসার আগে পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় পাওয়া বেঙ্গালুরু গেইল আসার পর ছয় ম্যাচের সব কটিই জিতে ছুঁয়েছে আইপিএল রেকর্ড!
দ্বিতীয় ম্যাচটি ছাড়া সব কটি জয়েই সরাসরি অবদান আছে গেইলের। ওই ম্যাচটিতেও ঠিকই এনে দিয়েছিলেন বিস্ফোরক শুরু। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় দুইয়ে, ওপরে থাকা শেবাগ মাত্র ২৬ রান এগিয়ে। ৩৯৮ রানের ৩২৮-ই এসেছে চার-ছক্কায়, অর্থাৎ মোট রানের ৮২ দশমিক ৪১ শতাংশতেই দৌড়াদৌড়ির ঝামেলায় যাননি। তাঁর ৩০টি ছক্কা অনায়াসেই এবারের সর্বোচ্চ, দুইয়ে থাকা শেবাগের ১৮ ছক্কা ১১ ম্যাচে! দুটি সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন। এক আসরে তো দূরের কথা, আইপিএলের চার আসর মিলিয়েও কারও একাধিক সেঞ্চুরি নেই। চাইলে এমন উন্মত্ত গেইল কৃতিত্ব দিতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে। বোর্ডের সঙ্গে তিক্ততার কারণেই হয়তো এমন ফুঁসে আছেন। ইনজুরির পুনর্বাসনের সময় বোর্ড নাকি তাঁর খোঁজ রাখেনি। কাল অবশ্য বোর্ড ফিজিওর সঙ্গে গেইলের যাবতীয় খুদে বার্তা প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে দায়টা গেইলেরই।
বিজয় মালিয়াদের এসব ভাবার সময় নেই। গত ম্যাচ শেষেই ভারতীয় ধনকুবের জানালেন, আগামী মৌসুমে গেইলকে ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। ধরে রাখার প্রশ্ন আসছে, কারণ ন্যানেস সেরে উঠলে তো গেইল আর বেঙ্গালুরুর নন। তাতে গেইলও মনে হয় খুব একটা অখুশি হবেন না। এমন পারফরম্যান্সের পর তাঁকে নিয়ে টানাটানি পড়ার কথা। আর টানাটানি মানেই তো...ডলার!
সতীর্থদেরই যখন এই অবস্থা, তখন বোলারদের কথা চিন্তা করুন! বিস্ফোরক ইনিংস খেলার ক্ষমতা তাঁর আছে, সবাই জানত। কিন্তু এমন ধারাবাহিক ‘বিস্ফোরণ’ সম্ভবত আগে কখনো দেখা যায়নি। ক্রিস গেইল এখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আশীর্বাদ আর প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য আতঙ্কের নাম। বেঙ্গালুরুর জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল আসলে ডার্ক ন্যানেসের চোট। সুযোগটা কাজে লাগাল বিজয় মালিয়ার দল, বদলে গেল দলের ভাগ্যও। গেইল আসার আগে পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় পাওয়া বেঙ্গালুরু গেইল আসার পর ছয় ম্যাচের সব কটিই জিতে ছুঁয়েছে আইপিএল রেকর্ড!
দ্বিতীয় ম্যাচটি ছাড়া সব কটি জয়েই সরাসরি অবদান আছে গেইলের। ওই ম্যাচটিতেও ঠিকই এনে দিয়েছিলেন বিস্ফোরক শুরু। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় দুইয়ে, ওপরে থাকা শেবাগ মাত্র ২৬ রান এগিয়ে। ৩৯৮ রানের ৩২৮-ই এসেছে চার-ছক্কায়, অর্থাৎ মোট রানের ৮২ দশমিক ৪১ শতাংশতেই দৌড়াদৌড়ির ঝামেলায় যাননি। তাঁর ৩০টি ছক্কা অনায়াসেই এবারের সর্বোচ্চ, দুইয়ে থাকা শেবাগের ১৮ ছক্কা ১১ ম্যাচে! দুটি সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন। এক আসরে তো দূরের কথা, আইপিএলের চার আসর মিলিয়েও কারও একাধিক সেঞ্চুরি নেই। চাইলে এমন উন্মত্ত গেইল কৃতিত্ব দিতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে। বোর্ডের সঙ্গে তিক্ততার কারণেই হয়তো এমন ফুঁসে আছেন। ইনজুরির পুনর্বাসনের সময় বোর্ড নাকি তাঁর খোঁজ রাখেনি। কাল অবশ্য বোর্ড ফিজিওর সঙ্গে গেইলের যাবতীয় খুদে বার্তা প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে দায়টা গেইলেরই।
বিজয় মালিয়াদের এসব ভাবার সময় নেই। গত ম্যাচ শেষেই ভারতীয় ধনকুবের জানালেন, আগামী মৌসুমে গেইলকে ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। ধরে রাখার প্রশ্ন আসছে, কারণ ন্যানেস সেরে উঠলে তো গেইল আর বেঙ্গালুরুর নন। তাতে গেইলও মনে হয় খুব একটা অখুশি হবেন না। এমন পারফরম্যান্সের পর তাঁকে নিয়ে টানাটানি পড়ার কথা। আর টানাটানি মানেই তো...ডলার!
No comments