সাকিবের প্রতিবেশী ভালোবাসে ফুটবল
ছেলেটার ভূগোলজ্ঞান একটু কমই। ইরান দেশটা কোথায়, ঠিকঠাক বলতে পারল না। শুধু এটুকুই জানাল, ‘ইরানে খেলতে যাচ্ছি।’ ১৮-২৩ মে ইরানে হচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৩ ফুটবল-উৎসব। সেখানে খেলতে যাওয়ার জন্য মাগুরার ছেলে ইমন বিশ্বাস ঢাকায় এসেছে প্রথম। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ব্যস্ত অনুশীলন ক্যাম্পে। ক্যাম্প শেষে ১৬ মে ইরানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে ইমনের মতো বাংলাদেশের ২২ খুদে ফুটবলার। ইয়াজদ শহরের এই উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ইরান।
যে ছেলে ঢাকা শহরে পা রাখল প্রথম, সে যাবে ইরানে! ব্যাপারটা শুনে ইমনের তো প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। বাড়ির পাশের নদীতে গোসল করছিল সে। তাকে খবরটা দিয়েছিল ওর এক বন্ধু। কিন্তু তখনো ওর মধ্যে অবিশ্বাস, নিশ্চিত হতে বাড়ি এসে আবারও মায়ের কাছে জিজ্ঞাসা করে, ‘মা, আমি কি সত্যি ডাক পেয়েছি?’ মায়ের হাসিমুখ দেখে সঙ্গে সঙ্গে দে ছুট কোচ আহমদ আলীর কাছে। ‘আহমদ স্যার যখন ইরানে যাওয়ার কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বললেন, তখনই মনে হলো, যাচ্ছি’—পা দোলাতে দোলাতে বলছিল ইমন। বাসচালক বাবা আহমদ বিশ্বাসকেও তখন খুশির খবরটা ফোনে জানিয়ে দিয়েছিল সে।
গত বছর রাজবাড়ীতে ডানোন নেশনস কাপে খেলতে গিয়েছিল ইমন। সেখানেই কোচের চোখে পড়া। তারপর প্রাথমিক বাছাই এবং চূড়ান্ত ট্রায়াল দিয়ে ঢাকায়। একইভাবে সারা দেশের সাতজন কোচ আঞ্চলিক পর্যায়ে এই ফুটবলারদের বাছাই করেছেন।
প্রথম দেশের বাইরে যাচ্ছে সোহাগও। রাজধানী-সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় ঢাকায় খেলেছে টুকটাক। ডানোন নেশনস কাপে সেও খেলেছিল। তবে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল তাদের স্কুল ইসদাইর রাবেয়া উচ্চবিদ্যালয় প্রাথমিক রাউন্ডে বাদ পড়ায়। এই নিয়ে আফসোস ছিল। কিন্তু এবার কোচ আক্তার হোসেনের কাছ থেকে মনোনীত হওয়ার খবরটা শুনে আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিল। ভ্যানচালক বাবা মোহাম্মদ ফজল খুশি হয়েছিলেন আরও বেশি। ছেলেকে যে বড় ফুটবলার বানানোর স্বপ্ন দেখেন।
সোহাগ নিজে ডিফেন্ডার বলে ওর প্রিয় খেলোয়াড় বার্সেলোনার কার্লোস পুয়োল। দেশে ওয়ালি ফয়সালেরও ভক্ত। আর মাগুরা এজি একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ইমনের প্রিয় খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রাত জেগে ইউরোপের খেলা সে নিয়মিতই দেখে। খেলা দেখে এদের প্রায় সবাই।
টাঙ্গাইলের শুভ, মিশু, অনিক, বিশ্বনাথরা অবশ্য গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গিয়েছিল ডানোন নেশনস কাপের মূল পর্বে। সেবার ওরা অস্ট্রেলিয়া, মোজাম্বিক ও মরক্কোর বিপক্ষে জিতেছিল। কিন্তু সেটি শুধুই স্কিল দিয়ে। না হলে স্ট্যামিনা, শারীরিক গড়নে তো ওরা বিদেশি কিশোরদের চেয়ে জন্মগতভাবেই পিছিয়ে। তবে এবার অনেক পরিশ্রম করেছে ওরা। এবার তাই স্বপ্নটাও বড়। জানাল, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
পরিবার ছেড়ে ক্যাম্পে থাকতে কি মন খারাপ হয়? না, ওরা বরং ক্যাম্পে আনন্দই পায়। শরীফের কথা, ‘আমরা এখানে অনেক মজা করি। বিদ্যুৎ চলে গেলে এ-ওকে ভূতের ভয় দেখাই। কেউ গোসল করতে ঢুকলে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দিই। জার্সি লুকিয়ে রাখি। আবার কখনো গানের কলির প্রতিযোগিতাও করি।’ মাত্র এক মাসেই যেন একটা পরিবার হয়ে উঠেছে ১২-১৩ বছরের এই কিশোরেরা।
সাকিব আল হাসানের প্রতিবেশী হয়েও ক্রিকেটার না হয়ে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে ইমন। নারায়ণগঞ্জের শরীফও তা-ই। কে জানে, মেসি-রোনালদোর ভক্ত এই খুদে ফুটবলাররাই একদিন হয়ে উঠবে বাংলাদেশের মেসি অথবা রোনালদো।
যে ছেলে ঢাকা শহরে পা রাখল প্রথম, সে যাবে ইরানে! ব্যাপারটা শুনে ইমনের তো প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। বাড়ির পাশের নদীতে গোসল করছিল সে। তাকে খবরটা দিয়েছিল ওর এক বন্ধু। কিন্তু তখনো ওর মধ্যে অবিশ্বাস, নিশ্চিত হতে বাড়ি এসে আবারও মায়ের কাছে জিজ্ঞাসা করে, ‘মা, আমি কি সত্যি ডাক পেয়েছি?’ মায়ের হাসিমুখ দেখে সঙ্গে সঙ্গে দে ছুট কোচ আহমদ আলীর কাছে। ‘আহমদ স্যার যখন ইরানে যাওয়ার কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বললেন, তখনই মনে হলো, যাচ্ছি’—পা দোলাতে দোলাতে বলছিল ইমন। বাসচালক বাবা আহমদ বিশ্বাসকেও তখন খুশির খবরটা ফোনে জানিয়ে দিয়েছিল সে।
গত বছর রাজবাড়ীতে ডানোন নেশনস কাপে খেলতে গিয়েছিল ইমন। সেখানেই কোচের চোখে পড়া। তারপর প্রাথমিক বাছাই এবং চূড়ান্ত ট্রায়াল দিয়ে ঢাকায়। একইভাবে সারা দেশের সাতজন কোচ আঞ্চলিক পর্যায়ে এই ফুটবলারদের বাছাই করেছেন।
প্রথম দেশের বাইরে যাচ্ছে সোহাগও। রাজধানী-সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় ঢাকায় খেলেছে টুকটাক। ডানোন নেশনস কাপে সেও খেলেছিল। তবে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল তাদের স্কুল ইসদাইর রাবেয়া উচ্চবিদ্যালয় প্রাথমিক রাউন্ডে বাদ পড়ায়। এই নিয়ে আফসোস ছিল। কিন্তু এবার কোচ আক্তার হোসেনের কাছ থেকে মনোনীত হওয়ার খবরটা শুনে আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিল। ভ্যানচালক বাবা মোহাম্মদ ফজল খুশি হয়েছিলেন আরও বেশি। ছেলেকে যে বড় ফুটবলার বানানোর স্বপ্ন দেখেন।
সোহাগ নিজে ডিফেন্ডার বলে ওর প্রিয় খেলোয়াড় বার্সেলোনার কার্লোস পুয়োল। দেশে ওয়ালি ফয়সালেরও ভক্ত। আর মাগুরা এজি একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ইমনের প্রিয় খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রাত জেগে ইউরোপের খেলা সে নিয়মিতই দেখে। খেলা দেখে এদের প্রায় সবাই।
টাঙ্গাইলের শুভ, মিশু, অনিক, বিশ্বনাথরা অবশ্য গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গিয়েছিল ডানোন নেশনস কাপের মূল পর্বে। সেবার ওরা অস্ট্রেলিয়া, মোজাম্বিক ও মরক্কোর বিপক্ষে জিতেছিল। কিন্তু সেটি শুধুই স্কিল দিয়ে। না হলে স্ট্যামিনা, শারীরিক গড়নে তো ওরা বিদেশি কিশোরদের চেয়ে জন্মগতভাবেই পিছিয়ে। তবে এবার অনেক পরিশ্রম করেছে ওরা। এবার তাই স্বপ্নটাও বড়। জানাল, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
পরিবার ছেড়ে ক্যাম্পে থাকতে কি মন খারাপ হয়? না, ওরা বরং ক্যাম্পে আনন্দই পায়। শরীফের কথা, ‘আমরা এখানে অনেক মজা করি। বিদ্যুৎ চলে গেলে এ-ওকে ভূতের ভয় দেখাই। কেউ গোসল করতে ঢুকলে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দিই। জার্সি লুকিয়ে রাখি। আবার কখনো গানের কলির প্রতিযোগিতাও করি।’ মাত্র এক মাসেই যেন একটা পরিবার হয়ে উঠেছে ১২-১৩ বছরের এই কিশোরেরা।
সাকিব আল হাসানের প্রতিবেশী হয়েও ক্রিকেটার না হয়ে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে ইমন। নারায়ণগঞ্জের শরীফও তা-ই। কে জানে, মেসি-রোনালদোর ভক্ত এই খুদে ফুটবলাররাই একদিন হয়ে উঠবে বাংলাদেশের মেসি অথবা রোনালদো।
No comments