নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির আলোকে বাজেটকে মূল্যায়ন করতে হয়
ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কী প্রাপ্তি হয়েছে, সেই আলোকেই বাজেটকে মূল্যায়ন করা উচিত। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এই সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্য ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে ।
গতকাল শনিবার অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টেন্টস (এসিসিএ) আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা আকবর আলি খান এসব কথা বলেন।
আকবর আলি খান আরও বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সাংসদেরা বাজেট পাসে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না। অথচ সংবিধান অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের করারোপ করা যায় না।
রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এই প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মনিরুজ্জামান মিঞা, সাবেক পরিকল্পনাসচিব জাফর আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, দ্য ডেইলি সান সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধি মনসুর আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুল করিম, এসিসিএ কান্টি ম্যানেজার মহুয়া রশীদ প্রমুখ। আলোচনায় সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন মনোয়ার হোসেন।
আকবর আলি খান বলেন, দুর্নীতি দমনের কথা বলা হলেও গত আড়াই বছরে ক্ষমতাধরদের সম্পদের বার্ষিক বিবরণী নেওয়া যায়নি।
আবার বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে বড় আকারের ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে বলে মত দেন তিনি।
আকবর আলি খানের মতে, চাহিদা অনুযায়ী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার এক লাখ কোটি টাকা হওয়া উচিত। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে জিডিপির সাড়ে ৭ শতাংশ ভৌত অবকাঠামোতে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ৬ শতাংশ করে বিনিয়োগ করতে হয়।
আকবর আলি আরও বলেন, সংসদ অধিবেশনে বাজেট উপস্থাপনের পর তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সাংসদেরা ১৯-২০ দিন সময় পান। তাঁরা যে সময় পান তার ৪০ শতাংশও ব্যবহার করেন না। প্রকৃতপক্ষে সাংসদেরা বাজেট অনুমোদন করেন না। সাংসদেরা সরকার নিয়ন্ত্রণ করেন না, সরকারই সাংসদদের নিয়ন্ত্রণ করে।
আকবর আলি খান অভিমত দেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির আলোকে ক্ষমতাসীনদের বাজেট হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগও তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কিছু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কেন তারা তা পারছে না বা পারেনি, সেই ব্যাখ্যা বাজেট বক্তব্যে থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, বাজেটে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া উচিত, যা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
গরিব দেশের বাজেট চাহিদা অনুযায়ী করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন জাফর আহমেদ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, সোনালী ব্যাংকের মতো সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। অথচ এই ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে তহবিল গঠন করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজেট ভালো কি মন্দ, তা বুঝব পেট ও পকেট দিয়ে। রাজনীতির গোড়ায় গলদ থাকলে অর্থনীতি উদ্দীপ্ত হয় না বলে তিনি অভিমত দেন।
মাহবুবুর রহমান বলেন, শোনা যাচ্ছে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট হচ্ছে, এটা অবাস্তব। দুর্নীতি থাকলে যত বড় বাজেট দেওয়া হোক না কেন, তা কাজে আসবে না। জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
রকিবুল হাসান বলেন, কৃষি খাতের ভর্তুকি প্রকৃত কৃষকেরা পাচ্ছেন না। মধ্যস্বত্বভোগীরা তা খেয়ে ফেলছে। এ জন্য তিনি কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করেন।
এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করেন প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধি মনসুর আহমেদ চৌধুরী।
গতকাল শনিবার অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টেন্টস (এসিসিএ) আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা আকবর আলি খান এসব কথা বলেন।
আকবর আলি খান আরও বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সাংসদেরা বাজেট পাসে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না। অথচ সংবিধান অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের করারোপ করা যায় না।
রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এই প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মনিরুজ্জামান মিঞা, সাবেক পরিকল্পনাসচিব জাফর আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, দ্য ডেইলি সান সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধি মনসুর আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুল করিম, এসিসিএ কান্টি ম্যানেজার মহুয়া রশীদ প্রমুখ। আলোচনায় সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন মনোয়ার হোসেন।
আকবর আলি খান বলেন, দুর্নীতি দমনের কথা বলা হলেও গত আড়াই বছরে ক্ষমতাধরদের সম্পদের বার্ষিক বিবরণী নেওয়া যায়নি।
আবার বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে বড় আকারের ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে বলে মত দেন তিনি।
আকবর আলি খানের মতে, চাহিদা অনুযায়ী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার এক লাখ কোটি টাকা হওয়া উচিত। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে জিডিপির সাড়ে ৭ শতাংশ ভৌত অবকাঠামোতে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ৬ শতাংশ করে বিনিয়োগ করতে হয়।
আকবর আলি আরও বলেন, সংসদ অধিবেশনে বাজেট উপস্থাপনের পর তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সাংসদেরা ১৯-২০ দিন সময় পান। তাঁরা যে সময় পান তার ৪০ শতাংশও ব্যবহার করেন না। প্রকৃতপক্ষে সাংসদেরা বাজেট অনুমোদন করেন না। সাংসদেরা সরকার নিয়ন্ত্রণ করেন না, সরকারই সাংসদদের নিয়ন্ত্রণ করে।
আকবর আলি খান অভিমত দেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির আলোকে ক্ষমতাসীনদের বাজেট হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগও তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কিছু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কেন তারা তা পারছে না বা পারেনি, সেই ব্যাখ্যা বাজেট বক্তব্যে থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, বাজেটে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া উচিত, যা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
গরিব দেশের বাজেট চাহিদা অনুযায়ী করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন জাফর আহমেদ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, সোনালী ব্যাংকের মতো সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। অথচ এই ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে তহবিল গঠন করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজেট ভালো কি মন্দ, তা বুঝব পেট ও পকেট দিয়ে। রাজনীতির গোড়ায় গলদ থাকলে অর্থনীতি উদ্দীপ্ত হয় না বলে তিনি অভিমত দেন।
মাহবুবুর রহমান বলেন, শোনা যাচ্ছে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট হচ্ছে, এটা অবাস্তব। দুর্নীতি থাকলে যত বড় বাজেট দেওয়া হোক না কেন, তা কাজে আসবে না। জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
রকিবুল হাসান বলেন, কৃষি খাতের ভর্তুকি প্রকৃত কৃষকেরা পাচ্ছেন না। মধ্যস্বত্বভোগীরা তা খেয়ে ফেলছে। এ জন্য তিনি কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করেন।
এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করেন প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধি মনসুর আহমেদ চৌধুরী।
No comments